প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৮ মার্চ ২০২৫ ১৫:৪৫ পিএম
আপডেট : ০৮ মার্চ ২০২৫ ১৬:০১ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
রাজধানীর বনশ্রীতে স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে গুলি করে ডাকাতির চাঞ্চল্যকর ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তাদের কাছ থেকে লুণ্ঠিত স্বর্ণালংকার ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার (৮ মার্চ) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানান ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- কাউছার, ফরহাদ, খলিলুর রহমান, সুমন, দুলাল চৌধুরী ও আমিনুল।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, শুক্রবার রাজধানী ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, বরিশাল, পিরোজপুর ও মাদারীপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে লুণ্ঠিত স্বর্ণের মধ্যে ৪ ভরি ৯ আনা স্বর্ণ, বিক্রিত স্বর্ণের নগদ ২ লাখ ৪৪ হাজার ৫০০ টাকা, ডাকাতির ঘটনায় ব্যবহৃত একটি ৭.৬২ এমএম রিভলভার, ৪ রাউন্ড গুলি ও একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ভুক্তভোগী আনোয়ার হোসেন একজন স্বর্ণ ব্যবসায়ী। তিনি রামপুরা থানার সি ব্লকের অ্যাভিনিউ রোড-৫ এর ‘অলংকার জুয়েলার্স’ দোকানের মালিক। প্রতিদিনের মতো তিনি গত ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে দোকান বন্ধ করে ১৬০ ভরি স্বর্ণ ও নিয়ে নগদ এক লাখ টাকাসহ বাসায় ফিরছিলেন। এ স্বর্ণের আনুমানিক বাজার মূল্য ২ কোটি ৪৭ লাখ ২৪ হাজার টাকা। রাত পৌনে ১১টার দিকে বনশ্রী ডি ব্লক ৭ নম্বর রোডের ২০ নম্বর বাড়ির নিজ ভাড়া বাসার গেটের সামনে পৌঁছামাত্র তিনটি মোটরসাইকেলে করে ৬/৭ জন দুষ্কৃতকারী আগ্নেয়াস্ত্র ও চাপাতিসহ তার গতিরোধ করে। তার কাছে থাকা স্বর্ণ ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার সময় আনোয়ার হোসেন বাধা প্রদান করলে দুষ্কৃতকারীরা তাকে ৪/৫ রাউন্ড গুলি করে। দুষ্কৃতকারীদের ছোড়া গুলি তার বাম হাঁটু ও বাম পায়ের উরুতে আঘাত করে। এ সময় দুষ্কৃতকারীরা তাদের হাতে থাকা চাপাতি দিয়ে আনোয়ার হোসেনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে গুরুতর জখম করে তার সঙ্গে থাকা সাইড ব্যাগে রক্ষিত স্বর্ণ ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত ভুক্তভোগী আনোয়ার হোসেনকে রামপুরার স্থানীয় একটি হাসপাতালে ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্ত্রী বাদী হয়ে রামপুরা থানায় গত ২৪ ফেব্রুয়ারি একটি মামলা করেন।
শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, এরপর থানা পুলিশের পাশাপাশি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগ ঘটনার রহস্য উদঘাটন ও জড়িতদের গ্রেপ্তারে কাজ শুরু করে। আগের বিভিন্ন ডাকাতির ঘটনা বিশ্লেষণ, ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে বরিশাল হতে একজন ডাকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্য মতে, বনশ্রীতে ডাকাতি ঘটনার আগে ওই ঘটনায় জড়িতরা একটি প্রস্তুতি বৈঠক করে। প্রাপ্ত তথ্য ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ডিবির চারটি আভিযানিক দল নিরলস প্রচেষ্টার মাধ্যমে রাজধানী ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, বরিশাল, পিরোজপুর এবং মাদারীপুরে অভিযান চালিয়ে ডাকাতদের গ্রেপ্তার করে। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে একাধিক ডাকাতি মামলা রয়েছে এবং তাদের অপরাধের ধরনও একই রকম।