প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৭:৩১ পিএম
আপডেট : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৭:৩২ পিএম
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্টস ট্রেনিং স্কুলের (ম্যাটস) শিক্ষার্থীরা। প্রবা ফটো
চার দফা দাবি আদায়ে আন্দোলনে পুলিশি ‘হামলার’ তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্টস ট্রেনিং স্কুলের (ম্যাটস) শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সাধারণ ম্যাটস শিক্ষার্থী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন তারা।
অবস্থান কর্মসূচিতে সাধারণ ম্যাটস শিক্ষার্থী ঐক্য পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সিনিয়র সমন্বয়ক হাসিবুল ইসলাম বলেন, “চার দফা নিয়ে দাবি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছি। মন্ত্রণালয় আশ্বাস দিয়েছে। বলেছে- ‘দাবি পূরণে কাজ চলমান থাকবে’। চলমান আছে, চলছে- এই কথাগুলো আমরা কয়েক মাস ধরে শুনছি। এখন বাস্তায়ান চাই।”
তিনি বলেন, ‘গত ২২ তারিখে আমরা শাহবাগে একটা প্রোগ্রাম করেছিলাম। এরপর সেখনে আমাদের ৬ জন প্রতিনিধিকে ডেকে নেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে আমরা আচলোনা করি। স্বাস্থ্য শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবা সচিব ছিলেন। তারা আমাদের লিখিত দেন। সাত দিনের সময় নেন তারা। আজ ১৭ দিন হলেও কাজের সুরাহা করেনি। এখন তাদের দপ্তরে গেলে হুমকির শিকার হই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আন্দোলন বন্ধ করে দাবি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে গেলে তাদের সুর অন্য রকম থাকে। আজ স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরে গিয়ে কোর্স কারিকুলামের বিষয়ে কথা বললাম। তারা ছোট দুটি বিষয় বাস্তাবায়নের জন্য আমাদের আশ্বাস দেন। কিন্তু তারা গেজেট প্রকাশ করেনি। আমরা চাই অতিদ্রুত তারা গেজেট প্রকাশ করুক।
সমন্বয়ক আহমদ উল্লাহ মনসুর বলেন, ‘ম্যাটস শিক্ষাথীদের চার দফা দাবি পূরণে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আশ্বাস দিলেও কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। আমরা বাস্তবায়ন চাই।’
এর আগে রবিবার সকাল থেকে চার দফা দাবি আদায়ে শাহবাগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়মুখী রাস্তা অবরোধ করে রাখেন ম্যাটস শিক্ষার্থী। বিকালে তাদের পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল কথা বলতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যায়। কিন্তু সেই প্রতিনিধি দল ফিরে আসার আগেই বিকাল ৪টায় চার দফা দাবিতে লংমার্চ নিয়ে সচিবালয় অভিমুখে ম্যাটস শিক্ষার্থী রওনা হয়। বিকাল পৌনে ৫টায় মিছিলটি শিক্ষা ভবনের সামনে এলে পুলিশ তাতে বাধা দেয় এবং লাঠিচার্জ করে।
ম্যাটস শিক্ষার্থীদের চার দাবি হলো-
১। ১ যুগের (১২ বছরের) অধিক সময় ধরে নানান অজুহাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর এর শূন্য পদে বন্ধকৃত নিয়োগ অভিযুক্ত সচল করতে হবে এবং কমিউনিটি ক্লিনিকে চিকিৎসা প্রদানের লক্ষে উপসহকারি কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার পদ সৃষ্টি করতে হবে। (কারণ, ওখানে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য চিকিৎসা শিক্ষায় শিক্ষিতদের এখন পর্যন্ত নিয়োগ দেওয়া হয়নি কিন্তু এন্টিবায়োটিকসহ অন্যান্য ঔষধের মাধ্যমে সেবা প্রদান করা হয়, যা জনগণের সাথে এক ধরনের প্রতারণা)।
২। প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন, কোর্সের নাম পরিবর্তন (১৯৮৫ সালের সিদ্ধান্ত) সহ ২০২১ এর কোর্স কারিকুলামের ত্রুটি ও অসংগতি সমাধান করে নতুন ইন্টার্ন লগবুক প্রনয়ণ করতে হবে।
৩। উচ্চ শিক্ষা বঞ্চিত, বিএমএন্ডডিসি স্বীকৃত ক্লিনিক্যাল বিষয়ে উচ্চ শিক্ষা প্রদান করতে হবে।
৪। প্রস্তাবিত এলাইড হেলথ প্রফেশনাল বোর্ড খসড়া আইনের নাম পরিবর্তনসহ প্রস্তাবিত সকল ধারায় সংশোধনীসহ বাস্তবায়ন করতে হবে।