প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৭ জানুয়ারি ২০২৫ ০০:০৬ এএম
আপডেট : ২৭ জানুয়ারি ২০২৫ ০০:৪০ এএম
রাজধানীর নীলক্ষেত এলাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ককটেল বিস্ফোরণের শব্দও শুনতে পেয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চার প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
রবিবার (২৬ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টার দিকে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
এর আগে রাত সাড়ে ১০টায় সায়েন্সল্যাব মোড় থেকে অবরোধ তুলে মিছিল নিয়ে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা ঢাকা কলেজ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন। ঢাকা কলেজের আবাসিক হল থেকে আরও শিক্ষার্থী নিয়ে ঢাবি ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে প্রো-ভিসির বাসভবন ঘেরাওয়ের ঘোষণা দেন তারা।
এদিন সন্ধ্যার পর থেকে ভর্তি পরীক্ষায় কোটা পদ্ধতি বাতিলসহ পাঁচ দফা দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ, সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড় ও মিরপুর সড়কের টেকনিক্যাল মোড় অবরোধ করেন সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। এতে আশপাশের সড়কগুলোয় তীব্র যানজট তৈরি হয়। ভোগান্তিতে পড়েন মানুষ। বিশেষ করে অফিস ফেরত চাকরিজীবীরা।
শিক্ষার্থীরা জানান, সাত কলেজের ভর্তির আসন কমানোসহ ৫ দফা দাবি নিয়ে আলোচনা করতে ঢাবি প্রোভিসির (শিক্ষা) কাছে গেলে তিনি অশোভন আচরণ করে রুম থেকে বের করে দেন। তিনি বলেন, সাত কলেজের বিষয়ে কিছু জানেন না। এর প্রতিক্রিয়ায় সায়েন্স ল্যাব ও টেকনিক্যাল মোড়ে রাস্তা অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা দাবিগুলো হচ্ছে- ২০২৪-২৫ সেশন থেকেই সাত কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় অযৌক্তিক কোটা পদ্ধতি বাতিল করতে হবে; শ্রেণিকক্ষের ধারণক্ষমতার বাইরে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো যাবে না; শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে হবে; নেগেটিভ মার্ক যুক্ত করতে হবে; সাত কলেজের ভর্তি ফির স্বচ্ছতা নিশ্চিতে, মন্ত্রণালয় গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটির সঙ্গে সমন্বয় করে ঢাবি ব্যতীত নতুন অ্যাকাউন্টে ভর্তি ফির টাকা জমা রাখতে হবে।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, দাবিগুলোর বিষয়ে ২১ দিন আগে স্মারকলিপি দেওয়া হলেও ঢাবি প্রোভিসি তা পড়েননি। সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের চেনেন না বলেই তিনি আক্রমণমূলক ব্যবহার করেছেন।
সাত কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর আন্দোলনের ফোকাল পার্সন ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী আব্দুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, সাত কলেজকে স্বতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। এ বিষয়ে কিছু দাবি জানাতে আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মামুন আহমেদের কাছে গিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি আমাদের অপমান করেছেন। এর প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করেছি। তিনি বলেন, উপউপাচার্যকে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। তিনি যদি ক্ষমা চান, তাহলে আমরা আন্দোলন বন্ধ করব।
ডিএমপির রমনা বিভাগের নিউ মার্কেট জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার তারিক লতিফ বলেন, সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন দাবিতে সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়ে সড়ক অবরোধ করে। এতে সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। রাতে তারা সড়ক ছেড়ে নীলক্ষেত মোড়ে অবস্থান নিয়েছে। এছাড়া ঢাবি শিক্ষার্থীরাও একই স্থানে অবস্থান নিয়েছে। পুলিশ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছে।