ঢামেকের ভেতর-বাহির ৩
আসাদুজ্জামান তপন
প্রকাশ : ১৪ জানুয়ারি ২০২৫ ০৯:৩০ এএম
আপডেট : ১৪ জানুয়ারি ২০২৫ ১১:৩০ এএম
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। ছবি : সংগৃহীত
বিমানবন্দর, বিআরটিএ আর পাসপোর্ট অফিসের পাশাপাশি ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল এখন আনসার সদস্যদের একটি বিশেষ অংশের কাছে অনেকটা স্বর্গরাজ্য। কর্মস্থল হিসেবে এই জায়গাটি বেছে নিতে তাদের অনেকেই মরিয়া। ঢামেকে পোস্টিং পাওয়াটা তাদের কাছে যেন সোনার খনির সন্ধান পাওয়ার মতো।
ঢামেকের প্রতি আনসার সদস্যদের এই আকর্ষণের অন্যতম কারণ হচ্ছে, দেশের এই প্রধান স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রটি নানামুখী অপকর্মের আখড়া হয়ে উঠেছে। আর এখানে দায়িত্বরত অসাধু আনসার সদস্যদের আনুকূল্যে কোনো ধরনের ঝুটঝামেলা ছাড়াই অপকর্ম করে পার পাওয়া যায়। বিনিময়ে প্রতিদিন আনসারদের পকেটে ঢোকে মোটা অঙ্কের টাকা। ফলে এখানে পোস্টিং পেতেও তাদেরকে গুনতে হয় অনেক টাকা।
সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, ঢামেকের এই অপরাধ সাম্রাজ্যে রাজার দায়িত্ব পালন করেন আনসার ক্যাম্পের প্লাটুন কমান্ডার (পিসি)। তাদের কারণেই এখানে বিরাজ করছে চাঁদাবাজ আর দালালদের আধিপত্য। চতুর্থ এবং তৃতীয় শ্রেণির কর্মকর্তাদের একটি বড় অংশও নেপথ্যে থেকে এই আনসারদের নানা অনৈতিক কাজে সহযোগিতা করেন। যোগসাজশ রয়েছে ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের অনেক সদস্যেরও। ফলে এদের অপকর্মের প্রতিবাদ করার সাহস পান না কেউ।
এদিকে মোটা অঙ্কের টাকা খরচ করে ঢামেকে পোস্টিং নিয়ে আসার পরও প্রতি সপ্তাহে সংশ্লিষ্ট আনসার সদস্যদের গুনতে হয় চাঁদার টাকা। আর এই টাকা সংগ্রহ করতেই সাধারণ আনসার সদস্যরা ঢামেকে বিভিন্ন অপরাধ চক্রের সঙ্গে হাত মিলিয়ে তাদের অপরাধ করার সুযোগ করে দেয়। আর এর প্রভাব গিয়ে পড়ে পুরো হাসপাতালের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ওপর।
ঢামেকে কর্মরত একাধিক সূত্রের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। ঢামেক হাসপাতালে কর্মরত কয়েকজন আনসার সদস্যের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাদের দক্ষিণ বিভাগকে শুধু মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে এখানে পোস্টিং নিয়ে এলেই চলে না। এখানে সুবিধাজনক শাখায় কাজ পেতে চাইলে তাদের প্লাটুন কমান্ডারকে নিয়মিত টাকা দিতে হয়। তাদের কাজের এলাকার দায়িত্ব বণ্টন নিয়েও চলে পিসির বিট-বাণিজ্য। প্রাপ্য ছুটি পেতেও গুনতে হয় অর্থ।
দায়িত্বরত আনসার সদস্যদের পোস্টিং ও পছন্দের শাখায় দায়িত্ব পালনের সুবিধা দিয়ে প্রতি সপ্তাহে লাখ লাখ টাকা আদায় করেন পিসি। বছরজুড়ে এই অনৈতিক আয়ের অঙ্ক দাঁড়ায় কমপক্ষে দুই কোটি টাকা। ঘুষ-উৎকোচ বাণিজ্যের এই ফান্ড থেকে পিসি এককভাবে পান ৭০ লাখ টাকা। বাকি টাকা চলে যায় ওপরমহল আর অন্য সদস্যদের পকেটে।
পিসিকে দেওয়া বিভাগীয় এই চাঁদার টাকা সাধারণ আনসার সদস্যরা সংগ্রহ করেন ঢামেক-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন অপরাধ চক্র থেকে। আয়ের এসব উৎস হচ্ছে হাসপাতালের ওষুধ চোর চক্র, দালাল ও বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি।
আনসার সদর দপ্তরের সূত্রমতে, তাদের কাছেও এমন অভিযোগ একাধিকবার এসেছে। এ ধরনের অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে এর আগে কয়েকজনকে বদলি এবং সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এক মাসেই দুই-তিনবার পিসি বদল করা হয়েছে এমন ঘটনাও ঘটেছে।
তবে ঢাকা মেডিকেলে আনসার সদস্যদের এসব অপকর্ম যা চলে খুবই নিম্নমানের চাঁদাবাজি। আসলে চাঁদা নয়, বকশিশ বা দয়া হিসেবে তারা টাকা পায়। এদের টাকার উৎস হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স, ফুটপাত, সরকারি ওষুধ চোর আর রোগী ভাগিয়ে নেওয়া দালাল চক্র। বাহ্যিকভাবে সাধারণ রোগীরা এদের দ্বারা তেমন একটা হয়রানির শিকার হয় না।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, হাসপাতালের যেসব ওয়ার্ডে দালাল, বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের রক্ত বা প্যাথলজিকাল স্যাম্পল সংগ্রহকারী, ওষুধ চোর, স্পেশাল বুয়া, বহিরাগত ট্রলিম্যান, বহিরাগত হুইল চেয়ারধারী, রোগীদের বারান্দা ও সিঁড়িতে বিশেষ বিছানা করে দেওয়া সিন্ডিকেট, অ্যাম্বুলেন্সের দালাল, মর্গ, নবজাতক চোর, সাধারণ চোর (রোগীদের মোবাইলসহ অন্য সরঞ্জাম চোর), বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির মেডিকেল প্রতিনিধি এবং মাদকাসক্ত রক্ত বিক্রেতাদের আনাগোনা বেশি সেসব স্থানেই আনসাররা দায়িত্ব পালন করতে বেশি আগ্রহী। কারণ এদের কাছ থেকেই তারা দৈনিক বা মাসোহারা ভিত্তিতে টাকা পান। এদের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকেন হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার, নার্স, ওয়ার্ড বয় থেকে শুরু করে চতুর্থ শ্রেণির অনেক কর্মচারী এবং তাদের নেতারা।
ঢামেক হাসপাতালে দায়িত্বরত আনসার সদস্যদের মধ্যে দুজনের ভাষ্য, পিসির নির্দেশে হাসপাতালের বিভিন্ন বিট বাবদ তাদের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করেন কয়েকজন সহকারী প্লাটুন কমান্ডার (এপিসি)। প্রতি সপ্তাহে জমানো টাকা তুলে দিতে হয় পিসির হাতে। না দিলে ওই আনসার সদস্যকে অন্য শাখায় বদলি করে দেওয়া হয়, যে বিটে বাড়তি আয়ের সুযোগ কম। পিসির নির্দেশে এই বণ্টনের কাজ করেন একজন মুন্সী।
অভিযোগ আছে, হাসপাতালের ২১১, ২১২, ২০৪ ও ১০৬ নম্বর ওয়ার্ড, অপারেশন থিয়েটার (১০৪, ১০৫), প্যাথলজি, সিটি স্ক্যান, এক্স-রে, আলট্রাসনোগ্রাফি, ব্লাড ব্যাংক এবং জরুরি ও বহির্বিভাগ আনসার সদস্যদের কাছে সবচেয়ে লাভজনক বিট বা কর্মস্থল।
পিসির অধীনে ঢামেক হাসপাতালে প্রায় ৩০২ জন আনসার সদস্য রয়েছেন। ছুটিতে যেতে তাদের প্রত্যেককে দিতে হয় দুই হাজার টাকা। নিয়ম অনুযায়ী, প্রতি মাসে দুবার ২০ শতাংশ সদস্য ছুটিতে যান। অর্থাৎ ১৫ দিন পরপর গড়ে ৮০ জন আনসার সদস্য ছুটিতে থাকেন। এ ছাড়া জরুরি প্রয়োজনে আরও ১০-১৫ জন ছুটি নেন। তারা মোট ১২ দিন ছুটি পান। কেউ এর চেয়ে বেশি দিন ছুটিতে গেলে পিসিকে দেওয়া চাঁদার পরিমাণ বেড়ে যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক আনসার সদস্য জানান, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিন শিফটে ডিউটি করতে হয়। ‘এ’ শিফট (সকাল), ‘বি’ শিফট (বিকাল) ও ‘সি’ শিফট (রাত)। এই তিন শিফটে নিজের পছন্দ অনুযায়ী ওয়ার্ডে বা বিটে ডিউটি দেন পিসির নির্দেশে মুন্সী। সে ক্ষেত্রে একেক শিফটের জন্য একেক পরিমাণ অর্থ দিতে হয়।
২১১ নম্বর ওয়ার্ড শিশু এনআইসিইউ ও নবজাতকদের (নিওনেটোলজি বিভাগ) জন্য বরাদ্দ। ২১২ নম্বর গাইনি ও প্রসূতি ওয়ার্ড। এ দুই ওয়ার্ডে ডিউটি নিতে হলে আনসার সদস্যদের প্রতি সপ্তাহে ‘এ’ শিফটে ৪০ হাজার, ‘বি’ শিফটে ৩২ হাজার ও ‘সি’ শিফটে ৪৫ হাজার টাকা করে দিতে হয়। এক্স-রে ইউনিটে দায়িত্ব নিতে সপ্তাহে দিতে হবে ‘এ’ ও ‘বি’ শিফটে ৭ হাজার করে এবং ‘সি’ শিফটের জন্য তিন হাজার টাকা। সিটি স্ক্যান ইউনিটে দায়িত্ব নিতে ‘এ’ শিফটে চার হাজার, ‘বি’ শিফটে চার হাজার এবং ‘সি’ শিফটের জন্য দুই হাজার টাকা করে দিতে হয়।
আলট্রাসনোগ্রাফি ইউনিটে ডিউটি পেতে ‘এ’ শিফটের জন্য প্রতি সপ্তাহে দিতে হয় চার হাজার টাকা ও ‘বি’ শিফটের জন্য দুই হাজার টাকা। ব্লাড ব্যাংক ইউনিটে দায়িত্ব পেতে সপ্তাহে এ-শিফটের জন্য চার হাজার, বি-শিফটের জন্য তিন হাজার এবং সি-শিফটের জন্য দুই হাজার টাকা দিতে হয়।
এ ছাড়া প্যাথলজি বিভাগে দায়িত্ব পেতে এ-শিফটের জন্য প্রতি সপ্তাহে ছয় হাজার, বি-শিফটের জন্য চার হাজার এবং সি-শিফটের জন্য দুই হাজার; ১০৪-১০৫ নম্বর ওয়ার্ডে অপারেশন থিয়েটারে এ-শিফটের জন্য দুই হাজার, বি-শিফটের জন্য দুই হাজার এবং সি-শিফটের জন্য এক হাজার এবং ১০৬ নম্বর ওয়ার্ডে ডিউটি নিতে এ-শিফটের জন্য দুই হাজার এবং বি-শিফটের জন্য দুই হাজার ২০০ টাকা দিতে হয়। ২০৪ নম্বর ওয়ার্ডে তিন শিফটের জন্য প্রতি সপ্তাহে দিতে হয় আড়াই হাজার টাকা।
অবৈধ আয়ের আরেক খাত, বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বেঁধে দেওয়া নিয়ম রয়েছে, ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা সপ্তাহে দুদিন চিকিৎসকদের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন। এই নির্দেশনা কঠোরভাবে বাস্তবায়নের দায়িত্ব আনসার সদস্যদের।
বাস্তবে প্রতিদিনই পাঁচ শতাধিক মেডিকেল প্রতিনিধি হাসপাতালে আসেন এই আনসার সদস্যদের ম্যানেজ করে। বহির্বিভাগে ওষুধ কোম্পানিগুলোর বিক্রয় প্রতিনিধিদের একেকজনের কাছ থেকে প্রতি মাসে আদায় হয় ১০ হাজার টাকা। তা না দিলে তাদেরকে বহির্বিভাগে ঢুকতে দেওয়া হয় না।
ঢামেক হাসপাতালে দায়িত্বরত কয়েকজন আনসার সদস্য এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘কষ্টের পরিমাণ আমাদের বেশি। বিট থেকে টাকাও তুলি আমরা। অথচ আমাদের দেওয়া হয় খুবই কম। বাইরে থেকে আয় করা টাকা পিসিই নেন। উল্টো আমাদের ছুটি পেতেও একেকজনকে গুনতে হয় দুই হাজার টাকা।
ঢামেক হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, বিভিন্ন বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের দালাল এখানে ব্যাপকভাবে সক্রিয়। তাদেরকে হাসপাতালে নির্বিঘ্নে রোগী শিকারের কাজের সুযোগ দিতে প্রতি মাসে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেন পিসি। শুধু তা-ই নয়, দালালদের প্ররোচনায় ২১১ ও ২১২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে রোগীদের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে দেন তিনি। এ দুই ওয়ার্ডে আয় বেশি। এ কারণে টাকার বিনিময়ে অসাধু আনসার সদস্যরা এখানে দায়িত্ব নিতে বেশি আগ্রহী থাকেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢামেকের এক কর্মকর্তা বলেন, এই আনসাররাই মূলত হাসপাতালের দালাল চক্রকে লালন করেন। তাদের কারণেই দালাল উচ্ছেদ সম্ভব হয় না। ওষুধ চোর চক্রও আনসার সদস্যদের ম্যানেজ করে তাদের কার্যসিদ্ধি করে।
তিনি আরও বলেন, আনসারদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ নতুন নয়। এর আগে এ ধরনের অপকর্ম হাতেনাতে ধরা পড়ায় এক পিসিকে তিন বছরের জন্য সাসপেন্ড করা হয়।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে গত শনিবার পিসি বাবুল সরদার প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগের সবই মিথ্যা। তিন মাস ধরে এখানে আছি। তবে পিসির দায়িত্ব পালন করছি ২৫ ডিসেম্বর থেকে। এর আগে পিসি ছিলেন মিজানুর রহমান। তিনি আমাকে কোনো টাকা দেননি। আমি বরং মিজানকে এ ধরনের অনৈতিক কাজ করতে নিষেধ করেছি। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার করা হচ্ছে।’
বাবুল সরদার জানান, তাকে এই ক’দিনের মাথায়ই আবার বদলি করা হয়েছে। নতুন পিসির দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে সেলিম নামে একজনকে।
ঢাকা মেডিকেলে দায়িত্ব পালন করেছেন আনসারের এমন একজন সাবেক প্লাটুন কমান্ডার (পিসি) প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘ভাই, আনসার সদস্যরা এমনিতেই অবহেলার পাত্র। তাদের এই সামান্য অপরাধগুলো কী মার্জনার চোখে দেখা যায় না? ঢামেকে বদলি হয়ে আসতে একজন আনসার সদস্যকে সদর দপ্তর এবং আমাদের দক্ষিণ বিভাগে মোটা অঙ্কের টাকা দিতে হয়। একটু সুবিধাজনক অবস্থায় থাকার জন্য তারা টাকা দিয়ে হলেও এখানে আসেন। কিছু লিখতে হলে সেসব ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে লিখুন, যারা মূলত এই বাণিজ্য টিকিয়ে রেখেছে।’
আনসারদের বিরুদ্ধে আসা এসব অভিযোগের ব্যাপারে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার আসাদুজ্জামান প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘তাদের প্রধান কাজ আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা। তাদের বিরুদ্ধে এ ধরনের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ আমার কাছেও এসেছে। আমি তাদের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে তাৎক্ষণিক বদলির ব্যবস্থা করেছি।’
এ ব্যাপারে আনসারের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জোনের পরিচালক ফেরদৌস আহমেদ গতকাল সোমবার টেলিফোনে প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘কোনো আনসার সদস্যের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিক ব্যাবস্থা নেওয়া হয়। এর আগেও অনেক আনসার সদস্যের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। হাসপাতালে কর্মরতদের সার্বক্ষণিক মনিটরিংয়ে রাখা হয়। এ ধরনের ঢালাও অভিযোগ ঠিক নয়। এরপরও কোনো আনসার সদস্যের বিরুদ্ধে কারও অভিযোগ থাকলে তাকে ঊর্ধ্বতন মহলের নজরে আনার আহ্বান জানাচ্ছি।’ ( শেষ)