উত্তরা পূর্ব থানা
প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১০ জানুয়ারি ২০২৫ ২০:৩৯ পিএম
আপডেট : ১০ জানুয়ারি ২০২৫ ২০:৪৯ পিএম
পলাতক ওসি শাহ আলম (বামে) এবং ওসি মো. মহিবুল্লাহ (ডানে)। সংগৃহীত
পুলিশ হেফাজত থেকে ঢাকার উত্তরা পূর্ব থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলমের পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় বর্তমান ওসি মহিবুল্লাহকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় তাকে প্রত্যাহার করে সদর দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানিয়েছেন, মহিবুল্লাহর স্থানে বর্তমানে থানার সর্বোচ্চ সিনিয়র কর্মকর্তা ওসির দায়িত্ব পালন করবেন।
এদিকে পালানো পুলিশের সাবেক ওসি শাহ আলমকে গ্রেপ্তারের জন্য সারা দেশে রেড অ্যালার্ট জারি করার কথা জানিয়েছে পুলিশ। শুক্রবার ডিএমপির উত্তরা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) রওনক জাহান জানান, গ্রেপ্তারকৃত সাবেক ওসি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় পুলিশ সদর দপ্তর থেকে রেড অ্যালার্ট জারিসহ সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে উত্তরা পূর্ব থানা হেফাজত থেকে পালিয়ে যান শাহ আলম, যাকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মামলায় গত বুধবার কুষ্টিয়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে আদালতে সোপর্দ করার প্রক্রিয়া চলার মধ্যেই কৌশলে পালিয়ে যান সাবেক ওসি। এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে ইতোমধ্যে থানার এএসআই সাজ্জাদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার উত্তরা পূর্ব থানার ওসির কক্ষ থেকে পালান শাহ আলম। অভিযোগ উঠেছে, হত্যা মামলার আসামি শাহ আলমকে গ্রেপ্তার করে হাজতখানায় না রেখে ওসির কক্ষে রাখা হয়। পুলিশ সদস্যের অবহেলায় তিনি পালাতে সক্ষম হন।
পালিয়ে যাওয়া পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে শুক্রবার সকালে উত্তরা পূর্ব থানার ওসি মো. মহিবুল্লাহ জানিয়েছিলেন, পলাতক সাবেক ওসিকে ধরতে সেনাবাহিনী, র্যাব ও পুলিশের সবকটি ইউনিট কাজ করছে। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তাও নেওয়া হচ্ছে। আশা করি, দ্রুত তাকে গ্রেপ্তার করতে পারব।
গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনায় হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামি ছিলেন শাহ আলম। গত ১ আগস্ট উত্তরা পূর্ব থানায় যোগদান করেছিলেন তিনি।
ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনায় গত ২ সেপ্টেম্বর শাহ আলমের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করা হয়। ওই মামলায় গত বুধবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন বৃহস্পতিবার আদালতে সোপর্দ করার প্রক্রিয়া চলছিল। এর মধ্যেই তিনি কৌশলে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার কারণে দায়িত্বরত একজন সহকারী উপপরিদর্শককে (এএসআই) সাসপেন্ড করা হয়েছে।