প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৮ জানুয়ারি ২০২৫ ১৫:১৫ পিএম
আপডেট : ০৮ জানুয়ারি ২০২৫ ১৯:১৩ পিএম
সম্প্রতি বিভিন্ন গোষ্ঠী তাদের দাবি আদায়ের জন্য রাজপথ দখল করে উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, তারা মনে করে রাজপথ দখল করলে দাবি আদায় সম্ভব। কিন্তু এটা সমাধান নয়।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর শাহবাগে ঢাকা ক্লাবে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্রাব) বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, রাজপথ দখলের কারণে ঢাকা শহরের ট্রাফিক পরিস্থিতি ভঙ্গুর হয়ে যায়। বিশেষ করে মিরপুর, এয়ারপোর্ট ও রামপুরা রোডে বেশি সমস্যা দেখা দেয়।
তিনি বলেন, ঢাকায় উত্তর ও দক্ষিণের রাস্তা খুবই কম। একটি রাস্তা বন্ধ হয়ে গেলে সবকিছু থেমে যায়। আপনারা দাবি আদায়ের বিষয়ে খোলামাঠ, অডিটোরিয়াম বেছে নিন। দাবি আদায়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ডেকে আলোচনা করে সমস্যা সমাধান করুন।
ঢাকাবাসীর ট্রাফিক ব্যবস্থাকে আরও ভঙ্গুর না করার অনুরোধ জানান ডিএমপি কমিশনার।
তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পরে পুলিশ কিছুটা নিষ্ক্রিয় ছিল তবে সেগুলো থেকে উতরে আসার চেষ্টা চলছে। সেদিনের পর ঢাকা মহানগর পুলিশের মনোবল ভেঙে পড়ার ফলে তাৎক্ষণিক কিছু সমস্যা আছে সেগুলো আমরা কাটিয়ে উঠতে চেষ্টা করে যাচ্ছি। পুলিশবিহীন একটি সমাজ কেমন হতে পারে ৫ আগস্টের পর আমরা দেখেছি। চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতি বেড়ে যায়; তবে গত পাঁচ মাসে ওইসব অপরাধ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছি।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, গত ১৫ বছরের পুলিশের আচরণ থেকে পুলিশ বের হতে চায়। তাদের প্রশিক্ষণের প্রয়োজন রয়েছে। একই সঙ্গে ৪০ হাজার পুলিশকে পরিবর্তন করা সম্ভব নয়।
ছিনতাইরোধে ডিএমপি কাজ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি যে অপরাধটি মানুষের মনে শঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সেটি হলো ছিনতাই। এই ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত অধিকাংশ অল্পবয়সি মাদকাসক্ত ছেলেরা। ২০ থেকে ২২ বছরের ছেলেরা মাদকের টাকা জোগাতে নানা অপরাধের সঙ্গে জড়িত হচ্ছে। এই ছিনতাইয়ের অধিকাংশ হয় বাস ও প্রাইভেটকারে কথা বলার সময়ে। ছিনতাইকারী থেকে বাঁচতে মোবাইল ও ব্যাগ নিজের নিরাপত্তায় রাখুন। আপনি সতর্ক থাকলে আমাদেরকে সহযোগিতা করা হবে। ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে আমি ব্যাপক সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দিনে রাতে টহল বাড়ানোর পাশাপাশি ডিবি পুলিশকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।