প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৪ অক্টোবর ২০২৪ ১৮:২৪ পিএম
আপডেট : ২৪ অক্টোবর ২০২৪ ১৮:৫৭ পিএম
কুড়িগ্রাম-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘সাবেক সংসদ সদস্য ও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনকে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ। তার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে।’
জাকির হোসেন ১৯৭৭ সালে ছাত্রলীগে যোগদান করে ১৯৮১ সালে কুড়িগ্রাম কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হন। তিনি ২০১৫ সাল থেকে রৌমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুড়িগ্রাম-৪ আসন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন জাকির হোসেন। এরপর ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একই আসন থেকে তিনি দ্বিতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
অভিযোগ রয়েছে, সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলেন জাকির হোসেন। ঢাকায় তার মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবনে চলতো ঘুষের লেনদেন। প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন পিয়ন থেকে শিক্ষক পর্যন্ত নিয়োগ ও প্রকল্পের ঘুষের টাকা লেনদেন হতো ওই ভবনে বসেই। তার স্ত্রী ও ভাগিনাসহ নিকট আত্মীয়রা ছিল দুর্নীতির মাধ্যম। গত বছরের ডিসেম্বরে বাধ্য হয়ে ঘুষের টাকা ফেরতও দিতে হয়েছিল জাকির সিন্ডিকেটকে। নামে-বেনামে জাকির হোসেনের ঢাকায় একাধিক বাড়ি, রংপুরে বাড়ি, কুড়িগ্রাম জেলা শহরে বহুতল বাড়ি, রৌমারীতে দুটি বাড়ি এবং রাজিবপুর উপজেলায়ও রয়েছে একটি বাড়ি। চারটি মার্কেট, সরকারি ও ব্যক্তিমালিকানাধীন জমি দখল করে ৫টি স্থানে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছেন। মিল, চাতাল, খামারবাড়ি-সবই আছে তার। যার মূল্য কয়েকশ কোটি টাকা।
আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর বিভিন্ন মামলায় আওয়ামী লীগ আমলের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের পাশাপাশি বেশ কিছু সাবেক সরকারি কর্মকর্তাকেও আসামি করা হয়েছে। ইতোমধ্যে তাদের কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।