প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৪ আগস্ট ২০২৪ ২১:৩৬ পিএম
আপডেট : ১৪ আগস্ট ২০২৪ ২৩:৪৫ পিএম
মোমবাতি প্রজ্বালন ও এক মিনিট নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে। বুধবার (১৪ আগস্ট) বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। কর্মসূচি পালন শেষে ফেরার পথে অভিনয় শিল্পী রোকেয়া প্রাচীরের ওপর হামলা হয়েছে।
৩২ নম্বরে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিটি ৫ আগস্ট ভেঙে ফেলে দুর্বৃত্তরা। এ অবস্থায় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নিহত বঙ্গবন্ধুসহ সব শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে জাতির পিতার ছবি বসিয়ে ওই কার্যক্রম শুরু হয়। মোমবাতি প্রজ্বালন শেষে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন। এ সময় শিল্পী মনিরুজ্জামান, সঞ্জীব ইসলাম, মাহবুব খানসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
রোকেয়া প্রাচী বলেন, ‘আজ আমরা সবাই এখানে একত্রিত হয়েছি কারণ বাংলাদেশ পুড়েছে। আমরা সবাই একত্রিত হয়েছি কারণ আমাদের ১৯৭১ পুড়েছে। আমরা এখানে একত্রিত হয়েছি কারণ আমাদের বঙ্গবন্ধু ছবি পুড়েছে, ধানমন্ডি ৩২ পুড়েছে। আমরা এখানে কোনো রাজনীতির কথা বলতে আসিনি। বাংলাদেশ আমাদের সবার।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এখানে শোক প্রকাশ করতে এসেছি শান্তিপূর্ণভাবে। আমরা বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা করি। তিনি আমাদের জন্য এই বাংলাদেশ দিয়েছেন, সংবিধান দিয়েছেন। এই বত্রিশ যখন পুড়েছে তখন আমাদের মনে হয়েছে আমরা পুড়েছি। আমরা ধানমন্ডি ৩২ এ দাঁড়িয়ে সারাবিশ্বের এই মহানায়কের কাছে ক্ষমা চাইছি, আমরা লজ্জিত, বাঙালি জাতি আজ লজ্জিত।’
রোকেয়া প্রাচীর ওপর হামলা
প্রদীপ প্রজ্জ্বালন শেষে জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচীর ওপরে হামলা হয়েছে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে হামলার এ ঘটনা ঘটে। এ সময় অন্য সাংস্কৃতিক কর্মী ও সাধারণ মানুষও হামলার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার সকাল থেকে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রাঙ্গণে অবস্থান নেন শিল্পী। এর আগে অভিনেত্রী ফেসবুকে লেখেন, ‘আছি ধানমন্ডি ৩২ এ। হোক সব হত্যার, সব নৈরাজ্যের বিচার। বিচার হোক বাঙালির ইতিহাস হত্যার, আছি। আমরাও বিচার চাই। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে স্মরণ করব স্বাধীনতা এবং বঙ্গবন্ধুর ইতিহাস। আছি পুড়ে যাওয়া ৩২-এ।’ পরে তার সঙ্গে ৭০-৮০ জন সংস্কৃতিকর্মী যোগ দেয়। সন্ধ্যায় প্রদীপ প্রজ্জ্বালনের আয়োজন চলাকালে ৩০-৩৫ জন যুবক উপস্থিত হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তাদের হাতে লাঠিসোঁটা ছিল। তারা সবাইকে হুমকি দিয়ে সরিয়ে দেয়। এরপর বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাঙচুর করে। রোকেয়া প্রাচী সেটি ঠিক করতে গেলে তাকে লাঠি দিয়ে মারতে থাকে যুবকরা। একের পর এক আঘাতে অভিনেত্রী লুটিয়ে পড়েন। পরে তাকে দ্রুত সহশিল্পীরা ধরে বাইরে নিয়ে যান।