প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৩ আগস্ট ২০২৪ ১৬:৫৭ পিএম
আপডেট : ০৩ আগস্ট ২০২৪ ১৮:১৪ পিএম
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ। প্রবা ফটো
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে ঘিরে ছাত্র-জনতার নিহতের প্রতিবাদসহ ৯ দফা দাবি নিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করছে শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (৩ আগস্ট) বেলা ১১টা থেকে সড়কে অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা। এতে করে সড়কে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। শুধুমাত্র রোগীদের জন্য অ্যাম্বুলেন্স চলাচল করতে দেখা যায়। এ সময় পৃথকভাবে কাজলা হানিফ ফ্লাইওভার টোলপ্লাজা গেটে আলেম সমাজ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন।
মুহূর্তের মধ্যেই হাজার হাজার শিক্ষার্থী মহাসড়কে জড়ো হতে দেখা যায়। এ সময় তারা বিক্ষোভ মিছিলে বলছে আমার ভাই মরল কেন খুনি হাসিনা জবাব চাই, আমার ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দেব না। এই মুহূর্তে দরকার সেনা শাসক সরকার।
এদিকে ২০ জুলাই রায়েরবাগে ২ নম্বর গলিতে দোকানে পানি সরবরাহের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান জিসান নামের এক যুবক। স্বামী জিসানের মৃত্যুর শোক সইতে না পেরে ২ দিন পর তার স্ত্রী মিষ্টি আত্মহত্যা করে। ছেলে জিসানের মৃত্যুর খবর পেয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে দেশে চলে আসেন জিসানের বাবা বাবুল সরদার।
শনিবার ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে জিসানের বাবাও অংশগ্রহণ করে বিক্ষোভ করেন।
জিসানের বাবা এ সময় দনিয়া কলেজের সামনে তার ছেলের ছবি দেখিয়ে চিৎকার করে বলেন, ওই সেনাবাহিনী আমার ছেলে কী অপরাধ করেছিল, কেন তাকে গুলি করে হত্যা করা হলো। বারবার একথা বলে চিৎকার করছে বাবুল সর্দার। এ সময় শিক্ষার্থীরা সেনাবাহীনীর সামনে বিক্ষোভ করে বলছে এ মুহূর্তে দরকার সেনাবাহিনীর সরকার, আমার ভাই মরল কেন খুনি হাসিনা জবাব চাই, জেগেছেরে জেগেছে ছাত্র সমাজ জেগেছে।
সড়কে বিক্ষোভের সময় দেখা যায়নি পুলিশ। দনিয়া কলেজের সামনে অবস্থানরত সেনাবাহিনীর সামনেই শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করছে। তাদের কোনো অ্যাকশন নিতে দেখা যায়নি। তবে তারা কামান ও বন্ধুক তাক করে রয়েছে।
আন্দোলনকারীরা জানিয়েছে, দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত রাজপথেই অবস্থান করবে।