প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৩ আগস্ট ২০২৪ ১৬:৫৫ পিএম
আপডেট : ০৩ আগস্ট ২০২৪ ১৮:৩৩ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
শ্রাবণের বৃষ্টিভেজা দুপুরে বিক্ষোভে ফুঁসছে ঢাকা। কোটা সংস্কারের দাবি ঘিরে শুরু হওয়া আন্দোলন এখন সরকার পতনের স্লোগানে উত্তাল। রাজধানীর বিভিন্ন জায়গা থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহীদ মিনার এলাকায় একত্রিত হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলন কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার (৩ আগস্ট) দুপুর থেকে শহীদ মিনার এলাকায় জড়ো হতে থাকে শিক্ষার্থীরা। বিকাল নাগাদ শহীদ মিনার এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে।
শহীদ মিনার ও আশপাশের এলাকা স্লোগানে স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে উঠেছে। অনেকের হাতে শোভা পাচ্ছে বিভিন্ন প্রতিবাদী প্ল্যাকার্ড। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অভিভাবকরাও বিক্ষোভ-স্লোগানে অংশ নিয়েছেন। অনেককে দেখা গেছে সন্তান-পরিবার নিয়ে এই কর্মসূচিতে অংশ নিতে। সময় যত যেতে থাকে আন্দোলনকারীদের সংখ্যা বাড়তে থাকে জ্যামিতিক হারে।
শহীদ মিনার এলাকা থেকে প্রতিদিনের বাংলাদেশের প্রতিবেদক জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি পালন করতে দুপুর থেকে সেখানে জড়ো হতে থাকেন আন্দোলনকারীরা। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে সেখানে অবস্থান নেন তারা। বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে শহীদ মিনার এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে।
শহীদ মিনার এলাকায় শিক্ষার্থীরা ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে,’ ‘জাস্টিস জাস্টিস উই ওয়ান্ট জাস্টিস,’ ‘দিয়েছি তো রক্ত, আরও দিব রক্ত,’ ‘স্বৈরাচারের গতিতে আগুন জ্বালো একসাথে,’ ‘জ্বালো রে জ্বালো, আগুন জ্বালো,’ ‘বুকের ভেতর অনেক ঝড়, বুক পেতেছি গুলি কর,’ এসব স্লোগান দিচ্ছেন।
বৃষ্টি উপেক্ষা করে সমবেত হয়েছেন মুক্তিযোদ্ধারাও
বৃষ্টি উপেক্ষা করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নিতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের পাশাপাশি জড়ো হচ্ছেন মুক্তিযোদ্ধারাও৷
শহীদ মিনারের মূল বেদি এবং সংলগ্ন সড়কে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে গলা মিলিয়ে স্লোগান দিচ্ছেন তারাও।
এ সময় তারা ‘শিক্ষার্থীদের রক্ত বৃথা যেতে দেব না’, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস,’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।
সারা দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা করে হত্যার প্রতিবাদ ও ৯ দফা দাবিতে শনিবার সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিল ও রবিবার থেকে অনির্দিষ্টকালের ‘সর্বাত্মক অসহযোগ’ আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়। শুক্রবার (২ আগস্ট) রাত ৮টায় ফেসবুক পোস্ট ও ভিডিও বার্তায় এ ঘোষণা দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ ও সহ-সমন্বয়ক রিফাত রশিদ।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত ১৬ জুলাই থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতার ঘটনা ঘটতে থাকে। এসব ঘটনায় সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত ১৫০ জন নিহত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। যদিও বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ সংখ্যা দুই শতাধিক বলে দাবি করা হচ্ছে।