কারফিউর সপ্তম দিন
প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৭ জুলাই ২০২৪ ২০:২৫ পিএম
আপডেট : ২৭ জুলাই ২০২৪ ২০:৪০ পিএম
শনিবার রাজধানীতে তীব্র যানজট দেখা দেয়। প্রবা ফটো
কারফিউর সপ্তম দিন শনিবার (২৭ জুলাই) রাজধানীতে ছিল তীব্র যানজট। সাপ্তাহিক ছুটির দিন হলেও এদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রাজধানীর প্রগতি সরণি, মহাখালী, ধানমন্ডি, কারওয়ানবাজার, পান্থপথ, ফার্মগেট, বিজয় সরণি, মিরপুরসহ বিভিন্ন সড়কে তীব্র যানজট দেখা যায়।
সেগুনবাগিচা থেকে প্রগতি সরণি হয়ে কুড়িলের যাত্রী বাবলু মিয়া জানান, দুপুর আড়াইটায় বাসে উঠে কুড়িল পৌঁছাতে ৫টা বেজে যায়। আবুল হোটেল, রামপুরা, মেরুল বাড্ডা, উত্তর বাড্ডার যানজট পেরিয়ে নতুনবাজার পৌঁছাতে এক ঘণ্টা সময় লাগে। কিন্তু নতুনবাজার থেকে যুমনা ফিউপার পার্ক পর্যন্ত যেতে দেড় ঘণ্টার বেশি যানজটে পড়তে হয়। এ সময় তিনিসহ বহু যাত্রী বাস থেকে নেমে হেঁটে গন্তব্যে যান।
মগবাজার থেকে বনানীর যাত্রী মাহবুব জানান, সাতরাস্তা থেকে মহাখালী, কাকলী, চেয়ারম্যানবাড়ী পুরো এলাকা যানজট ছিল। এই রাস্তায় যেতে সময় লেগেছে প্রায় দেড় ঘণ্টা।
নতুনবাজার এলাকায় ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক হেলাল জানান, মাদানি অ্যাভিনিউ সড়কসহ কয়েকটি সড়ক বন্ধ থাকায় এবং প্রগতি সরণির যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে রাস্তা কাটা থাকায় এ এলাকায় যানজট ছিল তীব্র। তা ছাড়া শনিবার গাড়ির চাপও ছিল বেশি।
তবে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ জানিয়েছে, সন্ধ্যার আগেই সড়কে যানবাহনের চাপ কমে আসে। সন্ধ্যার পর কোথাও যানজট ছিল না।
সন্ধ্যার পর রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় সেনাবাহিনীর সদস্য ও পুলিশ সাঁজোয়াযান নিয়ে টহল দিচ্ছে। এ ছাড়া বিজিবির টহলও ছিল চোখে পড়ার মতো। সংসদ ভবন, গণভবন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, মৎস্যভবন, সচিবালয় ও গুলশানসহ কিছু এলাকায় সড়কে ডাইভারশেন দেওয়া হয়েছে। লোকজনের চলাচল সীমিত করা হয়েছে।
এদিন নগরীর বিভিন্ন শপিং মল, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও দোকানপাট খোলা ছিল। তবে এসব দোকানে ক্রেতার দেখা মেলেনি। অনেক দোকানি সারা দিনে একটি পণ্যও বিক্রি করতে পারেননি।