প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১১ জুলাই ২০২৪ ১৬:৫০ পিএম
আপডেট : ১১ জুলাই ২০২৪ ১৬:৫৫ পিএম
ছাত্রদলের সংবাদ সম্মেলনে নিখোঁজ রাসেলের বাবা ও অন্যান্যরা।
১১ দিন ধরে নিখোঁজ ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও ঢাকা কলেজ শাখার সহ-সভাপতি আতিকুর রহমানকে ফিরে পাওয়ার আকুতি জানিয়েছেন তার বাবা আবুল হোসেন সরদার। তার দাবি, সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তার ছেলেকে তুলে নিয়ে গেছে। এ ঘটনায় লালবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি করার কথা জানিয়েছেন আবুল হোসেন।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ছাত্রদল আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নিখোঁজ ছেলের সন্ধান চান তিনি।
আবুল হোসেন সরদার বলেন, ‘আমার ছেলে ১ জুলাই সন্ধ্যা থেকে নিখোঁজ। সাদা পোশাকের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তুলে নিয়ে গেছে।’
নিখোঁজের বিষয়ে গত ২ জুলাই লালবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি করার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘পুলিশের কাছে বারবার গিয়েছি। ফলাফল শূন্য। ওই এলাকার সিসিটিভি খুঁজে দেখলেই জানা যাবে কারা নিয়ে গেছে।’
‘সরকার গুমের সংস্কৃতিতে ফিরে আসছে’
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করে বলেন, ‘সবাই জানি আতিকুর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে আছে। কিছুটা বিরতি দিয়ে সরকার গুমের সংস্কৃতিতে ফিরে আসছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি-ছাত্রদল যেন সরকারের অনিয়ম, দুর্নীতি নিয়ে উচ্চকিত না হয়, তাই মনোযোগ সরাতে এসব গুম করা হচ্ছে। মাফিয়া-সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করলেই তাকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কোনো আয়নাঘরে আতিকুরকে বন্দি রাখা হয়েছে।’
আদালতের সঙ্গে সরকারের টেলিপ্যাথি সম্পর্ক রয়েছে— এমন মন্তব্য করে রিজভী বলেন, ‘সরকার যা চায় সেটি আদালতের রায়ে চলে আসে। এই সম্পর্ক হয় কীভাবে?’
তিনি বলেন, ‘ডিসি-এসপিতে এত ছাত্রলীগ কর্মী কীভাবে আসে? প্রশ্নফাঁসের মধ্য দিয়েই তারা হয়েছে।’
‘নিখোঁজ আতিকুর ডিবির কাছে রয়েছে’
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম দাবি করেন, ‘আমাদের সঙ্গে কয়েকজন ডিবি কর্মকর্তার কথা হয়েছে। তারা জানিয়েছেন, নিখোঁজ আতিকুর তাদের কাছে রয়েছেন। কিন্তু প্রকাশ্যে কেউ স্বীকার করছেন না।’
এসময় চলমান কোটা সংস্কার দাবির আন্দোলনে অংশ নেওয়া থেকে ছাত্রদলকে বিরত রাখতে এই গুমের ঘটনা হতে পারে বলে মনে করেন তিনি।
চলমান কোটা সংস্কার দাবির আন্দোলনে পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন বলেন, ‘২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনে ছাত্রদল অংশ নিয়েছিল। তখন সবাই সংস্কার চেয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী বাতিল করে দিয়েছিলেন। আদালতকে ব্যবহার করে কোটাকে পুনঃস্থাপন করেছে সরকার। কোটার বিষয়ে চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হওয়া প্রয়োজন।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী ও ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।