প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১১ জুলাই ২০২৪ ১৫:১১ পিএম
আপডেট : ১১ জুলাই ২০২৪ ১৬:২১ পিএম
সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে ছাত্রদের যে আন্দোলন, সরকারও বিষয়টির নিষ্পত্তি হোক চায় বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। তবে সেটি আদালতে গিয়েই সমাধান করতে হবে বলেছেন তিনি। তার ভাষ্য, এখানে এখন নির্বাহী বিভাগের করণীয় নেই। এ ছাড়া সরকারি নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, বিসিএসের প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার বিষয়টি এবং প্রতারণার মাধ্যমে এ পরীক্ষায় অংশ নিয়ে কেউ চাকরি পেয়েছে প্রমাণ হলে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সচিবালয়ের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ফরহাদ হোসেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘আদালতের স্থিতাবস্থা আদেশের কারণে কোটা বাতিলের নির্বাহী সিদ্ধান্ত বহাল আছে। পাশাপাশি বিষয়টি এখন আদালতের। সেখানে চার সপ্তাহের স্থিতাবস্থা দিয়েছেন আদালত। এখানে এখন নির্বাহী বিভাগের করণীয় নেই আদালতের আদেশের বাইরে। যেটা যেখানে নিষ্পত্তি হওয়া উচিত সেটা সেখানে নিষ্পত্তি হতে হবে। আদালতে না গিয়ে রাস্তায় থেকে এটা নিষ্পত্তি হবে না।’
এ সময় ‘পানির মতো সহজ জিনিসকে জটিল করছে কারা’—এমন প্রশ্ন তুলে শিক্ষার্থীদের কারও দ্বারা প্ররোচিত না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। বলেন, ‘নির্বাহী বিভাগ সমস্যার সমাধান করবে না, উচ্চ আদালত সমাধান করবে। নির্বাহী বিভাগের অনেক নির্দেশনা আদালতে চ্যালেঞ্জ হয়েছে। জনদুর্ভোগ সৃষ্টি না করে ক্লাসে ফেরা উচিত।’
কোটাব্যবস্থার সংস্কার হওয়া উচিত বলে মনে করেন ফরহাদ হোসেনও। বলেন, ‘পাকিস্তান, মালদ্বীপসহ পাশের দেশগুলোয় কোটা রয়েছে। কোটার সংখ্যাও কমে গেছে দিনে দিনে। নারীদের সুযোগ করে দিতে হবে। কোটা না থাকায় ৪০তম বিসিএসে কোনো নারী পুলিশে চাকরি পায়নি। ১৭ জেলা থেকে ছেলেমেয়ে কেউ সুযোগ পায়নি বিসিএস পুলিশে। কোটার সংস্কার হওয়া উচিত।’
জনপ্রশাসনমন্ত্রী আরও বলেন, ‘যদি এটা আদালতের বিষয় না হতো তাহলে কমিশর গঠন করা যেত। এ ক্ষেত্রে উচ্চ আদালত যে নির্দেশনা দেবেন, সেভাবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কাজ করবে।’
চাকরিপ্রত্যাশী ও শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনে ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছেন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। বলেন, ‘উচ্চ আদালতের আদেশ না মেনে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে কারও ইন্ধনে তারা কাজ করছে কি না সে অভিযোগ কিন্তু থাকছে। সরকার কোটা বাতিল করেছে। হাইকোর্টের আদেশের পরও এর বিরুদ্ধে আপিল করেছে সরকারই।’
শিক্ষার্থীদের সেটি বোঝা উচিত জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘সমাধান সহজ কিন্তু এটা জটিল করা হচ্ছে কিছু কুচক্রীর ষড়যন্ত্রে। শিক্ষার্থীদের সেটা বুঝে আদালতে যাওয়া উচিত। সরকার তাদের সহযোগিতা করবে।’
সরকারি নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের বিষয়ে জনপ্রশাসনমন্ত্রী বলেন, ‘পিএসসি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান। তারা প্রশ্নফাঁসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে।’
‘যদি কেউ প্রশ্নফাঁস বা অনিয়ম করে প্রশাসনে চাকরি পায় তাহলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে অভিযোগ প্রমাণিত হতে হবে। সৈয়দ আবেদ আলী কোনো দলের হয়ে কারও নাম বলছে কি না, ষড়যন্ত্র করছে কি না তা খতিয়ে দেখতে হবে,’ যোগ করেন তিনি।