প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৯ জুন ২০২৪ ১৫:১৫ পিএম
আপডেট : ০৯ জুন ২০২৪ ১৬:৪১ পিএম
অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম) ড. খ. মহিদ উদ্দিন আহম্মেদ। ছবি : প্রবা
রাজধানীর বারিধারায় ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে দায়িত্বরত কনস্টেবল মনিরুল হককে গুলি করে হত্যার ঘটনাকে অনাকাঙ্ক্ষিত বলছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
রবিবার (৯ জুন) দুপুরে ডিএমপি সদর দপ্তরে অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম) ড. খ. মহিদ উদ্দিন আহম্মেদ এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, এটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। সাময়িক উত্তেজনার কারণে এমনটি ঘটতে পারে। তাদের সেখানে স্বাভাবিক ডিউটি ছিল। অভিযুক্ত কাওছারের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। তাতে মনে হয়েছে তিনি তার ব্যক্তিগত ক্ষোভ থেকে এমন ঘটাতে পারেন।
অতিরিক্ত ডিউটির কারণে এমনটি হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা যেকোনো মানুষের ক্ষেত্রে ঘটতে পারে। কেউ যখন তার নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারায় তখন এমন ঘটে। তবে এ ধরনের নির্মমতা মেনে নেওয়া যায় না। এ রকম ঘটনা ঘটা উচিত না।
এই ধরনের অপরাধ যাতে সংঘটিত না হয়, সেজন্য পুলিশ সদস্যদের কাউন্সেলিং করা হয় কি না এমন প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, পুলিশ সদস্যদের আনুষ্ঠানিকভাবে এরকম কাউন্সিলিং করা হয় না। তবে মাঝেমধ্যে তাদের সঙ্গে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বসে এসব বিষয়ে আলোচনা করেন।
অভিযুক্ত কাওছার আলীকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, পুলিশ একটি শৃঙ্খল বাহিনী। এ বাহিনীর কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে ফৌজদারি কোনো অভিযোগ এলে, নিয়মতান্ত্রিকভাবে তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। এক্ষেত্রেও তাই হয়েছে।
শনিবার মধ্যরাতে রাজধানীর বারিধারা কূটনৈতিক এলাকার ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে দায়িত্ব পালন অবস্থায় এক পুলিশ কনস্টেবল তার সহকর্মীকে গুলি করেন। এতে ঘটনাস্থলেই কনস্টেবল মনিরুল হক নিহত হন। ঘটনার পর অভিযুক্ত কাওছার আলীকে গ্রেপ্তার করে গুলশান থানা পুলিশ। তার বিরুদ্ধে গুলশান থানায় নিহতের ভাই একটি মামলা করেছেন। ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।