প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৯ জুন ২০২৪ ১৫:০৩ পিএম
আপডেট : ০৯ জুন ২০২৪ ১৫:১৪ পিএম
গুলশান থানা। ছবি : সংগৃহীত
রাজধানীর বারিধারায় ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে দায়িত্বরত কনস্টেবল মনিরুল হককে গুলি করে হত্যার ঘটনায় গুলশান থানায় মামলা হয়েছে।
নিহত কনস্টেবলের বড় ভাই কনস্টেবল মাহাবুবুল হক কনস্টেবল কাওছার আলীকে আসামি করে মামলাটি করেন। মামলা নম্বর ২/১৫৩।
রবিবার (৯ জুন) দুপুরে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার কেএন রায় নিয়তি।
তিনি বলেন, দায়ের করা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কনস্টেবল কাওছারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মামলার এজাহারে মাহবুবুল হক উল্লেখ করেন, ‘আমার ছোট ভাই কনস্টেবল মো. মনিরুল হক গুলশান থানাধীন ডিপ্লোমেটিক সিকিউরিটি বিভাগে ফিলিস্তিন দূতাবাসের পুলিশ বক্সে আসামি মো. কাওছার আলীর সঙ্গে রাত্রিকালীন ডিউটিতে নিয়োজিত ছিলেন। ডিউটি করা নিয়ে আমার ছোট ভাইয়ের সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে তিনি উত্তেজিত হয়ে আমার ছোট ভাই কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই আসামির নামে ইস্যু করা এসএমটি-৯ অস্ত্র দিয়ে আমার ভাইকে উদ্দেশ্যে করে এলোপাতাড়ি গুলি করতে থাকে। আসামির গুলির আঘাতে আমার ভাই ফিলিস্তিন দূতাবাসের পুলিশ বক্সের সামনে লুটিয়ে পড়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন। এ সময় পথচারী জাপান অ্যাম্বাসিতে কর্মরত ড্রাইভার মো. সাজ্জাত হোসেনের বাম হাতে একটি ও পেটে দুটি গুলিবিদ্ধ হয়। বর্তমানে তিনি আশঙ্কাজনক অস্থায় গুলশান ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।’
এজাহারে তিনি আরও উল্লেখ করেন, খবর পেয়ে গুলশান থানার বেশ কয়েকটি টিম ঘটনাস্থলে তাৎক্ষণিক উপস্থিত হয়ে আসামিকে সশস্ত্র অবস্থায় গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়। আসামির কাঁধে বোলানো অবস্থায় ২২ (বাইশ) রাউন্ড গুলিভর্তি অবস্থায় ১টি ম্যাগাজিনসহ এসএমটি-৯ মডেলের অস্ত্র এবং ওই আসামিকে গ্রেপ্তারে সময় রাস্তায় পড়ে থাকা অবস্থায় আরেকটি খালি ম্যাগাজিন ও ৩৪টি ৯এমএম এসএমটির গুলির খোসা ও আমার ভাইয়ের ইস্যু করা সরকারি ৭.৬২ চায়না রাইলেফ ও চায়না রাইলের ২০ রাউন্ড গুলিসহ অন্যান্য আলামত জব্দ করেন।
মাহবুবুল হক বলেন, আমার ভাইয়ের সংবাদ শুনে আমি দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে ভাইয়ের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখি। আমার ভাইয়ের মাথার বামপাশে একাধিক গুলির আঘাতে রক্তাক্ত জখম হয়, বাম চোখ গুলিবিদ্ধ হয়, নাক-কান দিয়ে রক্ত বের হয়, বুক, পেট ও পিঠের বিভিন্ন স্থানে বেশ কয়েকটি গুলির আঘাতে রক্তাক্ত জখমের চিহ্ন দেখা যায়।
পুলিশ কনস্টেবল কাওছার আলীর গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের দাড়েরপাড় গ্রামে। বাবার নাম হায়াত আলী। এ ছাড়া নিহত মনিরুলের গ্রামের বাড়ি নেত্রকোণার আটপাড়া গ্রামে। তাবা বাবা মুক্তিযোদ্ধা মৃত শামসুল হক।
এর আগে শনিবার দিনগত রাত পৌনে ১২টা থেকে ১২টা ৫ মিনিটের মধ্যে রাজধানীর গুলশান-বারিধারার কূটনীতিক এলাকায় ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে গুলিতে নিহত হন কনস্টেবল মনিরুল ইসলাম।