অগ্রিম ঋণ পরিশোধ করলেন কৃষকরা

কৃষিকাজকে স্বাচ্ছন্দ্যদায়ক এবং এ খাতে আর্থিকসেবা সহজ করার লক্ষ্যে ব্যাংক অর্থায়ন ও ঋণ পরিশোধের প্রকল্প সফলভাবে পরিচালনা করে আসছে আইফার্মার ও ইউনাইডেট কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি) পিএলসি। গত বছরের নভেম্বরে শুরু হওয়া প্রকল্পটি শেষ হবে আগামী জুলাইয়ে।

প্রকল্পের অংশ হিসেবে সিরাজগঞ্জের কাজীপুরে গত সোমবার (১৩ মে) দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সভায় প্রকল্পের আওতায় ঋণ নেওয়া ৭০ জনের বেশি কৃষক অগ্রিম ঋণ পরিশোধ করেছেন।

সভায় উপস্থিত কাজীপুরের স্থানীয় কৃষক মো. হাফিজুর রহমান বলেন, ‘আইফার্মার এবং ইউসিবির এ প্রকল্প আমাদের অনেক সহায়তা করেছে। আগে মরিচ চাষ করার সময় আর্থিক সংকটের কারণে নানা ধরনের সমস্যা হতো। কিন্তু এ ঋণ নেওয়ার পর আমি ঠিকভাবে চাষ করতে পারছি, ফসল ফলাতে পারছি। এখান থেকে শুধু সুবিধাই পাচ্ছি না, একই সঙ্গে ঋণ অগ্রিম পরিশোধ করতেও সক্ষম হয়েছি। এ ছাড়া আইফার্মার থেকে আমি কৃষি সম্পর্কিত নানা পরামর্শ পেয়েছি।’

আইফার্মারের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও চিফ অপারেটিং অফিসার জামিল এম আকবর বলেন, ‘কৃষকরা আমাদের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন, আর তাদের কাজকে স্বাচ্ছন্দ্যদায়ক করতে আর্থিকসেবা সহজ করাই আমাদের লক্ষ্য। কৃষকদের জন্য আর্থিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি।

তিনি বলেন, ‘আমাদের গতবারের ভুট্টা প্রকল্পটি সফল হয়েছে, এবার তাই আমরা মরিচ ও ভুট্টা নিয়ে কাজ করছি। আমরা আগামীতে এ ধরনের আরও উদ্যোগ নিয়ে আসার চেষ্টা করব।’

তিনি আরও বলেন, ‘ইউসিবির সঙ্গে আমাদের এ যৌথ উদ্যোগটি কৃষকদের জীবন ও কাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে সক্ষম হওয়ায় আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। আমরা কৃষকদের সহায়তায় আমাদের অংশীদার হওয়ায় ইউসিবির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।’

আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি’র স্থানীয় ব্রাঞ্চ অফিসার আরিফাত সিরাজী ও ব্রাঞ্চ ম্যানেজার নূপুর কর্মকারসহ অন্যান্য প্রতিনিধিরা। এ ছাড়া, আইফার্মারের পক্ষ থেকে সভায় উপস্থিত ছিলেন, ফাইন্যান্সিয়াল প্রোডাক্ট অ্যান্ড সার্ভিসের এক্সিকিউটিভ কাজী ফাহিম ফারহান সাজিদ, ট্রেনিং অ্যান্ড রিসার্চ অফিসার মো. তানজিল উল মউসুফ, রিজিওনাল কোঅর্ডিনেটর আনোয়ার হোসেন, এরিয়া কোঅর্ডিনেটর মো. রেজাউল করিম এবং এরিয়া ম্যানেজার আমিনুল ইসলাম।

এই প্রকল্পের অধীনে আবহাওয়ার পূর্বাভাস, মানসম্মত কৃষি উপকরণ ও পরামর্শ সেবাসহ বিভিন্ন সুযোগ গ্রহণ করতে পারবেন কৃষকরা; পাশাপাশি, প্রকল্পের মাধ্যমে ভুট্টা ও মরিচ চাষের ক্ষেত্রে ইউসিবি পিএলসি থেকে আর্থিক সহায়তা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।