প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৬ মে ২০২৪ ২১:১৩ পিএম
নেদারল্যান্ডস সরকারের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল ঢাকায় বিজিএমইএর সভাপতি এস এম মান্নানের (কচি) সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে।
তৈরি পোশাক শিল্পের টেকসই উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করছে নেদারল্যান্ডসের এক প্রতিনিধিদল। গতকাল রবিবার নেদারল্যান্ডস সরকারের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল ঢাকায় বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) পরিদর্শন করেছে এবং বিজিএমইএ সভাপতি এস এম মান্নানের (কচি) সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে। বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের টেকসই উন্নয়নের জন্য সহযোগিতামূলক সুযোগগুলো অন্বেষণ করা।
প্রতিনিধিদলে ছিলেন বাংলাদেশে নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি অব ইকোনমিক অ্যাফেয়ার্স সারা ভ্যান হোভ, নেদারল্যান্ডসের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশের জন্য ডেস্ক অফিসার লিশেল ফিসার, নেদারল্যান্ডস এন্টারপ্রাইজ এজেন্সির প্রাইভেট সেক্টর ডেভেলপমেন্ট অফিসার নাদিয়া ভ্যান ডি উইম এবং বাংলাদেশে নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের সিনিয়র পলিসি অ্যাডভাইজার তানজিলা তাজরীন।
সভায় বিজিএমইএর সহসভাপতি আবদুল্লাহ হিল রাকিবের কো-অর্ডিনেশনে (সমন্বয়) আলোচনায় সক্রিয়ভাবে অংশ নেন বিজিএমইএর সহসভাপতি মিরান আলী, পরিচালক শোভন ইসলাম, পরিচালক মো. আশিকুর রহমান (তুহিন) এবং পরিচালক শামস মাহমুদ। বৈঠকে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের সঙ্গে প্রাসঙ্গিক বিভিন্ন বিষয় নিয়েও আলোচনা করা হয়। বৈঠকে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল তৈরি পোশাক শিল্পে সম্ভাব্য সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিতকরণ, বিশেষ করে পোশাক খাতে সার্কুলার ফ্যাশন, রিসাইক্লিং এবং জ্বালানি দক্ষতার মতো পরিবেশগত টেকসই উন্নয়নের উদ্যোগগুলোতে একসঙ্গে কাজ করার সুযোগ চিহ্নিত করা।
আলোচনাটি পোশাক শিল্পে জ্বালানি ও সম্পদের দক্ষতা বাড়ানো, রিসাইক্লিংয়ের প্রসার এবং অন্যান্য পরিবেশগত ক্ষেত্রগুলোতে কারখানাগুলোকে সহায়তা করার জন্য জ্ঞানবিনিময়, প্রযুক্তি স্থানান্তর এবং অর্থের অ্যাকসেস, বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি প্রতিষ্ঠানগুলোর (এসএমই) জন্য অর্থায়ন প্রভৃতি বিষয়গুলোকে ঘিরে আবর্তিত হয়েছিল। বৈঠকে বিজিএমইএ নেতারা পোশাক শিল্পের বিভিন্ন দিকগুলো, বিশেষ করে শিল্পের টেকসই ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার জন্য শিল্পের বর্তমান অগ্রাধিকার এবং প্রচেষ্টাগুলো তুলে ধরেন।
তারা বৈশ্বিক বাজারের পরিবর্তনশীল প্রবণতার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিয়ে শিল্পের প্রতিযোগিতামূলক থাকার জন্য, শিল্পের বিভিন্ন উদ্যোগগুলো, বিশেষ করে প্রযুক্তির আপগ্রেডেশন, উদ্ভাবন, ডিজিটাইজেশন এবং পণ্য বৈচিত্র্যকরণ প্রভৃতি উদ্যোগ বিশদভাবে তুলে ধরেন। বিজিএমইএ নেতারা নেদারল্যান্ডস সরকারকে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে সহায়তা প্রদান, বিশেষ করে পার্টনারশিপ ফর ক্লিনার টেক্সটাইল (প্যাক্ট) প্রোগ্রামের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এই প্রোগ্রামটি অংশগ্রহণকারী কারখানাগুলোকে ওয়াটার ফুটপ্রিন্ট কমাতে সহায়তা করেছে।
বৈঠকে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে সাসটেইনেবিলিটি এবং শিল্পের প্রতিযোগী সক্ষমতা বাড়াতে আরও বেশি করে এ ধরনের উদ্যোগ গ্রহণের ওপর জোর দেওয়া হয়।