চট্টগ্রাম অফিস
প্রকাশ : ০৪ মে ২০২৪ ২৩:০৩ পিএম
আপডেট : ০৪ মে ২০২৪ ২৩:০৬ পিএম
চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি ওমর হাজ্জাজ সঙ্গে সিঙ্গাপুরের হাইকমিশনার ডেরেক লো সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। প্রবা ফটো
ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে সিঙ্গাপুরের জন্য বাংলাদেশের বিশেষ করে চট্টগ্রাম খুবই গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করে বাংলাদেশে নিযুক্ত সিঙ্গাপুরের হাইকমিশনার ডেরেক লো বলেন, চট্টগ্রামের বে-টার্মিনালে সিঙ্গাপুরের শিপিং কোম্পানী পিএসএ বিনিয়োগ করছে। যার মাধ্যমে চট্টগ্রামে বে-টার্মিনাল ট্রান্সফরমেশনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বৃহৎ বন্দরে উপনীত হবে। এর মাধ্যমে দু’দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে।
শনিবার (০৪ মে) চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। মতবিনিময় সভায় চেম্বার সভাপতি ওমর হাজ্জাজ, সহ-সভাপতি রাইসা মাহবুব, পরিচালক অঞ্জন শেখর দাশ, মো. রকিবুর রহমান (টুটুল), মাহফুজুল হক শাহ, বেনাজির চৌধুরী নিশান, নাজমুল করিম চৌধুরী শারুন, আখতার উদ্দিন মাহমুদ, মোহাম্মদ সাজ্জাদ উন নেওয়াজ, ওমর মুক্তাদির, এন্টারপ্রাইজ সিঙ্গাপুর’র দক্ষিণ এশিয়ার ডেভেলপ্টমেন্ট পার্টনার ক্লারেন্স চং, সিঙ্গাপুরের শিপিং কোম্পানি পিএসএ’র লিম উই চিয়াং, বাংলাদেশ প্রতিনিধি মোহাম্মদ আবদুল্লাহ জহির বক্তব্য রাখেন।
হাইকমিশনার বাংলাদেশের এগ্রো এবং ফিশিং সেক্টরের সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে বলেন, সিঙ্গাপুর ছোট দেশ হওয়াতে সবজি, ফলমূল এবং মিঠা পানির মাছ বিভিন্ন দেশ বিশেষ করে অস্ট্রেলিয়া ও আমেরিকা থেকে আমদানি করে। দূরত্ব বিবেচনায় বাংলাদেশ সিঙ্গাপুরের কাছাকাছি হওয়ায় বাংলাদেশ থেকে এ সকল পণ্য রপ্তানির সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, লজিস্টিক্স সেক্টরে বিশ্বে উন্নত সিঙ্গাপুর। বাংলাদেশেও রয়েছে লজিস্টিক্স সেক্টরের অফুরন্ত সম্ভাবনা। এ সম্ভাবনা কাজে লাগাতে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা সিঙ্গাপুরের লজিস্টিক্স সেক্টর সম্পর্কে সম্যক ধারণা লাভ করতে পারে। তিনি বাংলাদেশের বিনিয়োগ সম্ভাবনা সিঙ্গাপুরের বিনিয়োগকারীদের কাছে তুলে ধরতে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সিঙ্গাপুর সফরের আমন্ত্রণ জানান। একই সাথে সিঙ্গাপুরের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্কোন্নয়নের লক্ষ্যে পূর্ণাঙ্গ দূতাবাস স্থাপনের আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
চেম্বার সভাপতি ওমর হাজ্জাজ বলেন, সিঙ্গাপুর বাংলাদেশের প্রধান উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক অংশীদার। উভয়দেশই নবায়নযোগ্য জ্বালানী, লজিস্টিক্স এবং ট্রেড ফ্যাসিলিটেশনের জন্য একসাথে কাজ করতে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতামূলক চুক্তি করেছে। এছাড়া উভয়দেশের মধ্যে ডাবল ট্যাক্সেশন এবং দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক চুক্তিও রয়েছে। চট্টগ্রামের সাথে রয়েছে সিঙ্গাপুরের ধারুণ সাদৃশ্য। তাই চট্টগ্রামের ভৌগোলিক অবস্থান বিবেচনা করে এশিয়ার বৃহত্তম বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল বঙ্গবন্ধু শিল্প নগরে বিনিয়োগসহ বাংলাদেশের ভৌগোলিক সুবিধা, বিনিয়োগ ও ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ, সুলভ মূল্যের শ্রমিক সুবিধা কাজে লাগিয়ে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পর্যটন, পাট ও পাটজাত পণ্য, হিমায়িত মৎস্য, হস্তশিল্প, প্লাষ্টিক, কোল্ড চেইন, লজিস্টিক্স, খেলনা, মিঠা পানির মাছ এবং এগ্রো প্রসেসিং সেক্টরে বিনিয়োগের আহবান জানান। একই সাথে সিঙ্গাপুরের বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ সংক্রান্ত বিভিন্ন সেবা প্রদানে চিটাগাং চেম্বারের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
চেম্বার সহ-সভাপতি রাইসা মাহবুব জনশক্তিকে মানবসম্পদে পরিণত করতে সিঙ্গাপুরের বিনিয়োগকারীদের যৌথ উদ্যোগে বিভিন্ন টেকনিক্যাল সেন্টার স্থাপন ও স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগের আহবান জানান। একই সাথে সিঙ্গাপুরের সাথে বাংলাদেশের কানেক্টিভিটি বাড়াতে বাংলাদেশে মিশন শক্তিশালীকরণ এবং চট্টগ্রামে মিশন স্থাপনের আহবান জানান।