× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

দেশে লবণ উৎপাদনে রেকর্ড

কক্সবাজার প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ২১:৩৪ পিএম

মাঠে লবণ উৎপাদনে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। প্রবা ফটো

মাঠে লবণ উৎপাদনে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। প্রবা ফটো

মৌসুম শেষ হওয়ার সপ্তাহ দুয়েক বাকি থাকতেই এবার লবণের উৎপাদন ৬৩ বছরের আগের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। উপকূলের ৬৮ হাজার ৩৫৭ একর জমিতে এখন পর্যন্ত উৎপাদন হয়েছে ২২ লাখ ৭২ হাজার মেট্রিক টন। বৃষ্টিবিহীন বাকি দিনগুলো পাওয়া গেলে উৎপাদিত হবে আরও অন্তত ৩ থেকে ৪ লাখ মেট্রিক টন লবণ। এরই মধ্যে লবণ উৎপাদনে রেকর্ড গড়েছেন প্রান্তিক চাষিরা। বাণিজ্যিকভাবে লবণ চাষে গত ৬৩ বছরে ২২ লাখ ৭২ হাজার মেট্রিক টন লবণ কখনও উৎপাদিত হয়নি। সর্বশেষ ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি ২২ লাখ ৩২ হাজার ৮৯০ মেট্রিক টন লবণ উৎপাদিত হয়েছিল।

বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) তথ্য অনুযায়ী, জেলাতে বাণিজ্যিক লবণ উৎপাদন শুরু হয়েছিল ১৯৬০ সালে। চলতি মৌসুমে (১৫ নভেম্বর থেকে ১৫ মে পর্যন্ত পাঁচ মাস) জেলার টেকনাফ, কক্সবাজার সদর, পেকুয়া, মহেশখালী, ঈদগাঁও, চকরিয়া, কুতুবদিয়া ও বাঁশখালীতে ৬৮ হাজার ৩৫৭ একর জমিতে লবণ চাষ হচ্ছে। ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত লবণ উৎপাদিত হয়েছে ২২ লাখ ৭২ হাজার মেট্রিক টন। গত মৌসুমে এই সময়ে উৎপাদিত হয়েছিল প্রায় ২১ লাখ ৭৫ হাজার মেট্রিক টন। এ হিসাবে চলতি মৌসুমে গত মৌসুমের তুলনায় এ পর্যন্ত ৬৪ হাজার মেট্রিক টন লবণ বেশি উৎপাদন হয়েছে।

বিসিকের কক্সবাজার লবণ শিল্পের উন্নয়ন কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক মো. জাফর ইকবাল ভূঁইয়া বলেন, মৌসুমজুড়ে দাবদাহ, ৬৮ হাজার ৩৫৭ একর জমির শতভাগে আধুনিক পলিথিন প্রযুক্তিতে চাষবাদ এবং অতিরিক্ত ১ হাজার ৯৩৩ একরের বেশি জমিতে লবণ চাষের কারণে উৎপাদনে নতুন রেকর্ড হয়েছে।

বিসিক লবণ উন্নয়ন প্রকল্পের মাঠ পরিদর্শক মো. ইদ্রিস আলী বলেন, ২০২০ সালে যখন লবণনীতি করা হয়, তখন দেশে লবণের বার্ষিক চাহিদা ২৩ লাখ ৮৫ হাজার মেট্রিক টন নির্ধারণ করা হয়েছিল। চলতি মৌসুমে দেশের লবণের চাহিদা ২৫ লাখ ২৮ হাজার মেট্রিক টন।

মো. ইদ্রিস আলী বলেন, একদিকে যেমন ৬৩ বছরের মধ্যে এবার রেকর্ড পরিমাণ লবণ উৎপাদন হয়েছে ঠিক তেমনি দৈনিক গড়ে লবণ উৎপাদন হচ্ছে রেকর্ড পরিমাণ। আগে যেখানে দৈনিক গড়ে সর্বোচ্চ ৩৬ হাজার মেট্রিক টন লবণ উৎপাদন হয়েছে সেখানে এই রেকর্ড ছাড়িয়ে চলতি মৌসুমে দৈনিক গড়ে ৩৯ হাজার মেট্রিক টন লবণ উৎপাদন হচ্ছে। আশা করি, যদি দাবদাহ আর কিছুদিন থাকে তাহলে দেশে চাহিদার চেয়ে বেশি লবণ উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। 

টেকনাফের সাবরাং, শাহপরীর দ্বীপ, হ্নীলা ইউনিয়নের রঙিখালী, খারাংখালী, সিকদারপাড়া, কক্সবাজার সদরের খুরুশকুল, চৌফলদণ্ডী, পিএমখালী এলাকা ঘুরে দেখা গেছেÑ উৎপাদিত লবণ চাষিরা মাঠে স্তূপ করে রেখেছেন। কেউ কেউ বাড়িঘরের আঙিনায় মজুদ করে তার ওপর পলিথিন বিছিয়ে দিচ্ছেন। আবার অনেকেই মাঠে গর্ত করে পলিথিন বিছিয়ে লবণ মজুদ করছেন।

চৌফলদণ্ডী এলাকার চাষি গিয়াস ও খুরুশকুলের চাষি ইদ্রিস বলেন, এখন প্রতি মণ লবণ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়। কয়েক দিন পর অর্থাৎ বৃষ্টি হলেই লবণের মৌসুম শেষ হবে। তখন প্রতি মণ লবণের দাম আরও ১০০ টাকা বেড়ে যেতে পারে। প্রতি মণ লবণ তখন ৪০০ টাকা বা তার চেয়ে বেশি টাকায় বিক্রি হবে এই আশায় চাষিরা লবণ মজুদ করছেন।

হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী বলেন, টানা দাবদাহ পরিস্থিতিতে লবণের বাম্পার উৎপাদন হচ্ছে। তবে লবণের দাম কমে গেছে। এখন প্রতি মণ লবণ ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে মৌসুমের শুরুতেই সর্বোচ্চ ৫০০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল।

কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক বলেন, বাণিজ্যিকভাবে লবণ উৎপাদন শুরুর ৬৩ বছরে এবার চাষিরা লবণ উৎপাদনে যে সাফল্য দেখিয়েছেন, অতীতে এমনটা আর হয়নি। সরকারের নানামুখী উদ্যোগের ফলে চাষিরা লবণ মাঠে ফিরেছেন এবং দামও ভালো পাওয়ায় চলতি মৌসুমে রেকর্ড লবণ উৎপাদিত হয়েছে।


শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা