× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

হিট স্ট্রোকে মরছে মুরগি

ডিম ও মাংস উৎপাদনে ঘাটতির আশঙ্কা

ফারুক আহমাদ আরিফ

প্রকাশ : ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ১৬:০৭ পিএম

আপডেট : ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ১৬:১১ পিএম

ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

প্রায় দুই সপ্তাহের টানা তাপপ্রবাহে বিপাকে পড়েছেন পোল্ট্রি খামারিরা। বিরূপ প্রতিবেশে হিট স্ট্রোক করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রতিদিন মৃত্যু ঘটছে দৈনিক ৭০ থেকে ৮০ হাজার মুরগির। কমছে ডিমের উৎপাদনও। এতে দ্বিগুণ ক্ষতির মুখোমুখি হচ্ছেন পোল্ট্রি খামারিরা। বিশেষ করে যশোর, চুয়াডাঙ্গা তথা খুলনা বিভাগের বিভিন্ন স্থানে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ। এমন পরিস্থিতিতে যশোরের আফিল অ্যাগ্রো লিমিটেডের একটি খামারেই গত এক সপ্তাহে মারা গেছে দেড় লাখ মুরগি।

এ ছাড়াও নরসিংদী, কক্সবাজার, পাবনা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জেলার খামারগুলোতেও মুরগির মৃত্যু ঘটছে। 

ডিম ও মুরগির কৃত্রিম সংকট হতে পারে

প্রান্তিক মুরগি খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএ) তথ্য অনুযায়ী, ঈদের পর গত ১০ থেকে ১২ দিনে সারা দেশে ১০ লাখের মতো ব্রয়লার, লেয়ার ও সোনালি মুরগি মারা গেছে। এর মধ্যে ৮০ শতাংশই ব্রয়লার মুরগি। পাশাপাশি মরেছে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ লেয়ার এবং ৫ শতাংশ সোনালি মুরগি। এ অবস্থা আরও কয়েকদিন চলতে থাকলে ১৫ থেকে ২০ হাজার প্রান্তিক মুরগি খামার বন্ধ হয়ে যেতে পারে। সে রকম ঘটলে ডিম ও মুরগির উৎপাদন কমে যাবে। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে ডিম ও মুরগির সংকট তৈরি করতে পারে করপোরেট সরবরাহকারী ও সিন্ডিকেট গ্রুপ। এ কারণে আগামী জুন থেকে এসবের দাম বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সংশ্লিষ্টরা আরও জানাচ্ছেন, আগস্ট থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ডিম ও মুরগির দাম অত্যধিক হয়ে উঠতে পারে। এ অবস্থা সামাল দিতে সরকারের উচিত পোল্ট্রি খামারিদের সহযোগিতা করা।

বিপিএ’র তথ্য অনুযায়ী, তীব্র তাপপ্রবাহে মুরগির মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি নরসিংদীতে। এ অঞ্চলে গত ১২ দিনে প্রায় তিন লাখ মুরগি মারা  গেছে। এ ছাড়া ময়মনসিংহ অঞ্চলে দুই লাখ, চট্টগ্রাম অঞ্চলে ৭৫ হাজার, সিলেট অঞ্চলে ৫০ হাজার এবং গাজীপুর ও সাভার অঞ্চলে এক লাখ মুরগি মারা গেছে। ঢাকার আশপাশের পাশাপাশি যশোর, পাবনা, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় দুই লাখ মুরগি মারা গেছে। এমন পরিস্থিতিতে জীবিত অথচ গরমে সংকটাপন্ন মুরগি থেকে ডিম পাওয়াও ৮ থকে ১০ শতাংশ পর্যন্ত কমে গেছে।

টাঙ্গাইলের ঘাটাইলের পোল্ট্রি খামারি মোহাম্মদ ফরহাদ জানান, তার ৩০টির মতো মুরগি মারা গেছে। ব্রয়লার মুরগির জন্য স্বাভাবিক তাপমাত্রা ২৪-২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কিন্তু এখন তাপমাত্রা দাঁড়িয়েছে ৩৮-৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পর্যাপ্ত ফ্যান ব্যবহার করেও মুরগিকে হিট স্ট্রোক থেকে বাঁচানো যাচ্ছে না। অনেকে টিনের চালে পানি দিচ্ছে। ছালা দিয়ে ঢেকে রাখছে। এভাবেই চেষ্টা করা হচ্ছে মুরগিকে বাঁচিয়ে রাখার।

এক খামারেই দেড় লাখ মুরগির মৃত্যু

আফিল অ্যাগ্রো লিমিটেডের পরিচালক মাহবুব আলম প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘যশোরে আমাদের খামারটি সবচেয়ে বড়। এখানে ব্রয়লার, লেয়ার ও সোনালিসহ সব মিলিয়ে ১৩ লাখ মুরগি ছিল। গত এক সপ্তাহে এক লাখ ৪০ হাজার ব্রয়লার ও ১৪ হাজার লেয়ার মুরগি মারা গেছে। অত্যধিক গরমের কারণে খামারে মুরগি রাখা যাচ্ছে না। আমরা সাধারণত আড়াই কেজি ওজনের মুরগি বিক্রি করি। কিন্তু এ অবস্থায় অপ্রাপ্তবয়স্ক (দেড় কেজি, এক কেজি সাতশ গ্রাম) ব্রয়লার মুরগিও বিক্রি করে দিতে হচ্ছে। এতে প্রতিষ্ঠানের লোকসান হচ্ছে। খামারে মুরগি বাঁচিয়ে রাখতে এর মধ্যেই ব্যবহার করা হয়েছে ৬০ লাখ টাকার বেশি ওষুধ।’ 

তিনি বলেন, ‘আমরা সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন ও লাগসই প্রযুক্তি ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু এবারের এই তাপমাত্রা আমাদের প্রযুক্তি দিয়ে সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। সাধারণ খামারিদের (প্রান্তিক) অবস্থা তো আরও খারাপ। দেশের সব প্রান্তেই খামারিরা বিপদে রয়েছে। মুরগি মরে যাচ্ছে। বাজারে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।’

মুরগির বাচ্চা আমদানির অনুমতি চায় বিপিএ

বিপিএ সভাপতি সুমন হাওলাদার বলেন, ‘তাপপ্রবাহের কারণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে প্রান্তিক পোল্ট্রি খামারিরা। বর্তমানে দেশে ৬০-৬৫ হাজার প্রান্তিক মুরগি খামার রয়েছে। সঙ্গে ১৫-২০ হাজার খামার আছে করপোরেট প্রতিষ্ঠানের। মুরগির বাচ্চার দাম দ্বিগুণ হওয়ায় এ বছর অনেকে গত বছরের তুলনায় বাচ্চা অনেক কম তুলেছেন। করপোরেট খামার থেকে মুরগির বাচ্চা কিনে খামারিরা মুশকিলে পড়েছেন। কেননা দাম বেশি হলেও সেগুলো মানে খারাপ। তীব্র গরমে এসব বাচ্চা বা মুরগি মারা যাচ্ছে। এ অবস্থা আরও কিছুদিন চললে ১৫ থেকে ২০ হাজার খামার আবারও বন্ধ হয়ে যাবে। এদের অনেকেই আর খামার করতে পারবেন না।’

তিনি বলেন, ‘প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর যে দর নির্ধারণ করে দেয়, মুরগির বাচ্চা সে দামে পাওয়া যায় না। বর্তমানে করপোরেট কোম্পানিগুলো লেয়ার মুরগির বাচ্চা ১০৫ টাকায়, ব্রয়লার ৯০ ও সোনালি ৬৫-৭০ টাকায় বিক্রি করছে। গত সেপ্টেম্বর থেকে এ অবস্থা চলছে। আবার বেশি দাম দিয়েও মানসম্মত বাচ্চা পাওয়া যায় না। কেননা করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের ও তাদের কট্রাক্ট ফার্মিংয়ের জন্য উন্নত বাচ্চা সরবরাহ করার পর প্রান্তিক খামারিদের কাছে বাদ পড়া খারাপ মানের বাচ্চা বিক্রি করে। এভাবে মুরগির বাচ্চাকে সোনার হরিণে পরিণত করা হয়েছে। এ সংকট দূর করতে মুরগির বাচ্চা আমদানির অনুমতি দেওয়া প্রয়োজন। তা না হলে এ শিল্প টিকিয়ে রাখা যাবে না। একসময় পুরো সেক্টরই করপোরেটরা দখল করে ফেলবে। তাতে ভারতের মতো অবস্থা সৃষ্টি হবে। কেননা ভারতে এক কেজি ব্রয়লারে উৎপাদন ব্যয় হয় ১০০ টাকার কাছাকাছি। অথচ সেটি তারা ১৬০-১৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করে। সেখানে পুরো খাত করপোরেটদের দখলে। আমাদের এ অবস্থা হলে ব্রয়লারের দাম কয়েক গুণ বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করে ফেলা হবে।’

ডিম মজুদ করছে করপোরেট গ্রুপগুলো!

বিপিএ সভাপতি সুমন হাওলাদার বলেন, ‘প্রান্তিক পোল্ট্রি খামারিরা কখনই ডিম মজুদ করতে পারে না। তবে করপোরেট গ্রুপগুলো ডিম মজুদ শুরু করেছে। পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে তারা বেশি দামে ডিম বিক্রি করবে। এর আগেও ডিম মজুদ করে দাম বাড়ানোর কারণে কয়েকটি করপোরেট প্রতিষ্ঠানকে প্রতিযোগিতা কমিশন জরিমানা করেছিল। প্রতিদিন ডিমের চাহিদা ৪ কোটি পিস। যেখানে স্বাভাবিক সময়ে উৎপাদিত হয় সাড়ে ৪ কোটি পিস। তবে তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে এখন দৈনিক মাত্র ৩ কোটি ৮০ লাখ পিস ডিম উৎপাদন হচ্ছে। দৈনিক ২০ লাখ ডিমের ঘাটতি রয়েছে। আগামী দেড় মাসের মধ্যেই ডিম ও মাংস উৎপাদনে ব্যাপক প্রভাব পড়বে।’ 

যা বলছে বিশেষজ্ঞ ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পোল্ট্রি সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শওকত আলী বলেন, ‘অতিরিক্ত গরমে ব্রয়লার মুরগি মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়ে, বেশি সংখ্যাই মারা পড়ে। মুরগিকে দেওয়া পানিতে গ্লুকোজ, গুড়, লেবুর রস দিতে হবে। ব্রয়লারের জন্য তাপমাত্রা ২২-২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস ভালো। কিন্তু বর্তমানে তো তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৪২! এ তাপমাত্রা বড় মুরগিগুলো সহ্য করতে পারে না।’ 

খাদ্য সম্পর্কে পরামর্শ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘পোল্ট্রির খাবার তৈরিতে পরিবর্তন আনতে হবে। মৌসুম উপযোগী খাদ্য তৈরি করতে হবে। কেননা গরমের কারণে মুরগি ১৫০ গ্রামের স্থানে ৭০ বা ৮০ গ্রাম খাবার খায়। খাদ্যের উপাদানে তাই এনার্জির পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে হবে। প্রোটিন ভাঙতে প্রচুর হিট অ্যাপ্লিমেন্ট হয়। এজন্য খাদ্যে প্রোটিনের পরিমাণ কমিয়ে দিতে হবে। কিন্তু প্রান্তিক খামারিদের তো এ সক্ষমতা কোথাও নেই! এজন্য আমাদের নতুন করে তাপমাত্রা নিয়ে চিন্তা করতে হবে। কেননা এ খাতে বিপুলসংখ্যক মানুষ বিনিয়োগ করেছে।’ 

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব ডেইরি অ্যান্ড পোল্ট্রি সায়েন্সের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো. মোরশেদুর রহমান বলেন, এই তাপপ্রবাহে মুরগি বাঁচাতে হলে শেডের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। পর্যাপ্ত বাতাসের ব্যবস্থা করতে হবে। ভিটামিন ‘সি’ খাওয়াতে হবে। ধারণক্ষমতার মধ্যে কম মুরগি রাখতে হবে। পানিতে ভিটামিন-ভিত্তিক ওষুধ ব্যবহার করা যাবে না। মুরগির শরীরে পানি স্প্রে করতে হবে।’

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের (ডিএলএস) সাবেক মহাপরিচালক ও আনোয়ার সিমেন্ট শিটের কনসালট্যান্ট ডা. মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, ‘গরমের সময় ঢেউটিন বা প্রপারের শেডে সূর্যের তাপ বেশি পড়ে। এতে শেড গরম হয়ে যায় এবং সেই তাপ মুরগির শরীরে চলে আসে। মুরগি তখন বেশি পানি খায়, পাতলা পায়খানা করে। এতে করে শেডের আর্দ্রতা আরও বেড়ে গিয়ে তাপমাত্রাও বেড়ে যায়। এভাবে এক পর্যায়ে মুরগি স্ট্রোক করে মারা যায়। সিমেন্ট শিটে শেড তৈরি করলে তাপমাত্রা বেশি হয় না।’ 

তিনি বলেন, ‘যারা ঢেউটিন দিয়ে শেড তৈরি করেছে তাদের জন্য পরামর্শ হচ্ছে, সেখানে সিলিং ফ্যান না দিয়ে স্ট্যান্ড ফ্যান দিতে হবে। কেননা সিলিং ফ্যানে তাপ বাইরে বের হতে পারে না। অথচ স্ট্যান্ড ফ্যানে খুব দ্রুত তাপ বাইরে বেরিয়ে যায়। এতে শেডের ভিতরে তাপ বেশি থাকে না। ফলে মুরগি বেশি হাঁপায় না। হিট স্ট্রোকও করে না।’ তিনি বলেন, ‘মুরগিকে ঘনঘন ঠান্ডা পানি দিতে হবে। দুপুরে খাবার দেওয়া যাবে না। কেননা আমরা এমন খাবার খাওয়াই যাতে ক্যালরি বেশি থাকে। ক্যালরির কারণে শরীরের তাপমাত্রাও বেড়ে যায়। এজন্য দুপুরে খাবার না দিয়ে সকাল ও বিকাল বা সন্ধ্যায় খাবার দিতে হবে।’ 

চলমান তাপপ্রবাহে প্রাণিসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিষয়ে গত ২১ এপ্রিল প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর একটি নির্দেশনা জারি করে। সেখানে ১০টি নির্দেশনা দেওয়া হয়। এ ব্যাপারে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক বলেন, ‘বর্তমানে অত্যধিক তাপমাত্রার কারণে হিট স্ট্রোক করে মুরগি মারা যাচ্ছে। আমরা এ ব্যাপারে দিকনির্দেশনা দিয়েছিলাম। তাতে পোল্ট্রির ঘর শীতল রাখার ব্যবস্থার কথা হয়েছে। এজন্য শেডের চালে ভেজা চট, বস্তা বা কাপড় বিছিয়ে দিতে হবে। সময়ে সময়ে পানি ছিটিয়ে ভিজিয়ে রাখতে বলা হয়েছে। শেডের ভিতরে পর্যাপ্ত বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা করতে হবে। পানির সরবরাহ বাড়ানোর কথাও বলা হয়েছে।’ 

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা