প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ১৬:৪৯ পিএম
আপডেট : ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ২০:২০ পিএম
২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট আলোচনা বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. ফরাসউদ্দীন আহমেদ। প্রবা ফটো
বর্তমানে দেশে ৭৮ শতাংশ মানুষ বেকার। এ অবস্থায় সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি আত্মহত্যার সামিল বলে মন্তব্য বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. ফরাসউদ্দীন আহমেদ।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট গোলটেবিল আলোচনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট একাউন্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি)।
ড. ফরাসউদ্দীন বলেন, সংকোচনমূলক মুদ্রানীতির মাধ্যমে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। কারণ যখন ৯ শতাংশ সুদহার ছিল তখনও মূল্যস্ফীতি ছিল। এটি সমাধানের জন্য মজুত ও সরবরাহ বাড়াতে হবে। এক্ষেত্রে স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করতে হবে।
সরকারের কাছে প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ‘রপ্তানি আয়ের ১২ ভাগ কেন বিদেশে থেকে যাচ্ছে, কেন বছরে ৭০০ কোটি ডলার পাচার হচ্ছে? আমরা কেন ধরতে পারছি না। সরকার বাহাদুরকে বলব এটি নিয়ন্ত্রণ করুন।’
সাবেক এ গভর্নর বলেন, ‘একক বিনিময় হার না হলে রিজার্ভ পতন থামবে না। মধ্যসত্বভোগীদের সুবিধার জন্য একাধিক বিনিময় হার রাখা হচ্ছে। একক বিনিময় হার হলে মধ্যস্বত্বভোগী থাকবে না, সরাসরি রেমিটার বেনিফিট পাবে। এতে ডলার সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে। তাছাড়া বিদেশে থাকা রপ্তানি আয় সর্বোচ্চ পাঁচ শতাংশের আশেপাশে থাকতে পারে। কিন্তু এটি ১২ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। এটি সমাধান করতে হবে।’
বাজেট ঘাটতি পূরণের জন্য বিদেশ থেকে ঋণ না নিয়ে সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ‘বিদেশী উৎস কিংবা ব্যাংক খাত থেকে ঋণ নিয়ে ঘাটতি পূরণ করলে বিভিন্ন সমস্যা তৈরি হয়। ব্যাংক থেকে সরকার ঋণ নিলে বেসরকারি খাত ক্ষতিগ্রস্থ হয়। কিন্তু সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ নিলে মূল্যস্ফীতিতে আঘাত হয় না।’
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়েশা খান, বিশেষ অতিথি ছিলেন, পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অফ বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর এবং এফবিসিসিআই এর প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম। এছাড়া শিক্ষাবিদ, গবেষক, অর্থনীতিবিদ, ব্যবসায়ী এবং বিভিন্ন পেশাজীবী চেম্বার সদস্যসহ বিভিন্ন খাতের বিশেষজ্ঞরা অনুষ্ঠানে উপস্থিতি ছিলেন।