উপজেলা নির্বাচন
প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ১০:২২ এএম
আপডেট : ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ১০:৪০ এএম
ফাইল ফটো
ঋণখেলাপিরা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। এ লক্ষ্যে মনোনয়নপত্র দাখিলকারী প্রার্থীদের তথ্য যাচাই করছে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান। তারপর খেলাপিদের চিহ্নিত করে তালিকা পাঠানো হচ্ছে নির্বাচন কমিশনে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় গত রবি ও সোমবার বিশেষ নিরীক্ষা চালানো হয়েছে।
রবিবার সকালে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরো (সিআইবি) বিভাগ থেকে একটি গোপন নির্দেশনা সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়। গত রবি ও সোমবার নির্ধারিত ব্যাংকিং সময়ের অতিরিক্ত ৪ ঘণ্টা খোলা ছিল ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সিআইবি সেল।
এতে বলা হয়, উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলকারী প্রার্থীদের ঋণতথ্য যাচাই করার লক্ষ্যে রবি ও সোমবার সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সিআইবি সেল নির্ধারিত ব্যাংকিং কর্মঘণ্টা শেষে বিকাল ৫টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা রাখতে হবে। এ ছাড়া রিপোর্টকৃত ঋণতথ্যের সঠিকতা নিশ্চিতকরণসহ হালনাগাদ তথ্য নির্বাচন কমিশনে প্রেরণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত ২ এপ্রিল ঋণখেলাপি প্রার্থীদের চিহ্নিত করতে সহায়তা চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের কাছে চিঠি দেয় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়। নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছু প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ছিল রোববার। আজ মঙ্গলবার প্রার্থিতা বাছাইয়ের তারিখ নির্ধারিত আছে।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শাখা থেকে সরাসরি সিআইবি ডেটাবেজে ঋণগ্রহীতার তথ্য হালনাগাদ করা যাচ্ছে। গত সেপ্টেম্বর থেকে এ ব্যবস্থা চালু হয়েছে। তখন বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। বিভিন্ন মহল থেকে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয় যে, শাখা পর্যায়ের ব্যাংক কর্মকর্তাদের চাপ দিয়ে সিআইবি পরিবর্তন করতে পারে প্রভাবশালীরাÑ এমন আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, এ ব্যবস্থার ফলে বর্তমানে দ্রুত হালনাগাদ হচ্ছে গ্রাহকের ঋণ সংক্রান্ত তথ্য। সর্বশেষ তথ্য পেতে অন্য ব্যাংকের জন্যও এটি সুবিধাজনক হয়েছে। এর আগে বিভিন্ন ধাপ পেরিয়ে ঋণগ্রহীতার হালনাগাদ তথ্য সিআইবি ডেটাবেজে আপলোড করতে দুই মাস পর্যন্ত লেগে যেত।
যেকোনো ব্যক্তির ঋণ সংক্রান্ত তথ্য সিআইবিতে থাকে। সাধারণত কেউ ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণখেলাপি কি না, তার ঋণ পরিশোধের ইতিহাস সিআইবি থেকে যাচাই করা হয়।