নারায়ণগঞ্জ প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২২ এপ্রিল ২০২৪ ২২:১৩ পিএম
বিকেএমইএর হেড অফিসে সোমবার এক মতবিনিময় সভায় সংগঠনের সহসভাপতি ফজলে শামীম এহসানসহ অন্য নেতারা। প্রবা ফটো
বাংলাদেশ এখন বিশ্বের দ্বিতীয় পোশাক রপ্তানিকারক দেশ, তবে এখনও বিশ্ববাজারে আমাদের অবস্থান পোক্ত করতে পারিনি। তাই আমাদের চায়নার সহযোগিতা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন বিকেএমইএর সহসভাপতি ফজলে শামীম এহসান।
ব্যবসায়িক উন্নয়ন ও পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে চাইনিজ এন্টারপ্রাইজেস অ্যাসোসিয়েশন ইন বাংলাদেশ (সিইএবি-টেক্স) ও চায়না টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং সোসাইটির সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা করে তিনি এসব কথা বলেন। গতকাল নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় অবস্থিত বিকেএমইএর হেড অফিসে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভাপতির বক্তব্যে ফজলে শামীম এহসান আরও বলেন, ‘আমাদের শ্রমিকদের দক্ষতা উন্নয়নের বিষয়ে চাইনিজ টেকনোলজির প্রয়োজন। সেই সঙ্গে চাইনিজ নতুন নতুন সুতা এবং নতুন নতুন কাপড়, আমাদের দেশে উৎপাদন করা জরুরি বলে আমি মনে করি। ঐতিহাসিকভাবেই চাইনিজ ইনভেস্টরদের আমরা আমন্ত্রণ করে থাকি।’
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনটির সহসভাপতি অমল পোদ্দার, মোর্শেদ সারোয়ার সোহেল, আখতার হোসেন অপূর্ব, মোহাম্মদ রাশেদ।
চাইনিজ অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, চাইনিজ এন্টারপ্রাইজেস অ্যাসোসিয়েশন ইন বাংলাদেশের সভাপতি মি. মাইক, চায়না টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং সোসাইটির পরিচালক মি. ওয়াং যেংসহ অন্যরা।
অনুষ্ঠানে ওয়াং যেং বলেন, ‘আমরা চায়না থেকে এসেছি বাংলাদেশের ব্যবসা দেখার জন্য এবং তাদের সঙ্গে ব্যবসা বৃদ্ধি করার জন্য। আমাদের সঙ্গে অনেক গ্রুপ আছে। আমরা তৈরি পোশাক শিল্পের জন্য যেসব টেকনোলজি তৈরি করেছি সেগুলো বাংলাদেশে নিয়ে এসে একসঙ্গে ব্যবসা করতে চাই। এশিয়ার মধ্যে পোশাকশিল্পে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে আছে, তাই আমরা এখানে এসেছি।’
ডংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব টেক্সটাইল অনুষদের ভাইস ডিন ওয়াং জিয়াফেং বলেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়টি পোশাক ও টেক্সটাইল খাতের উন্নয়নে গবেষণা অব্যাহত রেখেছে। বিকেএমইএতে এই সফর আমাদের জন্য সহায়ক হবে। একই বিষয় নিয়ে গবেষণার জন্য এদেশে আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। সুতরাং জ্ঞান বিনিময়ে দেশ দুটি পরস্পরের সহায়ক হতে পারে।’
চায়না ন্যাশনাল টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেল কাউন্সিলের পরিচালক ইয়ং ইয়াং বলেন, ‘চায়না টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং সোসাইটি অধীনে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান আছে। টেকনোলজির বিকাশে পারস্পরিক জ্ঞান বিনিময় খুবই দরকার। আমরা আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলোতে আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। বাংলাদেশ ও চায়না একসঙ্গে কাজ করলে দুই দেশেরই অনেক এগিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’
সিআবের নেতৃত্বে বৈঠকে উপস্থিত প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছেÑ চায়না টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং সোসাইটি, সিএনট্যাক ইউনাইটেড টেস্টিং সার্ভিস, চায়না ন্যাশনাল গার্মেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, জিনজিয়াং কেমিক্যাল ফাইবার, জিয়াংসু জেম রিসার্চ ইনস্টিটিউটসহ ৩১টি প্রতিষ্ঠানে ৪২ প্রতিনিধি।