প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২২ এপ্রিল ২০২৪ ২১:০১ পিএম
রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে ইউএস ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভের (ইউএসটিআর) দক্ষিণ ও সেন্ট্রাল এশিয়া অঞ্চলের সফররত প্রতিনিধি দল এবং বিজিএমইএর মধ্যে অনুষ্ঠিত এক বৈঠক। প্রবা ফটো
যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বাংলাদেশের পক্ষে জিএসপি (পণ্যের অবাধ বাজার) সুবিধা পুনর্বহাল এবং তাদের জিএসপি কর্মসূচিতে পোশাক পণ্য অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছে তৈরি পোশাক কারখানা মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ।
সংগঠনটির সভাপতি এস এম মান্নান (কচি) যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের কাছে এ সুবিধা পুনর্বহালের দাবির পাশাপাশি তৈরি পোশাকের জন্য ন্যায্য ন্যূনতম মূল্য প্রদান এবং সামাজিক নিরীক্ষার জন্য একটি সমন্বিত আচরণবিধি (কোড অব কন্ডাক্ট) নিশ্চিত করতে দেশটির সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন।
সোমবার (২২ এপ্রিল) রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে ইউএস ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভের (ইউএসটিআর) দক্ষিণ ও সেন্ট্রাল এশিয়া অঞ্চলের সফররত প্রতিনিধি দল এবং বিজিএমইএর মধ্যে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে তিনি এ দাবি করেন। সফররত প্রতিনিধি দলটি দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য এবং শ্রমিকদের অধিকার বিষয়ে বিজিএমইএ নেতাদের সঙ্গে এ বৈঠকটি করেন।
বিজিএমইএ নেতারা জানান, উচ্চ-পর্যায়ের এ বৈঠকের লক্ষ্য ছিলো দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য এবং শ্রমিকদের অধিকার, কল্যান, এবং বাজার প্রবেশাধিকার সংক্রান্ত নীতিগুলোসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষযগুলো নিয়ে আলোচনা করা।
দক্ষিণ ও সেন্ট্রাল এশিয়া অঞ্চলের সহকারী ইউএসটিআর, ব্রেন্ডন লিঞ্চের নেতৃত্বে ইউএসটিআর প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন, দক্ষিণ ও সেন্ট্রাল এশিয়া অঞ্চলের ইউএসটিআর পরিচালক এমিলি অ্যাশবি এবং শ্রমবিষয়ক ইউএসটিআর পরিচালক জেনিফার ওটকেন। ঢাকায় অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসের অর্থনৈতিক ইউনিটের প্রধান জোসেফ গিবলিন এবং লেবার অ্যাটা শেলীনা খানও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে বিজিএমইএর পক্ষে নেতৃত্ব দেন সংগঠনের সভাপতি এস এম মান্নান (কচি)। আলোচনায় আরও অংশ নেন বিজিএমইএর সিনিয়র সহসভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম, সহ-সভাপতি (অর্থ) মো. নাসির উদ্দিন এবং সহ-সভাপতি আবদুল্লাহ হিল রাকিব।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএর পরিচালক আসিফ আশরাফ, পরিচালক শোভন ইসলাম, পরিচালক মোহাম্মদ সোহেল সাদাত, পরিচালক মো. আশিকুর রহমান (তুহিন), পরিচালক শামস মাহমুদ, পরিচালক নুসরাত বারী আশা এবং বিজিএমইএর আইএলও ও শ্রমসংক্রান্ত স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান আনম সাইফুদ্দিন।
আলোচনাকালে বিজিএমইএর সভাপতি এস এম মান্নান (কচি) বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তা, শ্রমিকদের অধিকার এবং চলমান শ্রম আইন সংস্কারের বিষয়ে শিল্পের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতিগুলো তুলে ধরে বলেন, শ্রমিকদের অধিকার ও কল্যাণ ইস্যুতে আরও অগ্রগতি অর্জনের জন্য বাংলাদেশ সরকার এবং শিল্পের প্রতিশ্রুতি এবং চলমান প্রচেষ্টাগুলোর বাস্তবায়ন করতে হবে। তিনি এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের সহযোগিতা চান।
ইউএসটিআরের প্রতিনিধি দল শ্রমখাতে কিছু ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতির বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশকালে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের শ্রম কর্মপরিকল্পনা এবং বিএলএতে সংশোধনীসহ আরও উন্নতির প্রয়োজন রয়েছে বলে সভায় অবহিত করেন। সভায় তৈরি পোশাক শিল্পকে আরও টেকসই করার জন্য আরও পারস্পরিক সহযোগিতা এবং এক সঙ্গে কাজ করার উপর গুরুত্বপ্রদান করা হয়।