বিআইডিএসের গবেষণা
প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৯ নভেম্বর ২০২২ ১৮:৫২ পিএম
আপডেট : ০৯ নভেম্বর ২০২২ ২১:০৯ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
বাজারে চালের দাম বাড়লেও অত্যাবশ্যকীয় এ পণ্যের ভোগ কমে না। তবে চাল কিনতে খরচ বাড়ায় কমে আসে পুষ্টিকর খাবার হিসেবে পরিচিত মাছ, মাংস, ফলমূল ও ডালের চাহিদা। অপরদিকে বেড়ে যায় সবজির চাহিদা। চরম দারিদ্র্যসীমায় বসবাস করা মানুষেরাই চালের সবচেয়ে বড় ভোক্তাশ্রেণি।
বুধবার আগারগাঁওয়ে সরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান-বিআইডিএস থেকে প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে এমন তথ্য তুলে ধরা হয়। গবেষণাটি পরিচালনা করেন ড. ওয়াসেল বিন সাদাত। এতে সভাপতিত্ব করেন সংস্থাটির মহাপরিচালক ড. বিনায়ক সেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, চরম দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করা জনগোষ্ঠীর মোট খাদ্যব্যয়ের ৩২ শতাংশই যাচ্ছে চালের জন্য। যেখানে দরিদ্র জনগোষ্ঠী তাদের মোট ব্যয়ের ২৯ শতাংশ ব্যয় করে চালের জন্য। তবে খাদ্যের পেছনে মোট জাতীয় ব্যয়ের ২১ শতাংশ খরচ হয় চালের পেছনে।
এদিকে নারীদের তুলনায় পুরুষেরা বেশি পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করে থাকে। আবার পণ্যের দাম ১০ শতাংশ বাড়লে মাছ-মাংসের চাহিদা কমে বেড়ে যায় সবজি ও ফলের চাহিদা।
দেশে করোনা সংক্রমণের সময়ে মানুষের আয়ের ওপর নেতিবাচক প্রভাব তুলে ধরে অনুষ্ঠানে বলা হয়, প্রথম লকডাউনের সময় মানুষের আয় প্রায় ৭০ শতাংশ পর্যন্ত কমে গিয়েছিল। তবে লকডাউনের শেষে তা ৪৩ শতাংশে নেমে আসে। আর দ্বিতীয়বার লকডাউনের শেষে আয় হ্রাসের পরিমাণ দাঁড়ায় মাত্র ৪ শতাংশ। অর্থাৎ লকডাউন উঠে যাওয়ার ফলে মানুষের আয় পুনরুদ্ধার হয়ে আসে।
গবেষণার বিষয়ে ড. বিনায়ক সেন বলেন, গবেষণায় উঠে এলো দাম বাড়লে মানুষের পুষ্টিকর খাবারের ক্ষেত্রে এক ধরনের ছাড় দিতে হয়। আরেকটি বিষয় উঠে এসেছে সেটা হলো—কোভিডের কারণে আয় হ্রাসের পরিমাণ ৭০ শতাংশ থেকে ৪৩ শতাংশে উঠে এসেছে। এখানে দারুণ একটি পুনরুদ্ধার ঘটেছে। আমরা যে শুধু পলিসি নিয়ে কাজ করি তা নয় বরং মাইক্রো অর্থনীতি নিয়ে কাজ করি, আজকের গবেষণা তার একটি প্রমাণ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
প্রতিবেদন প্রকাশের পর এক প্রশ্নের জবাবে ড. ওয়াসেল বলেন, অনেক সময় বলা হয় যে মুরগির দাম বেড়ে গেলে মানুষ মাছ খাবে বেশি কিন্তু বাস্তবে তা ঘটে না। মাছের দাম বাড়লে ফল ও ডালের ভোগ বাড়বে। আবার মাংসের দাম বাড়লে সবকিছুর ভোগ কমে আসবে।