× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রীর উৎপাদন বাড়ানোর তাগিদ

প্রবা প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৮ নভেম্বর ২০২২ ১৮:৫৩ পিএম

ছবি: প্রবা

ছবি: প্রবা

উৎপাদন বাড়াতে হবে। এক ইঞ্চি জমি ফেলে রাখা যাবে না। জমিতে নানা ধরনের চাষাবাদ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী কেবিনেট সচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন ডিসিরা যেন অনাবাদি জমি খুঁজে বের করেন। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান প্রধানমন্ত্রীর এমন নির্দেশনার কথা জানান।

মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপার্সন শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বিফ্রিং করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম।

পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আয়েশি-বিলাসী প্রকল্প নেওয়া যাবে না। তবে ছোট গ্রামীণ প্রকল্প বা কল্যাণমুখী প্রকল্পে আপস করা যাবে না। বড় বড় প্রকল্প নেওয়া যাবে না। বড় প্রকল্প গ্রহণে ফিসিজিবিলিটি স্টাডি গভীরভাবে দেখতে হবে। যে কৌশলে কমিশন এক বছর যাবৎ কাজ করছে এটা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেন। দুনিয়াব্যাপী মন্দা চলছে, অপচয় কমানোর পাশাপাশি মিতব্যয়ী হতে হবে বলেও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

এম এ মান্নান বলেন, সন্দীপসহ দেশের উপকূলীয় অনেক স্থানে জেটি নির্মাণ করা হলে স্থানীয়সহ পর্যটকদের সুবিধা হবে। ঢাকা সিটি করপোরেশনের যেসব এলাকায় অবকাঠামো ঘাটতি আছে। অনুমোদিত প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে সেই ঘাটতির অনেকটাই পূরণ হবে।

এসময় পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম বলেন, অর্থনীতির বিভিন্ন সূচক আগের চেয়ে বরং ভালো হচ্ছে। রপ্তানি ও রেমিটেন্স কমছে, এটা সত্য নয়।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, রপ্তানি ও প্রবাসী আয় বৃদ্ধির জন্য টাকার মান কমা ভালো। ডলারের সরবরাহ বাড়াতে টাকার মান কমাতে হবে। আমরা চাচ্ছি দেশে আরও ডলার সরবরাহ হোক। পরিস্থিতি সামাল দিতে হলে টাকার মান ও এক্সচেঞ্জ রেট সমন্বয় করতে হবে।

গত কয়েক মাসের গড় পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি বলেন, জুলাই-অক্টোবর সময়ে ৭ দশমিক ১৯৮ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স এসেছে। যা আগের বছরের একই সময় ছিল ৭ দশমিক ০৫৫ বিলিয়ন ডলার। রেমিটেন্স কমছে কথাটা সত্যা না।

প্রতি মন্ত্রী বলেন, এক্সপোর্ট ১৬ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন হয়েছে। যেটা গত বছরের এত সময় ছিল ১৫ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন। এটাও বেড়েছে। আমাদের আমদানি কমেছে,  চলতি হিসাবে ভারসাম্য আমরা সমাল দিতে পেরেছি। আগের বছরের চেয়ে বিদেশি বিনিয়োগও বেড়েছে। কাজেই আমরা সংকটের মধ্যে পড়ে গেছি, অনেক বিপর্যয়ের মধ্যে আছি, এটা কিন্তু ঠিক না। অর্থনীতি স্বাভাবিক আছে, আমরা ভালোভাবে এগুচ্ছি।

আইএমএফ-এর তথ্যে দ্বিমত পোষণ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, রিজার্ভের হিসাব পদ্ধতি নিয়ে আইএমএফ বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে একমত না হলে কিছু আসে যায় না। প্রথাগতভাবে সরকার রিজার্ভ রক্ষা করছে। সরকার কোথাও কিছু লুকায়নি। ৩৫ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি রিজার্ভ আছে। এটা দিয়ে এখনো চার মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে।

একনেক সভায় ৭টি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৯৮১ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। এরমধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৩ হাজার ৩৯২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা, আর বৈদেশিক ঋণ সহায়তা থেকে ৩২২ কোটি ২১ লাখ টাকা এবং বাস্তবায়নকারী সংস্থা থেকে ২৬৭ কোটি ৩৫ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে।

একনেকে অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হচ্ছে— চট্টগ্রামের মিরসরাই ও সন্দীপ, কক্সবাজারের সোনাদিয়া দ্বীপ ও টেকনাফ অংশের জেটিসহ আনুষঙ্গিক স্থাপনাদি নির্মাণ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৯১৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় অঞ্চল-২ ও অঞ্চল-৪ এর ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক অবকাঠামোসহ অঞ্চল-২ অঞ্চল-৫ এর সার্ভিস প্যাসেজগুলোর উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৬৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ ভবন এলাকার বৈদ্যুতিক-যান্ত্রিক ও নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ অন্যান্য উন্নয়ন কাজের ব্যয় ধরা হয়েছে ৯২ কোটি ১৭ লাখ টাকা। বারৈয়ারহাট-হেঁয়াকো-রামগড় সড়ক প্রশস্তকরণে ব্যয় ধরা হয়েছে ২৬১ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। নবীনগর-আশুগঞ্জ সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৮৩ কোটি ৪১ লাখ টাকা। দিনাজপুর অঞ্চলে টেকসই কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৫ কোটি ৩২ লাখ টাকা। চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিদ্যুৎ সঞ্চালন ব্যবস্থার সম্প্রসারণ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৫০২ কোটি ৪১ লাখ টাকা।

এছাড়া ব্যয় বৃদ্ধি ছাড়া চতুর্থবার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে ২টি প্রকল্পের সেগুলো হলো- খুলনা শিপইয়ার্ড সড়ক প্রশস্তকরণ ও উন্নয়ন প্রকল্প। বরিশাল মেট্রোপলিটন ও খুলনা পুলিশ লাইন নির্মাণ প্রকল্প।

এ সময় পরিকল্পনা সচিব মামুন-আল-রশীদ, ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) সত্যজিত কর্মকার, আইএমইডির সচিব আবু হেনা মোর্শেদ জামান এবং তথ্য ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন উপস্থিত ছিলেন

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা