× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

কৃষকের মুখে সূর্যমুখী হাসি

লালমোহন (ভোলা) সংবাদদাতা

প্রকাশ : ২১ মার্চ ২০২৪ ১২:৩২ পিএম

আপডেট : ২১ মার্চ ২০২৪ ২১:৫৫ পিএম

কম খরচ ও অল্প পরিশ্রমে লাভবান হওয়ায় সূর্যমুখী চাষে ঝুঁকছেন কৃষক। সম্প্রতি লালমোহন এলাকা। প্রবা ফটো

কম খরচ ও অল্প পরিশ্রমে লাভবান হওয়ায় সূর্যমুখী চাষে ঝুঁকছেন কৃষক। সম্প্রতি লালমোহন এলাকা। প্রবা ফটো

দ্বীপ জেলা ভোলার লালমোহন উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে হাসছে সূর্যমুখী ফুল। এই সূর্যমুখীকে কেন্দ্র করে স্বপ্ন বুনছেন কৃষকরা। ফলন বেশি হওয়ায় এবং প্রণোদনার পাশাপাশি দামও ভালো পাওয়ায় সূর্যমুখী চাষে আগ্রহ বাড়ছে উপজেলার কৃষকদের। গত বছরের চেয়েও এ বছর বেড়েছে সূর্যমুখীর চাষ।

কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর উপজেলার ১৭৫ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখীর চাষ হয়েছে। আর গত বছর ১৬২ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখীর চাষ হয়েছিল। কাবেরী, হাইসান-৩৩, আরডিএস-২৭৫ এবং বারি সূর্যমুখী-২সহ বেশ কয়েকটি জাতের সূর্যমুখীর চাষ করেছেন কৃষকরা।

উপজেলার পাঙাশিয়া গ্রামের কৃষক মো. হারুন বলেন, ‘কৃষি অফিসের পরামর্শ অনুযায়ী প্রথমবারের মতো ১৬০ শতাংশ জমিতে সূর্যমুখীর চাষ করেছি। বর্তমানে ক্ষেতে ফসল অনেক ভালো দেখা যাচ্ছে। এ ফসল সংগ্রহ করা পর্যন্ত ৫০-৫৫ হাজার টাকার মতো খরচ হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে এ বছর ক্ষেত থেকে লক্ষাধিক টাকা বিক্রি করতে পারব। 

প্যায়ারী মোহন গ্রামের পুরঞ্জিত চন্দ্র দাস নামে এক কৃষক বলেন, গত বছর ১০০ শতাংশ জমিতে সূর্যমুখীর চাষ করেছিলাম। ফলন ভালো হওয়ায় চলতি বছর দুই একর জমিতে চাষ করেছি। এ বছর চাষাবাদে অন্তত ৬২ হাজার টাকার মতো খরচ হবে। তবে এক লাখ ৩০ হাজার টাকার বিক্রি করতে পারব। সূর্যমুখী চাষের পর থেকে নিজেদের রান্নায় এই তেলই ব্যবহার করছি। পারিবারিক চাহিদার পর অতিরিক্ত তেল বাজারে বিক্রি করি।’

উপজেলা কৃষি অফিস জানিয়েছে, সূর্যমুখী চাষিদের কৃষি অফিস থেকে বিনামূল্যে বীজ ও সার দেওয়া হয়েছে। তবে চাষে কৃষকদের নিজস্ব খরচ রয়েছেÑ জমি প্রস্তুত, সেচ, কীটনাশক ও শ্রমিকদের মজুরি ইত্যাদি। এ উপজেলার চাষিরা আগামী এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে ফসল সংগ্রহ করতে পারবে। চলতি বছরে সবচেয়ে বেশি সূর্যমুখীর চাষ করেছেন পশ্চিম চরউমেদ, লর্ডহার্ডিঞ্জ ও লালমোহন ইউনিয়নের কৃষকরা।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আবু হাসনাইন বলেন, ‘কম খরচ ও অল্প পরিশ্রমে লাভবান হওয়ায় এবং কৃষি অফিসের নানামুখী পদক্ষেপের কারণে কৃষকরা সূর্যমুখী চাষের দিকে ঝুঁকছেন। প্রতি বছরই লালমোহনে সূর্যমুখীর আবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলনও ভালো দেখা যাচ্ছে। কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা নিয়মিত খোঁজখবর নিচ্ছেন এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছেন। আবহাওয়া ভালো থাকলে চাষিরা ভালো ফলন পাওয়ার পাশাপাশি তাদের ফসলের ন্যায্য মূল্য পেয়ে অধিক লাভবান হবেন। 

তিনি আরও বলেন, ‘সূর্যমুখী তেলের পুষ্টিগুণ যেমন বেশি তেমনি অধিক স্বাস্থ্যসম্মত। অধিক হারে চাষ বৃদ্ধি করা গেলে পুষ্টি চাহিদা অনেকাংশে পূরণ হবে। পাশাপাশি ভোজ্যতেলের জন্য বিদেশ নির্ভরতা কমে যাবে। আগামীতে কেউ নতুন করে সূর্যমুখী চাষে আগ্রহী হলে তাদের সহযোগিতা করব।’ 

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা