প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৮ মার্চ ২০২৪ ১৩:৩৫ পিএম
আপডেট : ১৮ মার্চ ২০২৪ ১৫:০৫ পিএম
সোমবার সমঝোতা স্মারকে সই করেন এক্সিম ব্যাংকের এমডি ফিরোজ হোসেন ও পদ্মা ব্যাংকের এমডি তারেক রিয়াজ খান। এ সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার, পদ্মা ব্যাংকের চেয়ারম্যান আফজাল করিমসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ছবি : সংগৃহীত
এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার বলেছেন, পদ্মা ব্যাংক এবং এক্সিম ব্যাংক একীভূত হয়েছে দেশের স্বার্থে। এ ক্ষেত্রে ব্যবসায়িক স্বার্থ ছাড় দেওয়া হয়েছে। একীভূত হওয়ার ক্ষেত্রে সরকারের চাপ না থাকলেও পরামর্শ ছিল।
সোমবার (১৮ মার্চ) পদ্মা ব্যাংকে একীভূতকরণ চুক্তি শেষে এসব কথা বলেন তিনি। সমঝোতা স্মারকে সই করেন এক্সিম ব্যাংকের এমডি ফিরোজ হোসেন ও পদ্মা ব্যাংকের এমডি তারেক রিয়াজ খান। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদারের উপস্থিতিতে এ চুক্তি হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পদ্মা ব্যাংকের চেয়ারম্যান আফজাল করিম।
নজরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, দেশে প্রথমবারের মতো একীভূত হলো বেসরকারি খাতের এক্সিম ব্যাংক ও পদ্মা ব্যাংক। তবে পদ্মা ব্যাংকের পরিচালকরা এক্সিম ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে থাকতে পারবেন না। এর ফলে পরিচালনা পর্ষদে সব ধরনের সিদ্ধান্ত নেবেন এক্সিম ব্যাংকের পরিচালকরা। দুই ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগের বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। সে বিষয়ে প্রক্রিয়া চলছে।
এক্সিম ব্যাংকের এ চেয়ারম্যান একটু রূপকভাবে বলেন, পদ্মায় জাল ফেলেছে এক্সিম ব্যাংক। এখন ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরার পালা। এক বছরের মধ্যে পদ্মা ব্যাংক ভালো হয়ে যাবে। চাইলে পদ্মা ব্যাংকের যেকোনো ব্যক্তিগত আমানতকারী তার টাকা এক্সিম ব্যাংক থেকেই তুলে নিতে পারবেন। পদ্মা ব্যাংকের সব দায়ভার এখন থেকে গ্রহণ করল এক্সিম ব্যাংক।
এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান বলেন, আগামীকাল (মঙ্গলবার) থেকে আর পদ্মা ব্যাংক থাকছে না। একীভূত করার ক্ষেত্রে সরকারের কোনো চাপ ছিল না। তবে সরকারের পক্ষ থেকে পরামর্শ ছিল। আমরা এটা করেছি দেশের স্বার্থে, দেশের অর্থনীতির স্বার্থে। পদ্মাকে একীভূত করা হলেও আমানতকারীদের কোনো সমস্যা হবে না, সবাই নিরাপদে থাকবেন।
বক্তব্যে শরিয়াভিত্তিক ব্যাংক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এক্সিম ব্যাংক শরিয়াভিত্তিক। পদ্মা ব্যাংক সাধারণ হলেও আমরা (এক্সিম) যেহেতু তাদের মার্জ করেছি তাই তারাও শরিয়াভিত্তিক হবে। এক্সিম ব্যাংকের প্রতিটি সূচক ভালো অবস্থানে আছে। আশা করব পদ্মাও খুব শিগগির ভালো হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক জানান, খেলাপিদের পার পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। দুটি অডিট ফার্ম নিয়োগ করা হবে। অডিটের মাধ্যমে পরিচালকদের দায়দেনাও উঠে আসবে। আইনি প্রক্রিয়া ফলো করে আমরা সামনে এগোব। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বাংলাদেশ ব্যাংকের এ মুখপাত্র বলেন, কোনো ব্যাংক এখনও দেউলিয়া হয়নি। ব্যাংকের পর্যায়ে কাজ শেষ হলে আদালত এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের কিছু কাজ আছে। এসব প্রক্রিয়া শেষ হলে যত দ্রুত সম্ভব বিস্তারিত জানানো হবে।