× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

বৈদেশিক মুদ্রা চুরি হওয়ার আগেই প্রতিরোধ করতে হবে: গভর্নর

প্রবা প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১১ মার্চ ২০২৪ ২১:৫০ পিএম

সিআইডির সদর দপ্তরে ‘স্মার্ট ইনভেস্টিগেশন মডেল ফর দ্য সিআইডি অফিসার্স’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর। প্রবা ফটো

সিআইডির সদর দপ্তরে ‘স্মার্ট ইনভেস্টিগেশন মডেল ফর দ্য সিআইডি অফিসার্স’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর। প্রবা ফটো

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার বলেছেন, অর্থপাচার রোধে আমরা যেসব কাজ করছি তা হলো এক্সপোজড (চুরি হয়ে যাওয়ার পরে), তাই আমি আমার কর্মকর্তাদের বলেছি এক্সপোজড কাজ করলে হবে না, আপনাকে এক্সটেন্ডে কাজ করতে হবে। যখন টাকাটা যায় তখন প্রতিরোধ করতে হবে। এখন আমরা ‘এআই প্রযুক্তি’ নিয়ে কাজ করছি। এটি সম্পন্ন হলে যখন টাকা যায় তখনই ধরতে পারব। রাত একটার সময় কেন একটা অ্যাকাউন্ট থেকে ২০০ অ্যাকাউন্টে টাকা যাবে। এটাতো সহজেই বোঝা যাচ্ছে মানিলন্ডারিং হচ্ছে। তাই যদি আমরা এ ধরণের একটি ‘এআই প্রযুক্তি’ উদ্ভাবন করতে পারি তাহলে অপরাধ সংঘটনের আগেই থামাতে পারব। সোমবার (১১মার্চ) পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সদর দপ্তরে আয়োজিত ‘স্মার্ট ইনভেস্টিগেশন মডেল ফর দ্য সিআইডি অফিসার্স’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে গভর্নর বলেন, সিআইডি অনলাইন গ্যাম্বলিং নিয়ে কাজ করছে, এটিতে আরও জোর দিতে হবে। কারণ এতে আমাদের যুব সমাজ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তারা পরিবারের কাছ থেকে জোর করে টাকা এনে অনলাইন প্রতারণার শিকার হচ্ছে। এতে অনেকেই সর্বশান্ত হচ্ছেন। এছাড়া ক্রিপ্টো কারেন্সি নিয়েও সিআইডিকে জোড়ালোভাবে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছেন আবদুর রউফ তালুকদার। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের আইনে কিপ্টো কারেন্সি নিষিদ্ধ। মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ করতে হলে কোনভাবেই ক্রিপ্টো কারেন্সি ট্রেডিং অ্যালাউ করা যাবে না। এই দুটি বিষয়ে সিআইডিকে বিশেষ জোর দিতে হবে।’

 গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার বলেন, আইনে মানিলন্ডারিংয়ের ২৯টি ধরণ চিহ্নিত করা আছে; এর মধ্যে ১৮টি নিয়ে সিআইডি সরাসরি কাজ করে। আরও ৬টিতে অন্য সংস্থার সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করে। তাই পাচার প্রতিরোধে সিআইডিকে কঠোর হতে হবে। বিশেষ করে বৈদেশিক মুদ্রা পাচার রোধে আরও কঠোর হতে হবে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক কঠোর আছে। অন্য সংস্থাগুলো যদি কঠোর হয়, আমরা যদি একসঙ্গে কাজ করতে পারি তাহলে চলমান ‘টেম্পোরারি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারব।  

শুধু ইম্পোর্টার নয়, যারা এক্সপোর্টার তারাও মানি লন্ডারিংয়ে জড়িত। এ জন্য অবৈধ অর্থ লেনদেন প্রতিরোধে সরকারি সব সংস্থাকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন,  দেশ থেকে অর্থপাচার ঠেকাতে আমরা হুন্ডির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে আছি। এ ধরনের অপরাধে যুক্ত হওয়ায় প্রতিদিনই প্রায় ২শ অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হচ্ছে।

মানি চেঞ্জারের বিরুদ্ধে পরিচালিত অভিযানের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে গভর্নর বলেন, দেশে বছরে মানি চেঞ্জারের মাধ্যমে লেনদেন হয় ৪৫ থেকে ৫০ মিলিয়ন। আর ব্যাংকিং চ্যানেলে হয় ২৭০ বিলিয়ন। কিন্তু ছোট একটি অংশের লেনদেন সত্ত্বেও মানি চেঞ্জাররা যখন ডলারের রেট ২ টাকা বাড়িয়ে দেন, তখন অনেক প্রবাসীই রেমিট্যান্সের অর্থ ধরে রাখার চেষ্টা করেন। এভাবেই ডলার সংকট তৈরি হয়। এ জন্য মানি চেঞ্জারের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান রয়েছে।

এ সময় সিআইডি প্রধান মো. আলী বলেন, মাদক, মানি লন্ডারিং মামলায় শুধু বাহক বা ব্যবহারকারী নয়, গডফাদারদের খোঁজা হচ্ছে। সে লক্ষ্যে তদন্ত কর্মকর্তাদের বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণ দিয়ে যোগ্য করে গড়ে তোলা হচ্ছে।

প্রশিক্ষণ কর্মশালায় একটি সেশন পরিচালনা করেন বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান মাসুদ বিশ্বাস। তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের জন্য বিএফআইইউ, বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারি সংস্থা ও বিচার বিভাগকে স্মার্ট হতে হবে। বর্তমানে আমরা ৭৫শতাংশ ক্যাশলেস লেনদেনের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি। বিষয়গুলো স্মার্টভাবে মোকাবিলা করতে না পারলে অপরাধ প্রতিরোধ সম্ভব হবে না।

তিনি বলেন, বর্তমানে ব্যাংকিং সেবা তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর হাতে চলে যাচ্ছে। এর সুবিধাও যেমন আছে, আবার অসুবিধাও আছে। এসব মোকাবিলায় সিআইডিকে দক্ষ হতে হবে। যেকোন প্রতিবেদন তৈরির ক্ষেত্রে সতর্কতার সঙ্গে স্মার্ট প্রতিবেদন তৈরি করতে হবে। স্মার্টভাবে আলামত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে তা স্মার্টভাবে বর্ণনা করতে হবে। অন্যথায় অপরাধীরা আইনের ফাঁক গলিয়ে বেড়িয়ে যাবে।

প্রশিক্ষক হিসেবে আরও বক্তৃতা করেন সিআইডির মানবসম্পদ উন্নয়ন বিভাগের ট্রেইনিং এডভাইজর ও প্রশিক্ষণ বিশেষজ্ঞ ড. খাঁন সরফরাজ আলী (এসোসিয়েট প্রফেসর)। সমাপনী বক্তব্য দেন অর্গানাইজড ক্রাইম বিভাগের ডিআইজি (অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) কুসুম দেওয়ান।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা