× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

বায়িং হাউস বাঁচাতে সরকারের নীতি সহায়তা দরকার

জোনায়েদ মানসুর

প্রকাশ : ০৯ মার্চ ২০২৪ ২২:২০ পিএম

কেএফএস ফ্যাশনের (বায়িং হাউস) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুল হামিদ পিন্টু।  প্রবা ফটো

কেএফএস ফ্যাশনের (বায়িং হাউস) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুল হামিদ পিন্টু। প্রবা ফটো

তৈরি পোশাক খাতের রপ্তানি আয় ৪৭ বিলিয়ন ডলার। এই রপ্তানি আয়ের কৃতিত্বের দাবিদার ছোট ও মাঝারি তৈরি পোশাক কারখানাগুলোও। তবে বায়িং হাউস বিদেশি ক্রেতার সঙ্গে দেশের তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারকদের মিলিত করে। রপ্তানিতে গুরুত্বপূর্ণ খাতটি বাঁচাতে নগদ সহায়তা, উৎসে আয়কর কমানোসহ সরকারের নীতি সহায়তা দরকার বলে সম্প্রতি প্রতিদিনের বাংলাদেশকে জানিয়েছেন কেএফএস ফ্যাশনের (বায়িং হাউস) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুল হামিদ পিন্টু। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন জোনায়েদ মানসুর

প্রবা : দেশের অর্থনীতিতে আপনাদের অবদান কেমন?

আব্দুল হামিদ পিন্টু : দেশের অর্থনীতিতে বাংলাদেশ গার্মেন্ট বায়িং হাউস অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিবিএ) সদস্যদের ভূমিকা কম নয়। তৈরি পোশাক খাতের রপ্তানি আয় যে ৪৭ বিলিয়ন ডলারের বলা হচ্ছে, এই রপ্তানি আয়ের কৃতিত্বের দাবিদার বিজিএমইএর বাইরে থাকা ওই সব ছোট ছোট কারখানাও। এ বিষয়টি অনেক কর্তাব্যক্তিই মাথায় রাখতে চান না। বায়িং হাউস বিদেশি ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে দেশের তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারকদের মিলিত করে। নিশ্চিত করে রপ্তানি আদেশ। তাই দেশের পোশাক শিল্পে বায়িং হাউসের অবদানও কম নয়। তৈরি পোশাক খাতে যা রপ্তানি হয়, তার অর্ধেক অবদান বায়িং হাউস দাবি রাখে। দেশের রপ্তানি করা পোশাক শিল্পের প্রায় শতকরা ৫০ ভাগ কার্যাদেশ বা অর্ডার সংগৃহীত ও বাস্তবায়ন হয় এসব বায়িং হাউসের মাধ্যমে। বায়িং হাউসে কর্মরত মার্চেন্ডাইজার, কোয়ালিটি কন্ট্রোল ম্যানেজারসহ প্রায় চার লাখ লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে।


প্রবা : বিজিবিএ ও বিজিএমইএ পার্থক্য কী?

আব্দুল হামিদ পিন্টু : তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ আর বাংলাদেশ গার্মেন্ট বায়িং হাউস অ্যাসোসিয়েশন (বিজিবিএ)। নামেই বোঝা যাচ্ছে দুটি সংগঠনের কাজের ধরন একটু আলাদা। তবে একে অপরের সঙ্গে আন্তঃসম্পর্ক রয়েছে। বিজিএমইএ পণ্য তৈরি পোশাকের রপ্তানি আদেশ পাওয়ার ব্যবস্থা করি আমরা। 


প্রবা : বায়িং হাউস পোশাক খাতে কী ধরনের কাজ করে থাকে?

আব্দুল হামিদ পিন্টু : সাধারণত বায়িং হাউস বিদেশি ক্রেতা বা বায়ারদের কাছ থেকে অর্ডার নিয়ে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের কাছে দেয়। দুই পক্ষের যোগসূত্র করিয়ে দিয়ে রপ্তানি আদেশ নিশ্চিত করে। দেশের সব পোশাক কারখানা তো আর বিজিএমইএর সদস্য নয়। ২০ লাইন বা ২৫ লাইন কিংবা এর চেয়ে কম লাইনের কারখানাগুলো প্রধানত বায়িং হাউসগুলোর ওপর নির্ভর করে। তাদের উৎপাদিত তৈরি পোশাক বিদেশের বাজারে রপ্তানি করতে প্রধানত বায়িং হাউস ছাড়া উপায় নেই। মোটকথা বায়িং হাউস তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারককে বায়ারের সন্ধান দেয়। রপ্তানি আদেশের সন্ধান দেয়। বায়িং হাউস বিপণনের (মার্কেটিং) কাজটিই করে থাকে। এমন অনেক কারখানাকে টিকিয়ে রেখেছে বায়িং হাউস। এই বিপণনের কাজটি প্রস্তুতকারকরাও করতে পারেন এবং করছেনও। 


প্রবা : কিছু অভিযোগ প্রায়শই শোনা যায়। শিপমেন্টে সমস্যা, পেমেন্ট আটকে যাওয়ার বিষয়ে আপনার অভিমত কী?

আব্দুল হামিদ পিন্টু : মূল জিনিস হচ্ছে অর্ডার। সেটা মিস বা ক্যান্সেল হলে কারও জন্যই ফলপ্রসু নয়। বায়িং হাউস এবং ফ্যাক্টরির মধ্যে দায়িত্বের কিছু টানাপড়েন ঘটে, যা অনাকাঙ্ক্ষিত। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পাশাপাশি সামাজিক-রাজনৈতিক অনেক কিছুই ঘটে, যা অনভিপ্রেত। পাশাপাশি শ্রমিক সংকট, র-ম্যাটেরিয়ালের সংকটসহ বিভিন্ন কারণে সমস্যা দেখা দেয়। কিন্তু যত যাই ঘটুক, মনে রাখতে হবে এক্সপোর্ট করছে কিন্তু ফ্যাক্টরি। বায়িং হাউস এককভাবে কোনো নির্দিষ্ট সমস্যার জন্য দায়ী নয়। শিপমেন্টের দেরি হলে সেটা সবার জন্যই সমস্যা।


প্রবা : বিজিবিএ কবে প্রতিষ্ঠিত ও বর্তমানে এর সদস্য সংখ্যা কেমন? 

আব্দুল হামিদ পিন্টু : বাংলাদেশ গার্মেন্ট বায়িং হাউস অ্যাসোসিয়েশন ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ঠিক ওই বছরই বিজিএমইএ তাদের বার্ষিক সাধারণ সভায় গার্মেন্ট বায়িং হাউসকে তাদের সদস্য করে নেওয়ার একটি প্রক্রিয়া শুরু করে। তবে নানা জটিলতার কারণে বিজিবিএ সরকারি লাইসেন্স পায় ২০০৬ সালে। অ্যাসোসিয়েশনের বর্তমান সদস্য রয়েছে প্রায় ১ হাজার ৬০০ জন। 


প্রবা : আগামী বাজেটে আপনাদের প্রত্যাশা কী?

আব্দুল হামিদ পিন্টু : দেশের রপ্তানি আয়ের ৮৪ শতাংশই আসে তৈরি পোশাক খাত থেকে। প্রায় ৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকার এ পোশাক রপ্তানিতে বড় ভূমিকা রাখছে বায়িং হাউসগুলো। গার্মেন্ট বায়িং হাউস শুল্কমুক্ত কাঁচামাল আমদানি করার সুবিধা (ইউডি) পায় না। তারপরও টিকে থাকতে হচ্ছে। সহায়তা করছি তৈরি পোশাক রপ্তানিতে। অবদান রাখছি দেশের পোশাক খাতের সম্প্রসারণে। আমরা বিদেশি ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে দেশের পোশাক প্রস্তুতকারকদের যোগসূত্র স্থাপন করি। দেশের গুরুত্বপূর্ণ খাতটি বাঁচাতে নগদ সহায়তা, উৎসে আয়কর কমানোসহ সরকারের নীতি সহায়তা দরকার। বাজেটে বায়িং হাউসগুলোর অগ্রিম আয়কর ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা এবং নতুন বায়িং হাউসকে তিন বছরের জন্য কর রেয়াতের সুবিধা দাবি করছি।


শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা