রাজশাহী অফিস
প্রকাশ : ০৫ মার্চ ২০২৪ ২১:২৪ পিএম
আপডেট : ০৫ মার্চ ২০২৪ ২১:৩২ পিএম
সুলতানগঞ্জ-মায়া নৌরুটে আমদানি পণ্য বোঝাই বলগেট (জলযান) দীর্ঘ ১৮ দিন নদীতে আটকে থাকার পর ঘাটে পৌছেছে। প্রবা ফটো
নতুন চালু হওয়া সুলতানগঞ্জ-মায়া নৌরুটে আমদানি পণ্য বোঝাই বলগেট (জলযান) দীর্ঘ ১৮ দিন নদীতে আটকে থাকার পর ঘাটে পৌছেছে। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) ১৮৩ টন পাথর সহ বলগেটটি রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার সুলতানগঞ্জ নৌবন্দরে এসে পৌছায়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আমদানিকারক মো. মনিরুজ্জামান।
এর আগে গত ১২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের সুলতানগঞ্জের নৌবন্দর থেকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মায়া বন্দরে পণ্য আমদানি ও রপ্তানির উদ্বোধন করা হয়। এর ৪ দিনের মাথায় নাব্যতা সংকটের কারণে ১৮৩ টন চিপ্স পাথর সহ বলগেট রাজশাহীর গোদাগাড়ীর সুলতানগঞ্জ ঘাট থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে বাংলাদেশের অংশের পদ্মার চরে আটকা পড়ে।
এর পর ২০ ফেব্রুয়ারি কাস্টমস অফিসে সহযোগীতা চেয়ে আবেদন করেন আমদানিকারক। আবেদনের প্রেক্ষিতে ৫ মার্চ সকালে কাস্টমস কর্মকর্তা সহ আরেকটি বলগেট গিয়ে আটকে পড়া বলগেটের ২০ টন পাথর সরিয়ে তা হালকা করা হয়। এর পর দুইটি বলগেটে করে বিকেলে আমদানি করা পাথর সুলতানগঞ্জ ঘাটে পৌছায়।
আমদানিকারক মো. মনিরুজ্জামান জানান, ১৮৩ টন চিপস পাথর আমদানি করতে ডিউটি ফি সহ অন্যান্য খরচ বাবদ ব্যয় হয় ৮ লাখ টাকা। তবে গত ১৮ দিন নদীতে আমদানি পণ্য সহ বলগেট আটকে থাকায় তার আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ দাড়িয়েছে ৪ লাক্ষাধিক টাকা।
ক্ষতির হিসাব তুলে ধরে তিনি জানান, প্রতিদিন আটকে পড়া বলগেটের ভাড়া দিতে হয়েছে ২০ হাজার টাকা। এছাড়া আরেকে পড়া বলগেটের মাল খালাশকরতে আরেকটি বলগেট ভাড়া এবং লেবার কস্ট মিলিয়ে খরচ হয়েছে আরও ৫০ হাজার টাকার মতো।
বিআইডব্লিউটিএ-এর ক্রয় ও সংরক্ষণ বিভাগের পরিচালক মু. রফিকুল ইসলাম প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, এই নৌ রুটের একটি অংশে সামান্য নাব্য তথা পলিমাটিজনিত সমস্যা রয়েছে। আমাদের নির্দেশনা ছিল যাতে নৌযানে সাড়ে পাঁচ ফিট (ড্রাফট) গভীরতা নিয়ে মালামাল পরিবহন করা হয়। আমদানিকারক ওই নির্দেশনা অমান্য করেছিলেন। সকল নিয়মমেনে তিনি আরেকটি জলযান নিয়ে গিয়ে আটকে পড়া ওই জলজানটি থেকে কিছু পণ্য খালাশ করে। ৫ মার্চ বিকেলে উভয় জলযানে পরে তার আমদানি করা পণ্য সুলতানগঞ্জ ঘারে নিয়ে আনা হয়। ৬ মার্চ কাস্টমসের নিয়ম কানুন মেনে তিনি পণ্য আনলোড করতে পারবেন।