চট্টগ্রাম অফিস
প্রকাশ : ০৩ মার্চ ২০২৪ ২২:০৫ পিএম
আপডেট : ০৩ মার্চ ২০২৪ ২২:১১ পিএম
প্রাইম ব্যাংক ৫০ কোটি টাকার সুদ মওকুফ করায় এর প্রধান নিবার্হীকে ব্যাখ্যা দিতে আদেশ দিয়েছেন আদালত। রবিবার (৩ মার্চ) চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের মেসার্স জালাল অ্যান্ড সন্সের মালিক মো. আবুল বাশারের বিরুদ্ধে প্রাইম ব্যাংকের দায়ের করা ঋণ মামলায় আদেশের রায় পর্যালোচনার সময় চট্টগ্রাম অর্থঋণ আদালতের বিচারক এ আদেশ দেন। আদালতের বেঞ্চ সহকারী রেজাউল করিম শাহেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বেঞ্চ সহকারী বলেন, একই আদেশে সুদ মওকুফের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারের কোনো ব্যতয় ঘটেছে কিনা তা দুই জন যুগ্ম পরিচালক সমন্বয়ে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের চট্টগ্রাম কার্যালয়ের নির্বাহী পরিচালককেও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
ঋণ নিয়ে পরিশোধ না করায় ২০১৬ সালে মেসার্স জালাল অ্যান্ড সন্সের মালিক মো. আবুল বাশার, তার স্ত্রী নাসরিন পারভিন ও ভাই মো. নুর উদ্দিনের বিরুদ্ধে ৭৩ কোটি ৬৮ লাখ টাকা খেলাপি ঋণ আদায়ে আদালতে মামলা করে প্রাইম ব্যাংক। মামলার নথি থেকে জানা যায়, প্রতিষ্ঠানটি ২০১৪ সালে দুই খাতে ৮ কোটি ও ৫০ কোটি টাকা ঋণ নেয়। বার্ষিক ১৬ শতাংশ সুদে চিনি, গমসহ ভোগ্যপণ্য ব্যবসায়ের জন্য এই ঋণ মঞ্জুর করে প্রাইম ব্যাংক। ঋণ নেওয়ার পর প্রতিষ্ঠানটি গত ১০ বছরে কোনো টাকা পরিশোধ করেনি। ওই ঋণ বর্তমানে সুদে-আসলে ১০৭ কোটি ১৪ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছে।
বেঞ্চ সহকারী বলেন, ওই মামলায় সম্প্রতি ৪৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা সুদ মওকুফ করে ৫৮ কোটি টাকা আদায়যোগ্য দায় নির্ধারণ করে চলতি বছরের ১৯ অক্টোবর থেকে ২০৩৩ সালের ১৯ অক্টোবরের মধ্যে ১৯ কিস্তিতে পরিশোধের সুযোগ দেয় ব্যাংক।
রবিবার সে বিষয়ে আদেশের দিন ছিল। সোলেনামা পর্যালোচনায় আদালত একজন ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপির যাবতীয় সুদ মওকুফের নায্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এ অবস্থায় আগামী ১৮ মার্চ জালাল অ্যান্ড সন্সের মালিক মো. আবুল বাশারের যাবতীয় সুদ মওকুফ করার ন্যায্যতা বিষয়ে ব্যাখ্যা দাখিল করার জন্য প্রাইম ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।