× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

ইলিশের দাম কমেছে,মশলার বাজার চড়া

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ৩১ জুলাই ২০২২ ১৯:১৭ পিএম

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

সরবরাহ ভাল থাকায় চড়া দামের রেশ কেটেছে ইলিশের বাজারে। সপ্তাহ ব্যবধানে প্রতি কেজি ইলিশ ১৫০ থেকে ২০০ টাকা কমে মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকায়। এছাড়াও অন্যান্য মাছ- রুই ৩০০ থেকে ৩৫০টাকা, শিং ২৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, পাবদা ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, কই ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। রোববার রাজধানীর কারওয়ান বাজার ও মোহাম্মদপুর টাউনহল কাঁচাবাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।

বাজারে গাজর ও টমেটো বাদে এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় প্রতিটি সবজির দর কেজিতে কমেছে ৫ থেকে ৮ টাকা। ঢেঁড়শ ৩০ টাকা, বেগুন ৪০ থেকে ৫০ টাকা পেঁপে ৩০ টাকা, কচুরমুখী ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও ছোট আকারের বাঁধাকপি ও ফুল কপি প্রতি পিচ বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা দরে। একইসঙ্গে লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। তবে দামের ঝাঁঝ কমতে শুরু করেছে কাঁচা মরিচের। গেল সপ্তাহে বিক্রি হওয়া ২০০ টাকা কেজি দরের কাঁচা মরিচ এখন বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকায়। আর প্রতি হালি লেবু বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা দরে। 

এছাড়াও পুইশাক ২০টাকা আটি ও লাউ শাকের আটি বিক্রি হচ্ছে ৩০টাকা দরে। কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা মফিজুল ইসলাম বলেন, সবজির সরবরাহ বাজারে বেশ রয়েছে, সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলে দাম আরো কমে আসবে।  আলু, পেঁয়াজ ও আদার দাম অপরিবর্তীত থাকলেও কিছুটা বেড়েছে চায়না রসুনের দাম। মসলা জাতীয় পণ্যটি এখন  ১১০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে, যা তার আগের সপ্তাহে ছিলো ১০০ টাকা।

এদিকে ডলারের দাম বৃদ্ধির অযুহাতে দাম বেড়েই চলেছে বিভিন্ন প্রকার মসলার দাম। গত সপ্তাহে জিরা ৪০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও আজকের বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ৪৬০ টাকা দরে। প্রতি কেজি এলাচ  বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা  বেশিতে। এতে এক কেজি এলাচ কিনতে ক্রেতাদের গুণতে হচ্ছে সর্বোনিম্ম ১৩৫০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২৪০০ টাকা। দারুচিনিতে বেড়েছে ২০ টাকা। প্রতি কেজি দারুচিনি বিক্রি হচ্ছে ৪৪০ টাকা কেজি দরে। 

একইসঙ্গে দাম বাড়ার তালিকায় আছে কাঠবাদাম। প্রতি কেজি কাঠবাদাম ৩০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকায়। দাম বাড়ার বিষয়ে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, আমদানি খরচ বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে মসলার বাজারে। যার বড় অংশ জুড়ে রয়েছে ডলারের উচ্চমূল্য।

দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির রেশের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি দিচ্ছে সবজির বাজার। তবে দাম বেড়েই চলেছে প্রসাধানী দ্রব্য সাবান, কাপড় ধোঁয়ার পাওডার, হ্যান্ডওয়াশ ও হারপিকের। সপ্তাহ ব্যবধানে এসব প্রসাধনী পণ্যের দাম বেড়েছে ২০ থেকে ৩০ টাকা। গরুর মাংস ও ডিমের দাম অপরিবর্তীত থাকলেও বেড়েছে মুরগির দাম। কারওয়ানবাজার ও মোহাম্মদপুর টাউনহল কাঁচাবাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার ও সোনালী মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ এবং ২৮০ টাকা  দরে। যা গত সপ্তাহে ছিল ১৫০ ও ২৬০টাকা।

ঈদের পর কেজিতে ১ থেকে ২ টাকা বেড়েছে বিভিন্ন প্রকার চালের দাম। মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা, আটাশ ৫২ থেকে ৫৪ টাকা, কাটারি আতব ৭৪ থেকে ৭৮ টাকা, বাসমতি ৮৪ থেকে ৮৬ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। তবে স্থিতিশীল রয়েছে মসুর ডাল ও ভোজ্যতেল সয়াবিনের বাজার।

বাজার দরের বিষয়ে দিনমজুর আরিফ মিয়া বলেন, কয়েকটা মাস কম পরিমান বাজার করে, কম খাইয়া দিন কাটাইতাছি, বাজারে আইয়া যে জিনিসেই হাত দেই ঐটার দামই বেশি। এই আয় দিয়া আর চলোন যায় না।


শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা