প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৯:৪২ পিএম
আপডেট : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৯:৫৮ পিএম
অফশোর ব্যাংকিং আইন-২০২৪-এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন।
তিনি বলেন, ‘এই আইনের মাধ্যমে প্রবাসী ব্যক্তি বা বাইরের কোনো প্রতিষ্ঠান যারা এখানে ইনভেস্ট করবে তারা অফশোর অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবে। অফশোর ব্যাংকিং করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে লাইসেন্স নিতে হবে। আর যারা এই লাইসেন্স পেয়েছে তাদের নতুন করে আর লাইসেন্স নিতে হবে না। ডলার, পাউন্ড, ইউরো, জাপানি ইয়েন ও চাইনিজ ইয়ান- এই পাঁচটি মুদ্রায় ব্যাংকিং কার্যক্রম গ্রহণ করা যাবে।’
তিনি জানান, ঋণসীমা বেঁধে দেওয়া হয়নি। যেকোনো পরিমাণ ঋণ নিতে পারবে। সমসাময়িক আন্তর্জাতিক অর্থব্যবস্থার সঙ্গে সংগতি রেখে অফশোর ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
মাহবুব হোসেন বলেন, ‘১৯৮৫ সালে এটি বাংলাদেশে প্রথম ইপিজেডে শুরু হয়, সেখানে কিন্তু কারেন্ট অ্যাকাউন্টের মতো কোনো ইন্টারেস্ট দেওয়া হয় না। এখন অফশোর ব্যাংকিংয়ে ইন্টারেস্ট দেওয়া হবে।’
‘বিদেশিরা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাংকিং ব্যবস্থায় যখন টাকা জমা রাখে, তখন কিন্তু টাকা নিয়ে যেতে পারমিশন নিতে হয়। অফশোর হলে স্বাধীনভাবে এটা অপারেট করা যাবে। এখানে ব্যবসা করে যারা লাভবান হবে, তারা এখানে টাকা রাখতে আগ্রহী হবে বলে আমরা আশা করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘শুধু রিজার্ভ বাড়াতেই এটি করা হচ্ছে না। অর্থনৈতিকভাবে আমরা লাভবান হব, সেজন্য আমরা এটি করছি। তবে ব্যাংক কাকে লোন দেবে সেটি ব্যাংকের বিষয়। এসব অ্যাকাউন্টে যে লেনদেন হবে সেই সুদের ওপর কোনো শুল্ক আরোপ করা হবে না। ইকোনমির দিকে তাকিয়ে এটি চালু করা হচ্ছে। সরকার মনে করেছে এই পদ্ধতি অনুসরণ করে অনেক দেশ সুফল পেয়েছে।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘ওই অ্যাকাউন্টে কেউ টাকা রাখলে কোথা থেকে টাকা এসেছে তা কেউ জিজ্ঞাসা করবে না। ওই টাকার ওপর যে সুদ পাবে তা নিয়ে যেতে পারবে। যিনি ইনভেস্ট করবেন বা যে প্রতিষ্ঠান ইনভেস্ট করবে, হয় সে বিদেশে থাকে নয়তো বিদেশি। সেভিং অ্যাকাউন্ট যেভাবে পরিচালনা করে সেভাবেই এই অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করা যাবে। ওই অ্যাকাউন্টে শুধু বৈদেশিক মুদ্রা জমা দেওয়া যাবে।’
সন্দেহজনক লেনদেন বা জঙ্গি অর্থায়ন সহজ হবে কি না, এ প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘ওই অ্যাকাউন্ট থেকে বিদেশি মুদ্রাই তুলতে হবে, টাকা তোলা যাবে না।’