প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২১:৩৮ পিএম
আপডেট : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২১:৪১ পিএম
এফবিসিসিআইয়ের কাস্টমস ও ভ্যাট বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির এক সভা। প্রবা ফটো
দেশে ব্যবসা পরিচালনার ব্যয় কমানো, ব্যবসার পরিবেশ সহজীকরণ, প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বৃদ্ধি, ব্যবসায়ীদের অহেতুক হয়রানি বন্ধ করাসহ আইনের স্বেচ্ছাচারীতা কমাতে কাস্টমস এবং ভ্যাট কাঠামোয় প্রয়োজনীয় সংস্কার আনার আহ্বান জানিয়েছেন ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ব্যবসায়ীদের শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) কাস্টমস ও ভ্যাট বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির এক সভায় এই আহ্বান জানানো হয়।
ব্যবসায়ীরা জানান, শিল্পের জন্য কাঁচামাল কিংবা যন্ত্রপাতি আমদানির ক্ষেত্রে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ, অযৌক্তিক জরিমানা, এইচএস কোড সংক্রান্ত জটিলতা এবং মিথ্যা ঘোষণার নামে নানাবিধ হয়রানির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এসব বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বহুবার আলোচনার পরও সুফল মিলছে না। যা ‘ইজ অব ডয়িং বিজনেস’ বাস্তবায়নে অন্তরায় বলে মনে করেন তারা।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মাহবুবুল আলম। তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের জন্য ভ্যাট, আয়কর এবং কাস্টমস খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এসব বিষয়ে ব্যবসায়ী মহলকে প্রতি মুহূর্তে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। পণ্যের এইচএস কোড ইস্যুতে রাজস্ব কর্তৃপক্ষের সাথে একাধিকবার আলোচনা হলেও ফলাফল মিলছে না। আমরা সরকারকে অগ্রিম আয়কর দিচ্ছি, কিন্তু সেটি আর রিফান্ড হচ্ছে না। এসব বিষয় ব্যবসা-বাণিজ্যকে বাধাগ্রস্ত করছে, ব্যবসায়ীদের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করছে।
ব্যবসায়ীরা ভ্যাট-ট্যাক্স প্রদানের বিপক্ষে নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা ভ্যাট-ট্যাক্স দিতে চাই। তবে সেটি যেন অযৌক্তিক না হয়। এ সময় কাস্টমস এবং ভ্যাট কাঠামো সহজীকরণ বিষয়ে ব্যবসায়ীদের যৌক্তিক ও সুনির্দিষ্ট পরামর্শ চান এফবিসিসিআই সভাপতি।
এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালীর মতে, ব্যবসা বান্ধব কাস্টমস, ভ্যাট এবং কর কাঠামো বাস্তবায়ন করা গেলে সরকারের রাজস্ব আহরণ উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাবে। গত ১৫ বছরে দেশের অর্থনীতির আকার কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু রাজস্ব প্রশাসন পূর্বের মতই রয়ে গেছে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন কমিটির ডিরেক্টর ইন-চার্জ এবং এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক ড. মুনাল মাহবুব, কমিটির চেয়ারম্যান এ.কে.এম আক্তার হোসেন, এফবিসিসিআইয়ের সহ-সভাপতি মো. মুনির হোসেন, পরিচালকবৃন্দ, কমিটির কো-চেয়ারম্যানবৃন্দ, সদস্যবৃন্দ ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ।