× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

ভারত থেকে ছোলা আমদানি হলে বাজার নিয়ন্ত্রণ থাকবে

এসএম রানা ও হুমায়ুন মাসুদ

প্রকাশ : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২১:১৭ পিএম

বিএসএম গ্রুপের চেয়ারম্যান আবুল বশর চৌধুরী। প্রবা ফটো

বিএসএম গ্রুপের চেয়ারম্যান আবুল বশর চৌধুরী। প্রবা ফটো

ভোগ্যপণ্যের অন্যতম পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের যে কয়েকজন আমদানিকারক ছোলা, মটর, মসুর ডাল আমদানি করেন, তাদের মধ্যে শীর্ষস্থানীয় আমদানিকারক বিএসএম গ্রুপের চেয়ারম্যান আবুল বশর চৌধুরী। দেশে বার্ষিক চাহিদার প্রায় এক-চতুর্থাংশ ছোলা আমদানি হয় অভিজ্ঞ এই আমদানিকারকের হাত ধরে। আসন্ন রমজানে ছোলা, মটর ও মসুর ডালের বাজার কেমন থাকবে, তা নিয়ে নিজ কার্যালয়ে বসে খোলামেলা আলাপ করেছেন প্রতিদিনের বাংলাদেশের সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন এসএম রানা ও হুমায়ুন মাসুদ 

প্রবা : রমজান মাসকে সামনে রেখে বাজারে ছোলার দাম বাড়ছে। অথচ কিছু দিন আগেও ছোলার দাম ছিল নিম্নমুখী। তাহলে এখন ছোলার দাম বাড়ছে কেন?

আবুল বশর চৌধুরী : ছোলার দাম ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার কারণ হলোÑ এবার তুলনামূলক কম আমদানি হয়েছে। প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে গতবার অনেক ছোলা আমদানি হয়েছিল। তখন যারা ছোলা আমদানি করেছিলেন, তারা লোকসানে পড়েছিলেন। এবার ডলার সংকটের কারণে ছোলা আমদানির জন্য ঋণপত্র কম খোলা হয়েছে। ছোলা আমদানি খরচও বেড়েছে, এলসি মার্জিন বেশি হওয়ার কারণে আগে যিনি ৩০ হাজার মেট্রিক টন ছোলা আমদানি করেছিলেন, এ বছর তিনি একই পুঁজি বিনিয়োগ করে অন্তত ১৫ থেকে ২০ শতাংশ ছোলা কম আমদানি করতে হচ্ছে। তাই এবার ছোলা আমদানি কিছুটা কম হয়েছে। রমজানের আগে ভারত থেকে যদি ছোলা আমদানি না বাড়ে, তাহলে বাজারে ছোলার কিছুটা সরবরাহ সংকট তৈরি হবে। আশার কথা হচ্ছে, ইতোমধ্যেই ভারত থেকে ছোলাসহ কয়েক পদের ভোগ্যপণ্য আমদানি করতে সরকার ইতিবাচকভাবে কাজ করছে। সরকারি উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে ছোলার দাম স্থিতিশীল থাকতে পারে। 


প্রবা : ছোলার দাম বৃদ্ধির কারণে ভোক্তারা তুলনামূলক কম দামে মটরের দিকে ঝুঁকছেন বলে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। এখন সেই মটরের দামও কেন বাড়তির দিকে? 

আবুল বশর চৌধুরী : ছোলার দাম বাড়ছে, তাই মটরের বাজার ঊর্ধ্বমুখীÑ বিষয়টা এমন নয়। গত কয়েক বছরের তুলনায় এখন বাজারে মটরের চাহিদা একটু বেড়েছে। বিপরীতে এবার ডলার সংকটসহ নানা কারণে চাহিদার অর্ধেক মটরও আমদানি হয়নি। তাই বাজারে মটরের কিছুটা সরবরাহ সংকট আছে। এ কারণেই এখন বাজারে মটরের দামও কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী। রমজানেও মটরের বাজার বর্তমান বাজারদরের মতোই থাকতে পারে। 


প্রবা : ছোলা, মটরসহ ডালজাতীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখতে সরকারের কী ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত?

আবুল বশর চৌধুরী : যেকোনো পণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখতে হলে প্রথমে নিশ্চিত হতে হবে দেশে ওই পণ্যের চাহিদার পরিমাণ কত। এর মধ্যে দেশে কী পরিমাণ উৎপাদন হয়, তা নিশ্চিত হতে হবে। তারপর বাকি যে পরিমাণ আমদানি করতে হবে, ব্যবসায়ীরা যাতে ওই পরিমাণ পণ্য আমদানি করতে পারেন, সরকারকে সেই সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। কারণ ব্যবসায়ীরা যদি আমদানি করতে না পারেন, তাহলে বাজারে ওই পণ্যের সরবরাহ সংকট তৈরি হবে। চাহিদার বিপরীতে যদি সরবরাহ কম থাকে, তাহলে কোনোভাবেই বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে না। ধরুন, বাজারে ১ লাখ ৮০ হাজার মেট্রিক টন ছোলার চাহিদা আছে, এই চাহিদার বিপরীতে যদি ৪০ থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন ছোলা আমদানি হয়। তাহলে বাজার স্থিতিশীল কীভাবে রাখবেন? তাই পণ্যের সরবরাহ লাইন স্বাভাবিক রাখতে হবে। ব্যবসায়ীরা স্বাধীনভাবে ব্যবসা পরিচালনা করেন। তারা যদি পণ্য আমদানি কমিয়ে দেন, তাহলে ওই ঘাটতি কীভাবে পূরণ করা হবে, সেই পরিকল্পনা থাকতে হবে। তাই ব্যবসায়ীরা যাতে পণ্য আমদানি নিরবচ্ছিন্ন রাখতে পারেন, সেই ব্যবস্থা সরকারকেই নিশ্চিত করতে হবে। 


প্রবা : সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মজুদদারি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, ‘মজুদ করলে তাদের গণধোলাই দেওয়া উচিত।’ পণ্যের মজুদদারি নিয়ে বলুন।

আবুল বশর চৌধুরী : বাজার ব্যবস্থা ঠিক রাখতে হলে পণ্য মজুদ রাখতে হবে। ধরুন, যুদ্ধের কারণে ব্যবসায়ীরা তিন মাস চিনি আমদানি করতে পারবে না। কিন্তু এই তিন মাস তো ভোক্তারা চিনি না খেয়ে থাকবে না। মজুদ না থাকলে এই তিন মাসের চিনির চাহিদা কীভাবে পূরণ হবে? তাই মজুদ রাখাকে ঢালাওভাবে আমি খারাপ বলব না। কিন্তু বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরির জন্য কেউ যদি পণ্য মজুদ করে, তাহলে সেটা ক্ষতিকর এবং অসাধু ব্যবসায়ীর লক্ষণ। তাই আমরা সব সময় এই মজুদের বিপক্ষে। ১৫ ফেব্রুয়ারি বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন, তখনও আমরা ব্যবসায়ীদের পক্ষে বলেছিÑ যারা পণ্যের অবৈধ মজুদ করে বাজার অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। অবৈধ মজুদের কারণে কেবল যে বাজার অস্থিতিশীল হয়, তা নয়, একই কারণে ব্যবসায়ীরাও লোকসানে পড়েন। প্রধানমন্ত্রীও অবৈধ মজুদদারিদের বিরুদ্ধেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।


শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা