× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

পোশাকের ৫ পণ্যের প্রণোদনা পুনর্বহাল

প্রবা প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১২:৫৪ পিএম

আপডেট : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৩:০০ পিএম

পোশাক কারখানা। ফাইল ফটো

পোশাক কারখানা। ফাইল ফটো

পোশাক রপ্তানিকারকদের আপত্তির মুখে ভর্তুকি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তে পরিবর্তন এনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ধাপে ধাপে ভর্তুকি প্রত্যাহারের যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল সেটি বহাল থাকলেও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সময়সীমা তথা রোডম্যাপেও পরিবর্তন এসেছে। এতে নিট কাপড়ের টি-শার্ট, শার্ট, ট্রাউজার, ওভেন কাপড়ের জ্যাকেট ও ব্লেজার পোশাক খাতের এই পাঁচটি পণ্য ভর্তুকি ফিরে পেয়েছে। বাকি পণ্যেরর ক্ষেত্রে সময় বেড়েছে এক মাস। 

এর আগে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে তৈরি পোশাক ও চামড়াসহ ৪৩ খাতের রপ্তানি পণ্যে প্রণোদনা কমানোর সিদ্ধান্ত হয়। এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সরকারের এমন সিদ্ধান্তকে অর্থনীতিবিদরা সাধুবাদ জানালেও আপত্তি তোলে ব্যবসায়ীরা। রপ্তানিকারকদের দাবির মুখে অবশেষে কিছুটা পরিবর্তন  করে ফের প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

আগের সিদ্ধান্তের ১২ দিন পর সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) প্রণোদনা কমানোর সিদ্ধান্ত কার্যকরের সময় এক মাস বাড়িয়ে জানুয়ারির বদলে ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকরের সিদ্ধান্ত জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ। এতে সবপণ্যই রপ্তানির বিপরীতে আরও এক মাস আগের হারেই নগদ সহায়তা পাবে।

এ ছাড়া পোশাক খাতের পাঁচটি পণ্যের রপ্তানির বিপরীতে প্রণোদনা আগামী জুন পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে বলে সার্কুলারে বলা হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, পুরুষদের শার্ট (এইচএস কোড ৬১০৫), পুরুষদের অর্ন্তবাস ও রাতে ব্যবহৃত শার্ট, পাজামা, গোসলের আগে ও পরে ব্যবহৃত পোশাক (এইচএস কোড ৬১০৭), টি-শার্ট, শরীর চর্চার জন্য আটসাঁটো জাতীয় পোশাক (এইচএস কোড ৬১০৯), জার্সি, কার্ডিগান, ওয়েস্ট কোটস জাতীয় পোশাক (এইচএস কোড ৬১১০), পুরুষদের জ্যাকেট, স্যুট, ব্লেজার, ট্রাউজারস, শিশুদের গলাবন্ধনী, ব্রেসওয়ারঅলস, ব্রিচেস অ্যান্ড শর্টস (সাঁতারের পোশাক বাদে) জাতীয় পোশাকে (এইচএসব কোড ৬২০৩) রপ্তানি প্রণোদনা ও নগদ সহায়তা অব্যাহত থাকবে।

গত ৩০ জানুয়ারি এ কয়টি খাতের পোশাকের ওপর রপ্তানির বিপরীতে প্রণোদনা ও নগদ সহায়তা তুলে নিয়েছিল সরকার।

এরপর পোশাক খাতের রপ্তানিকারকরা এ প্রণোদনা তুলে দেওয়া নিয়ে আপত্তি তোলেন। তারা এতে পোশাক খাত চাপে পড়বে বলে দাবি করেন। এ নিয়ে সরকার প্রধানসহ নীতি নির্ধারকদের সঙ্গেও দেখা করেন এ খাতের ব্যবসায়ী নেতারা।

সরকার গত অগাস্টে চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য প্রণোদনার হার নির্ধারণ করে দিয়েছিল। পরে ৩০ জানুয়ারি সার্কুলারের মাধ্যমে কিছু খাতে প্রণোদনা তুলে দিয়ে রপ্তানির বিপরীতে নগদ সহায়তার পরিমাণ কমানো হয়। অর্থবছরের বাকি সময়ের জন্য প্রণোদনার নতুন হারের তালিকাও সেদিন প্রকাশ করা হয়।

সেই তালিকা অনুযায়ী, শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ থেকে স‌র্বোচ্চ ১৫ শতাংশ প্রণোদনা পাবেন রপ্তানিকারকরা, আগে যা ছিল ১ শতাংশ থেকে স‌র্বোচ্চ ২০ শতাংশ।

সেদিন সার্কুলারে প্রণোদনা কমানোর কারণ হিসেবে বলা হয়েছিল, আগামী ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বাংলাদেশের উত্তরণ ঘটতে যাচ্ছে। একই সঙ্গে রপ্তানি প্রণোদনা/নগদ সহায়তা একবারে তুলে নিলে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে রপ্তানি বাণিজ্য। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে নগদ সহায়তার হার অল্প অল্প করে হ্রাস করতে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

এতে বলা হয়, দেশের রপ্তানি বাণিজ্যকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে সরকার চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৪৩টি খাতে রপ্তানির বিপরীতে রপ্তানি প্রণোদনা/নগদ সহায়তা প্রদান করছে। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশন-ডব্লিউটিও) বিধিবিধান অনুসারে বিষয়টি রপ্তানিনির্ভর সাবসিডি হিসেবে বিবেচিত হয়।

এলডিসি থেকে বেরিয়ে এলে এ ভুর্তকি তুলে নিতে হবে; গ্র্যাজুয়েশনের বাকি সময়ে যাতে একবারে চাপ না হয় সেজন্য পর্যায়ক্রমে নগদ প্রণোদনা কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বলছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : মোরছালীন বাবলা

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা