× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

ব্যাংক কর্মকর্তাদের সর্বজনীন পেনশনে উদ্বুদ্ধ করার নির্দেশ

প্রবা প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২১:৪১ পিএম

প্রবা ফটো

প্রবা ফটো

দেশের সব বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা বেসরকারি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী বরাবর পাঠিয়েছে।

নির্দেশনায় বলা হয়, ‘সর্বস্তরের জনগণকে একটি টেকসই ও সুসংগঠিত সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ে অন্তর্ভুক্তির উদ্দেশ্য পূরণকল্পে ব্যাংকগুলোয় (রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংক ও বিশেষায়িত ব্যাংক ব্যতীত) কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেওয়া হলো।’

এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পেনশন বিধিমালায় কোম্পানি হিসেবে অংশ নেওয়ার সুযোগ থাকলেও এমন কোন নির্দেশনা দেয়নি কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর ফোরাম কো-অর্ডিন্যান্স কাউন্সিলের সিদ্ধান্তের আলোকে সরকারকে সহায়তার অংশ হিসেবে বেসরকারি ব্যাংকের কর্মীদের পেনশন স্কিমে অংগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এই নির্দেশনার আলোকে ব্যাংকগুলো পেনশন স্কিমের প্রচারণা চালাতে পারবে; তবে কোন কর্মীকে বাধ্য করতে পারবে না। তাছাড়া কোম্পানি হিসেবে স্কিমে অংশ নিতে বাধ্য নয় কোন ব্যাংক। 

কোম্পানি হিসেবে অংশ নেওয়ার অর্থ হলো- ওই কোম্পানির কর্মীরা স্কিমের আওতায় থাকবে। প্রিমিয়ামের একটি অংশ কোম্পানি বহণ করবে। বাকি অংশ কর্মীর বেতন থেকে সমন্বয় হবে। সরকারি ব্যাংকগুলো এ নির্দেশনার বাইরে থাকবে। কারণ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পেনশন স্কিমে অংশ নিতে পারবে না।

প্রসঙ্গত, দেশের সর্বস্তরের জনগণকে বিশেষ করে বয়স্ক জনগোষ্ঠীকে টেকসই ও সুসংগঠিত সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের আওতাভুক্ত করার লক্ষ্যে একাদশ জাতীয় সংসদে ‘সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২৩’ পাস করা হয়। এরপর ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইনটিতে সম্মতি দেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। পরে ১৩ আগস্ট আইনটির বিধিমালা জারি করা হয়।

সর্বজনীন পেনশন স্কিম বিধিমালায় ধারা (৪)-এর উপধারা (৩)-এ বলা হয়েছে, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতাভুক্ত ব্যক্তিরা এই কর্মসূচিতে অংশ নিতে পারবেন। তবে শর্ত হচ্ছে-এ স্কিমে অংশ নেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির সুবিধা সমর্পণ করতে হবে।

এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত অর্থ বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, সরকার আগামী দিনে পর্যায়ক্রমে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি থেকে বেরিয়ে আসবে। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির চাপ তুলে দিয়ে সর্বজনীন পেনশন স্কিমে নিয়ে আসা হবে। আইন অনুযায়ী, সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচির আওতায় চারটি স্কিম রয়েছে। প্রথমটি প্রবাসী স্কিম, প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য। দ্বিতীয়টি প্রগতি স্কিম, এটি বেসরকারি চাকরিজীবী ও প্রতিষ্ঠানের জন্য। তৃতীয়টি সুরক্ষা স্কিম, এটি স্বকর্মে নিয়োজিত ব্যক্তিদের জন্য। চতুর্থ হচ্ছে সমতা স্কিম, এটি স্বল্প-আয়ের নাগরিকদের জন্য।


শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা