× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

মূল্যস্ফীতি নিয়ে ঝামেলায় আছি : গভর্নর

প্রবা প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২১:৩৩ পিএম

আপডেট : ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২২:০৬ পিএম

রাজধানীর মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে মাইক্রো ফাইন্যান্স ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোর অ্যাপ এমএফআইসিআইবির উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। ছবি : সংগৃহীত

রাজধানীর মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে মাইক্রো ফাইন্যান্স ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোর অ্যাপ এমএফআইসিআইবির উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। ছবি : সংগৃহীত

দেশের চলমান উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ে ঝামেলায় আছি। তাই ক্ষুদ্রঋণদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য নতুন তহবিল দেওয়া সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার।  

বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে মাইক্রো ফাইন্যান্স ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোর অ্যাপ এমএফআইসিআইবির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

গভর্নর বলেন, ‘আমরা ধীরে ধীরে ক্যাসলেস সোসাইটির দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। ২০২৬ সালের মধ্যে আমাদের ৭৫ শতাংশ লেনদেন ক্যাশলেসভিত্তিক হয়ে যাবে। তাই তথ্যের জন্য অনলাইনভিত্তিক ব্যবস্থায় যাওয়া খুবই জরুরি। তবে কোনো সিস্টেমকে ডিজিটাল করলেই তার কাজ শেষ হয়ে যায় না, সিস্টেমকে মেইনটেইন্যান্স করাটা প্রধান সমস্যা।’ 

ক্ষুদ্রঋণদাতা এক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীর অনুরোধে গভর্নর বলেন, ‘এই মুহূর্তে ক্ষুদ্রঋণদাতা প্রতিষ্ঠানকে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে আলাদা কোনো তহবিল দেওয়া সম্ভব নয়। কারণ আমরা এখন মূল্যস্ফীতি নিয়ে ঝামেলায় আছি।’ এ সময় ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তাদের প্রতি সর্বজনীন পেনশনে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানান আব্দুর রব তালুকদার। অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক এবং আইসিটি বিভাগের প্রধান দেবদুলাল রায় বলেন, ‘পুরো সিস্টেমটি এনআইডিভিত্তিক। এই মুহূর্তে ৫০টি প্রতিষ্ঠানে ডেটা আপলোড করা আছে। এখান থেকে সবগুলো প্রতিষ্ঠান এনআইডিভিত্তিক বরোয়ারদের ডেটা ইনপুট দিতে পারবেন।’ তবে সহজ করার জন্য নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষিত করে তোলার আহ্বান জানান তিনি।

পিপলস ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রাম ইমপ্লিমেন্টেশনের (পপি) নির্বাহী পরিচালক মোরশেদ আলম সরকার বলেন, ‘বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান যাদের ঋণ দিতে চায় না আমরা তাদের নিয়েই কাজ করি। আমরা তাদের ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলছি। আমরা নতুন উদ্যোক্তা তৈরিতে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা পালন করছি। আমাদের ঋণে ৯৬ শতাংশই ফেরত এসেছে। আমাদের গ্রাহকরা অর্থপাচারের সাথে জড়িত নয়।’ সুতরাং এমআরএ প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম আরও বৃদ্ধি করতে এর জন্য গভর্নরের কাছে আলাদা তহবিল দাবি করেন পপির এই শীর্ষকর্তা। 

তিনি আরও বলেন, ‘যেসব গ্রাহক ব্যাংকের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ার সম্ভাবনাই রাখে না, তাদেরই আমরা গ্রাহক হিসেবে গড়ে তুলছি। কিন্তু আমানত সংগ্রহ করার ক্ষেত্রে আমাদের বিভিন্ন শর্ত দেওয়া হয়েছে।’ এক্ষেত্রে সব ধরনের শর্ত প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি। এ ছাড়া এমআরএফ প্রতিষ্ঠানগুলোতে কীভাবে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ আনা যায়, সে বিষয়ে নীতিমালার দাবি জানিয়েছেন তিনি।

সাজেদা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক জাহেদা ফিজ্জা কবির বলেন, ‘এমআরএ প্রতিষ্ঠানগুলো দেশের আর্থিক খাতের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। কিন্তু আমাদের এখানে তথ্যের ব্যাপক অভাব রয়েছে। এজন্য আমাদের তথ্য আরও সমৃদ্ধ করা দরকার। বর্তমানে শীর্ষ ১০ এমআরএ প্রতিষ্ঠান ক্ষুদ্রঋণ বাজারের ৮০  শতাংশই নিয়ন্ত্রণ করছে। এক্ষেত্রে অন্ততপক্ষে এই ১০ প্রতিষ্ঠানের তথ্যকে আরও বেশি সমৃদ্ধ করা দরকার। এ ছাড়া ক্ষুদ্রঋণের বিতরণের ক্ষেত্রে এবং টেকসই উন্নয়নের ক্ষেত্রে কোনো গবেষণা নেই।’ এজন্য গবেষণার প্রতিও গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, ঋণগ্রহীতার জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) যাচাই করে সিআইবি প্রস্তুত করা হচ্ছে। এআইপি তথ্যভান্ডার থেকে লিংক নিয়ে গ্রাহকের তথ্য যাচাই করা হবে। এজন্য সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করা হয়েছে। এটি বাস্তবায়নের ফলে যথাযথ গ্রাহক নির্বাচন, গ্রাহকের ঋণ যোগ্যতা যাচাই ও ইতিহাস জানা সম্ভব হবে। একই সঙ্গে গ্রাহকের আর্থিক সেবাভুক্তি সহজতর করা, মাইক্রোফাইন্যান্স সেক্টরের স্বচ্ছতা আনয়ন এবং গ্রাহকের ঋণপ্রাপ্তির প্রতিবন্ধকতা দূর করা সহজ হবে। উদ্যোক্তা সৃষ্টির পথ সুগম করা তথা প্রাতিষ্ঠানিক আর্থিক খাতের সঙ্গে ক্ষুদ্র উদ্যোগ ঋণের সংযোগ স্থাপনের পথ আরও সুগম হবে।

তা ছাড়া স্বচ্ছতা, জবাবদিহি নিশ্চিত করে টেকসই জনবান্ধব ক্ষুদ্রঋণ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এমআরএ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। জুন-২০২৩ অনুযায়ী এমআরএর সনদপ্রাপ্ত ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৭৩১টি, গ্রাহকসংখ্যা ৪ কোটি ৮ লাখ, বিতরণকৃত ঋণ ১ লাখ ৯১ হাজার কোটি টাকা, ঋণস্থিতি ২ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা, শাখার সংখ্যা ২৫ হাজার ৩৩৬টি। বর্তমানে এ খাতে ২ লাখ ৬ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর অংশগ্রহণের মাধ্যমে সরাসরি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। দেশের ৪ কোটি ৮০ লাখের বেশি পরিবার ক্ষুদ্রঋণ পরিষেবার আওতায় রয়েছে। গ্রামীণ অর্থায়নের প্রায় ৭৩ শতাংশ জোগান আসে ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে। বিতরণকৃত ঋণের প্রায় ৫০ শতাংশ কৃষি এবং ৩০ শতাংশ বিনিয়োগ হয় ক্ষুদ্র উদ্যোগ খাতে।


শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা