প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২১:০২ পিএম
আপডেট : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২১:১৭ পিএম
ফাইল ফটো
প্রত্যাশার চেয়ে কম হলেও নতুন বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে রেমিট্যান্স তথা প্রবাসী আয়ে গতি ফিরেছে। সদ্যসমাপ্ত মাসটিতে গত সাত মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ পরিমাণ প্রবাসী আয় দেশে এসেছে। আলোচিত সময়ে বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স এসেছে মোট ২১০ কোটি মার্কিন ডলার। এর আগে গত বছরের জুন মাসে সর্বোচ্চ ২১৯ কোটি ডলার এসেছিল। হুন্ডিতে পাচার হয়ে যাওয়ায় কাঙ্ক্ষিত রেমিট্যান্স দেশে আসছে না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, জানুয়ারি মাসে মোট প্রবাসী আয় এসেছে ২১০ কোটি ১০ লাখ ডলার। এর আগে গত ডিসেম্বরে ১৯৮ কোটি ৯৮ লাখ ডলার ও নভেম্বরে ১৯৩ কোটি ডলারের আয় এসেছিল। অর্থাৎ আগের মাস ডিসেম্বরের চেয়ে বেশি এসেছে ১১ কোটি ১২ লাখ ডলার।
তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২০২৩ সালে সব মিলিয়ে দেশে প্রবাসী আয় এসেছিল ২ হাজার ১৯০ কোটি ডলার। ২০২২ সালে এসেছিল ২ হাজার ১৩০ কোটি ডলার। এর মানে ২০২৩ সালে প্রবাসী আয় বেড়েছে প্রায় ৩ শতাংশ। এর আগে ২০২১ সালে ২ হাজার ২০৭ কোটি ডলার, ২০২০ সালে ২ হাজার ১৭৩ কোটি ডলার এবং ২০১৯ সালে ১ হাজার ৮৩৩ কোটি ডলারের প্রবাসী আয় আসে। সেই হিসাবে গত পাঁচ বছরের মধ্যে ২০২৩ সালে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রবাসী আয় এসেছে। তা সত্ত্বেও প্রবাসী আয়ে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, তা প্রত্যাশা পূরণ করতে পারছে না বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। কারণ প্রতিবছর যে পরিমাণ জনশক্তি রপ্তানি হয়ে থাকে, সে অনুযায়ী প্রবাসী আয়ে প্রবৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে না।
অভিবাসন খাতের বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিট (রামরু) বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানায়, বাংলাদেশ থেকে গত বছর বিভিন্ন দেশে ১৩ লাখের বেশি কর্মী গেছে। দেশের ইতিহাসে কোনো একক বছরে এটিই সর্বোচ্চ জনশক্তি রপ্তানি। ২০২৩ সালে এর আগের বছরের তুলনায় বিদেশে কর্মসংস্থান বেড়েছে ১৩ শতাংশ। অথচ প্রবাসী আয় বেড়েছে মাত্র ২ দশমিক ৮৮ শতাংশ। অন্যদিকে দেশের মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় নিলে প্রবাসী আয়ে তেমন প্রবৃদ্ধি হয়নি। আবার পুরুষ কর্মী বাড়লেও আগের বছরের তুলনায় নারী কর্মী রপ্তানি কমেছে ২৭ শতাংশ।