প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২০:৪৬ পিএম
আপডেট : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২০:৫৫ পিএম
প্রবা ফটো
বিদেশি মুদ্রায় ঋণের খরচও ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) ঘোষিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বৈদেশিক মুদ্রায় স্বল্পমেয়াদে বিনিয়োগে এসওএফআর, ইউরোবরের মতো আন্তর্জাতিক বেঞ্চমার্কের সঙ্গে সুদহার হবে সর্বোচ্চ ৪ শতাংশ, আগে যা ছিল সাড়ে ৩ শতাংশ। এর ফলে স্বল্পমেয়াদি বিদেশি মুদ্রায় ঋণ পেতে ব্যবসায়ীদের খরচ আরও বাড়ল। এমন এক সময় এ সিদ্ধান্ত আসল; যখন স্থানীয় মুদ্রায় সুদহার বাড়ানোর উদ্যোগ অব্যাহত রয়েছে।
তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, সর্বশেষ ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে এ বিদেশি মুদ্রায় ঋণ সুদহার ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে সাড়ে ৩ শতাংশ করেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তারও এক মাস আগে আগস্টের ১৬ তারিখে এমন ঋণের সুদহার ৫০ বেসিস পয়েন্ট কমিয়ে সর্বোচ্চ ৩ শতাংশ যোগ করে র্নিধারণ করে দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। ষোল মাস পড়ে স্বল্পমেয়াদি বিদেশি ঋণের সুদহার ফের বাড়ালো কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে এসওএফআর (সিকিউরড ওভারনাইট ফাইন্যান্সিং রেট, আগে যা ছিল লাইবর) রেটের সঙ্গে সর্বোচ্চ ৪ শতাংশ যোগ করে ঋণ দিতে পারবে ব্যাংকগুলো। এ বিষয়ে সার্কুলার জারি করে সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক কয়েক মাসে মূল্যস্ফীতি সামাল দিতে বাংলাদেশ ব্যাংক অভ্যন্তরীণ সুদহার বাড়িয়ে চলছে। মূল্যস্ফীতি ছয় শতাংশে না নেমে আসা পর্যন্ত সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি অনুসরণ করার কথা গত মুদ্রানীতিতেও বলেছেন গভর্নর। বিদেশি ঋণের সুদহার নির্ধারণের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, স্বল্পমেয়াদে ট্রেড ফাইন্যান্সের বেলায় এ সুদহার নির্ধারণ করে ঋণ দিতে পারবে ব্যাংক।
বৃহস্পতিবার এক বছর মেয়াদের জন্য এসওএফআর সুদহার ছিল ৪ দশমিক ৭৬ শতাংশ। এর সঙ্গে ৪ শতাংশ সুদ যোগ করলে বিদেশি মুদ্রায় বিনিয়োগের বিপরীতে সর্বোচ্চ ৮ দশমিক ৭৬ শতাংশ বার্ষিক সুদহার যোগ করতে পারবে যেকোনো ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, ঠিক একইভাবে ইউরো মুদ্রায় বিনিয়োগে ইউরোবর, পাউন্ডের বেলায় সোনিয়া (স্টারলিং ওভারনাইট ইনডেক্স এভারেজ)-এর সুদহারকে রেফারেন্স রেট হিসেবে নিতে হবে ব্যাংকগুলোকে। এর আগে বিদেশি মুদ্রায় আমানত আনতেও সংশ্লিষ্ট দেশের মুদ্রার সুদহারকে বেঞ্চমার্ক ধরা হতো। ২০২২ সালের আগস্ট থেকে ঋণ দেওয়ার বেলাতেও তা অনুসরণ করা শুরু করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বেসরকারি খাতে বিদেশি মুদ্রায় স্বল্পমেয়াদি বিদেশি ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৯৬ কোটি ৫২ লাখ ডলারের সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা। ব্যবসায়ীরা ডলার, ইউরো, পাউন্ড, রোবলসহ বিভিন্ন বিদেশি মুদ্রায় ঋণ নিয়ে থাকেন।