প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৯:৪৭ পিএম
আপডেট : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২১:৪২ পিএম
১২তম বিমান বাংলাদেশ ট্রাভেল ও ট্যুরিজম মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। প্রবা ফটো
বিশ্বব্যাপী পর্যটন শিল্প সমৃদ্ধি লাভ করেছ। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের জিডিপি ও উন্নয়নে অবদান রাখছে পর্যটন শিল্প। কিন্তু আমরা এখনও সে অবস্থানে পৌঁছাতে পারিনি। দেশের পর্যটন শিল্পে সেবার মান আরও উন্নত করা দরকার বলে মন্তব্য করেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান। বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) আগারগাঁওয়ের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব) আয়োজিত ১২তম বিমান বাংলাদেশ ট্রাভেল ও ট্যুরিজম মেলার (বিটিটিএফ) ২০২৪ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের পর্যটন শিল্প খাতে অপার সম্ভাবনা রয়েছে এবং সরকার যে পলিসি তৈরি করেছে তা পর্যটনবান্ধব। দেশের পর্যটন শিল্পে যে সকল সুযোগ-সুবিধা রয়েছে, তা প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের জানাতে হবে। আমাদের দেশে পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে নিরাপত্তার কোনো ঘাটতি নেই। পর্যাপ্ত পুলিশ, নিরাপত্তাকর্মী পর্যটকদের জন্য কাজ করে থাকে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের পলিসিতে কিছু সমস্যা রয়েছে। তার মধ্যে একটা হলো অন অ্যারাইভাল ভিসা। আমরা চেষ্টা করছি, যে বিদেশি পর্যটকরা বাংলাদেশে আসবে তাদের অন অ্যারাইভাল ভিসা যেন দেওয়া যায়। এ নিয়ে সরকার কাজ করছে। এ ছাড়া পর্যটন শিল্পের সঙ্গে যারা জড়িত আছে, তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। সরকারিভাবে এই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা থাকলেও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানদেরও এগিয়ে আসতে হবে।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন টোয়াবের সভাপতি শিবলুল আজম কোরেশী। বিশেষ অতিথি ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মাহবুবুল আলম।
এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি বলেন, ‘দেশের স্থানীয় ট্যুরিজম খাতকে আরও বিকশিত করতে হবে। তাহলে বিদেশি পর্যটকরাও আকৃষ্ট হবে। আমরাও সেবা খাত থেকে অনেক বেশি ডলার আয় করতে পারব।’
মেলায় দেশি-বিদেশি ৬০টির বেশি সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান প্রায় ১৫০টি স্টল ও ১৪টি প্যাভিলিয়নে তাদের পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করছে। মেলায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে রয়েছে জাতীয় পর্যটন সংস্থা, বিভিন্ন এয়ারলাইনস, ট্যুর অপারেটর, হোটেল, রিসোর্ট, ট্রাভেল এজেন্সি, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য পর্যটনসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান। অংশগ্রহণকারী দেশগুলো হলো ভারত, নেপাল, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, সৌদি আরব, তুরস্ক, ভিয়েতনাম, মালদ্বীপ, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাংলাদেশ। ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মেলা চলবে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত।