চট্টগ্রাম অফিস
প্রকাশ : ২৬ জানুয়ারি ২০২৪ ২১:০৯ পিএম
এলাচ। সংগৃহীত ছবি
জাত এক। পরিমাণও এক। কিন্তু নতুন আসা এলাচ বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ৮০০ টাকা বেশি। পুরনো এলএনজি নামের এলাচ যেগুলোর মেয়াদ ২০২৬ সাল পর্যন্ত, সেগুলো বিক্রি হচ্ছে তিন হাজার টাকায়। অন্যদিকে একই জাতের এলাচ যেগুলোর মেয়াদ ২০২৫ পর্যন্ত সেগুলো বিক্রি হচ্ছে দুই হাজার ২০০ টাকা কেজি। এখানে গ্যামলিং হচ্ছে বলে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের কিছু ব্যবসায়ী অভিযোগ করেছেন।
খাতুনগঞ্জের একজন মশলা আমদানিকারক নাম প্রকাশ না করা শর্তে প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘অতিরিক্ত ট্রেডিংয়ের কারণে নতুন এলাচের দাম বেশি বেড়ে গেছে। আগে কখনও এত বেশি ব্যবধান ছিল না। এখন অনেক তেল ব্যবসায়ী এলাচের ব্যবসায় এসেছেন। তারা নতুন এলাচ বেশি কিনছেন। তাই নতুন এলাচের দাম বাড়ছে। তারা গ্যামলিং করে ২০২৬ সাল পর্যন্ত যেসব এলাচের মেয়াদ আছে সেগুলোর দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমদানিতে যে খরচ পড়ে তাতে নতুন এলাচের দাম আরও কম থাকার কথা ছিল। নিয়ম অনুযায়ী, নতুন এলাচ বাজারে বিক্রি হওয়ার কথা ছিল দুই হাজার ৪০০ থেকে সর্বোচ্চ ৫০০ টাকায়। কিন্তু মাত্রাতিরিক্ত চাহিদার কারণে এখন ওই এলাচ বিক্রি হচ্ছে তিন হাজার টাকায়।’
আর দেড় মাস পর রমজান। রমজানে মশলাজাতীয় পণ্যের চাহিদা বেড়ে যায়। তাই রমজানের আগেই চাহিদা অনুযায়ী মশলা আমদানি করেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু এবার দেখা যাচ্ছে ভিন্ন চিত্র। রমজান ঘিরে এবার এখনও সেভাবে মশলা আমদানি হয়নি। খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা বলেছেন, ডলার সংকটে এলসি খুলতে না পারাসহ নানা কারণে এবার আগের একই সময়ের তুলনায় এক-তৃতীয়াংশ মশলা আমদানি কমেছে। মূলত শতভাগ মার্জিন দিয়ে এলসি খুলতে হওয়ায় এখন একটি এলসির পেছনে অনেক বেশি পুঁজি লগ্নি করতে হচ্ছে। তাই আমদানি কমেছে।
তবে জিরার দাম কমেছে খাতুনগঞ্জে। খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, এখন বাজারে ভারতীয় এবং চায়না দুই জাতের জিরার দামই কমছে। এক মাস আগে যে জিরা প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছিল ৯৮০ টাকায়, সেগুলো এখন বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকায়। চায়না ব্রোকেন দারুচিনি বিক্রি হচ্ছে ৩৭৫ টাকায়। যেখানে এক মাস আগে প্রতি কেজি দারুচিনি বিক্রি হয়েছিল ৪০০ টাকায়। বাজারে নতুন ফ্রেশ দারুচিনির দাম কিছুটা বাড়তি। নতুন ফ্রেশ প্রতি কেজি দারুচিনি বিক্রি হচ্ছে ৪২০ টাকায়। অথচ কয়েক দিন আগে এই দারুচিনি বিক্রি হয়েছিল ৪০০ টাকায়। এছাড়া দাম কমছে কিশমিশের। ১৫ টাকা কমে লম্বা জাতের প্রতি কেজি কিশমিশ বিক্রি হচ্ছে ৪১৫ টাকায়। গোল কিশমিশ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫২৫ টাকায়। লবঙ্গ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৫৫০ থেকে ১৬০০ টাকায়। গোল মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৬৮০ টাকায়।