× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

কৃষকের লাভের গুড় কোন পিঁপড়ায় খায়

ফারুক আহমাদ আরিফ

প্রকাশ : ২০ জানুয়ারি ২০২৪ ০৮:৫৯ এএম

আপডেট : ২০ জানুয়ারি ২০২৪ ১৫:২৭ পিএম

প্রবা ফটো

প্রবা ফটো

রংপুরে প্রতি পিস বাঁধাকপি ২০ টাকা, ফুলকপি ৩৫ টাকায় বিক্রি করেন কৃষক। সেই বাঁধাকপি ও ফুলকপিই ঢাকায় এসে ‘বড়লোক’ হয়ে যায়। শীতের ভরা মৌসুমেই রাজধানীর বাজারে এখন মানভেদে প্রতি পিস বাঁধাকপি ৫০ আর ফুলকপি ৭০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। নরসিংদীতে এক কেজি শিম কৃষক বিক্রি করেন ৩০ টাকায়। ঢাকায় সেই শিমের কেজি ৮০ থেকে ১২০ টাকা। বগুড়ায় যে লাউ প্রতি পিস ৩০-৩৫ টাকায় বিক্রি হয়, ঢাকায় সেটি কিনতে হয় ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। এভাবেই বেচাকেনার শুভঙ্করের ফাঁকিতে পড়ে যেমন ঠকছেন কৃষক, তেমনি ফাঁকা হচ্ছে ক্রেতাসাধারণের পকেট। সে কারণেই প্রশ্নÑ মাঠের ও হাটের দামে এত যে ব্যবধান তার ফায়দা লুটছে কারা? কৃষকের লাভের ‘গুড়’ খেয়ে যায় কোন পিঁপড়ায়? 

অনুসন্ধানে দেখা যায়, ফল-ফসলের প্রায় প্রতিটি পণ্যই দেশের বিভিন্ন প্রান্তের কৃষকরা যে দামে বিক্রি করেন তা জেলা বা বিভাগীয় শহরে আসতে আসতে তিন গুণ থেকে পাঁচ গুণ বেড়ে যায়। বেশিরভাগ ফসলেই কৃষক মূল্য পেলেও, ন্যায্যমূল্য পান না। বরাবরের মতো মধ্যস্বত্বভোগীরাই আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়ে যায়। সনাতন বাজারব্যবস্থায় কৃষকের এই বঞ্চনার ইতিহাসও নতুন নয়। বাজারের এই অবস্থার জন্য বিশেষজ্ঞরা দায়ী করছেন কৃষি বিপণন অধিদপ্তর, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে।

কৃষকদের ফসলের ন্যায্যমূল্য পাওয়া নিশ্চিত করতে কী ধরনের ব্যবস্থা নেবেন তা জানতে চাইলে নবনিযুক্ত কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুস শহীদ বলেন, এক্ষেত্রে বাজারকে প্রাধান্য দিতে হবে। সেখানে দেখতে হবে চাহিদা কেমন আছে। চাহিদার চেয়ে জোগান কম থাকলে দাম বাড়বে। আবার সরবরাহ সঠিকভাবে না হলে জোগান পর্যাপ্ত থাকলেও কোনো সমাধান হবে না। এক্ষেত্রে দুটির মধ্যে সমন্বয় করতে হবে। কৃষি বিপণন অধিদপ্তরকে বলব, আপনারা কোন জেলায়, কোন স্থানে কী কী সমস্যা আছে তা চিহ্নিত করুন। সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। আমি নতুন হলেও এখানে তো অভিজ্ঞ জনশক্তি রয়েছে। তারা দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে। 

তিনি আরও বলেন, আমাকে সময় দিতে হবে। আশা করি ভালো একটি অবস্থা সৃষ্টি করা যাবে। কৃষক তার ফসলের ন্যায্যমূল্য পাবে। আর সঠিক মূল্য না পেলে তো উৎপাদনে কৃষক মনোযোগী হবে না। তাতে করে পণ্য আমদানি করতে হবে। এর জন্য কৃষকের পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে কাজ করা হবে।

কৃষি অর্থনীতিবিদরা কৃষকের ন্যায্যমূল্য না পাওয়ার জন্য মূলত কৃষি বিপণন অধিদপ্তরকে দায়ী করেছেনতাদের বক্তব্য হচ্ছে, কৃষকের ফসলের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর অনেক কাজ করেছে। বিভিন্ন প্রকল্প নিয়েছে। কেন এসব প্রকল্প সফলতা পেল না। কেন তারা একটা বাজার ব্যবস্থা সৃষ্টি করতে পারল না। এখানে কাদের স্বার্থ জড়িত? অনেক সময় তারা বিভিন্ন ধরনের যুক্তি দেয়। যুক্তিগুলো হচ্ছে, মধ্যস্বত্বভোগীদের সংখ্যাটা অনেক। তাদের নিয়ন্ত্রণে হাত দিলে তারা বেকার হয়ে যাবে। এসব পরিবারগুলো কীভাবে চলবে, তাদের আয়ের উৎস তো এই একটাই ইত্যাদি। তারা বিভিন্ন সময় যুক্তি-অযুক্তি ও কুযুক্তি দিয়ে থাকে। ভোক্তারা যেখানে থাকার সেখানেই থাকে। তাদের কোন পরিবর্তন হয় না।


শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) প্ল্যান্ট প্যাথলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু নোমান ফারুক আহম্মেদ এ বিষয়ে প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, কৃষক এ বছর তাদের পণ্যের কিছুটা ভালো দাম পাচ্ছে, কারণ উৎপাদন কম। চাহিদার চেয়ে উৎপাদন কম থাকায় কৃষকের সাময়িক লাভ হচ্ছে, কিন্তু এটি আবার ক্রেতাদের জন্য ক্ষতির বিষয়। কেননা শীতকালে শাক-সবজির দাম কম থাকে। আমরা এ মৌসুমে আশায় থাকি যে, অল্প দামে শাক-সবজি খেতে পারব। কিন্তু এখন ৭০ টাকার নিচে কোনো সবজি পাওয়া যায় না। এতে করে মানুষ তাদের চাহিদার চেয়ে কম খাচ্ছে। তাতে পুষ্টিহীনতাও দেখা দেবে।


তিনি আরও বলেন, সব ধরনের শাক-সবজি চাষে ব্যয় বেড়েছে। সরকারকে এখানে বিশেষ নজর দিতে হবে। কেননা উৎপাদন ব্যয় বেশি হলে তাকে বেশি দামে বিক্রি করতেই হবে। আমাদেরকেও বেশি দামে কিনতে হবে।


শীতকালীন কয়েকটি ফসলের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে আলু, ফুলকপি, বাঁধাকপি, বেগুন, টমেটো, শিম ও লাউ। আর শাকের মধ্যে রয়েছে পালংশাক, লাউশাক, মুলাশাক ও ধনেপাতা। কৃষকরা এসব ফসল কত টাকা কেজিতে বিক্রি করেন আর ঢাকায় আসার পর তার দাম কত দাঁড়ায় তা নিয়ে রংপুর, ময়মনসিংহ, বগুড়া, দিনাজপুরসহ বিভিন্ন বাজারের একটি তুলনামূলক চিত্র থেকে দেখা যায় সবখানেই পরিস্থিতি প্রায় একই রকম। 

সরেজমিন দেখা যায়, রংপুরে ফুলকপি কেজি ৩৫ টাকা, বাঁধাকপি ২০ টাকা পিস, শিমের কেজি ৪০ টাকা, বেগুনের ৭০ টাকা, টমেটোর ৩০ টাকা। লাউ প্রতি পিস ৪০ টাকা। পালংশাক ১০ টাকা আঁটি, লাউশাক ২০ টাকা, মুলাশাক ১০ টাকা, ধনেপাতা ১০ টাকা। রংপুরের মিঠাপুকুরে লতিবপুর ও রানীপুকুর ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি শাক-সবজির আবাদ হয়। সেখানে নতুন আলু কেজিপ্রতি ৩২ থেকে ৩৩ টাকা, টমেটো ২৫ টাকা, মুলা ৮ থেকে ১০ টাকা, বাঁধাকপির পিস ১০ টাকা, ফুলকপির কেজি ২০ টাকা, বেগুন ৬৫ টাকা, কালাই শিম ৩০ টাকা, বারি শিম ২৪ টাকা। ধনেপাতার আঁটি ৫ টাকা, পালংশাক ১০ টাকা, লাউশাক ৮ টাকা, মুলাশাক ৫ টাকা। কৃষক নুর আমিন মিয়া বলেন, অন্যান্য বছরের চেয়ে এবার একটু ভালো দাম তারা পাচ্ছেন ঠিকই তবে এবার উৎপাদন ব্যয়ও অন্যান্য বছরের চেয়ে বেশি হয়েছে। 

রংপুরের সবজি ব্যবসায়ী সাদেক আলী বলেন, একটি ট্রাকে ১০ লাখ টাকার সবজি ধরে। এসব সবজি কৃষকের ক্ষেত থেকে তোলার পর ট্রাকে লোড করা, ঢাকায় পৌঁছানোসহ শ্রমিক ও পরিবহন খরচ মিলিয়ে প্রায় ১ লাখ টাকা খরচ হয়। 

রংপুর বিভাগের কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের উপপরিচালক (উপসচিব) এন.এম. আলমগীর বাদশা বলেন, এবার কৃষক সবজির যে দাম পাচ্ছেন সেটিকে রংপুরের বিবেচনায় ন্যায্যমূল্য ধরা যেতে পারে। কিন্তু ঢাকায় যে দামে বিক্রি হচ্ছে তাতে তারা ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে তা বলা যাবে না।

আলুর জন্য বিখ্যাত বগুড়া। তা ছাড়া অন্যান্য সবজিও এখান থেকে ঢাকায় সরবরাহ হয়ে থাকে। এই এলাকায় বর্তমানে সাদা আলুর কেজি (হল্যান্ড) ৩০, লাল আলু ৩৫, বাঁধাকপি ১৪-১৫ টাকা পিস, বেগুন ৫০ টাকা কেজি, বিচি শিম ৫০ টাকা, টমেটো ২৩ টাকা, লাউ ৩০ থেকে ৩৫ টাকা পিস, ফুলকপি ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। মহাস্থান থেকে ঢাকার কারওয়ান বাজার পর্যন্ত আলুর গাড়ির ট্রাকভাড়া ১৬ হাজার টাকা।

বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. মতলুবর রহমান বলেন, কৃষকরা ভোক্তা পর্যন্ত পণ্য নিয়ে যেতে পারেন না। বাজারে যেভাবে দামের হেরফের দেখা যাচ্ছে সে সম্পর্কে সঠিক জবাব দিতে পারবে ভোক্তা অধিদপ্তর। কেননা ন্যায্যমূল্যের তদারকির দায়িত্ব তাদের। 

দিনাজপুরের হিলিতে স্থানীয় বাজারের কৃষকেরা প্রতি কেজি আলুর দাম পাচ্ছেন ৩৫ টাকা। লাল আলু ৩৭ টাকা, শিম ৪০ টাকা, ফুলকপি ৩৫ টাকা। বাঁধাকপির পিস ১৫ টাকা, বেগুনের কেজি ৩০-৩৩ টাকা, লাউ ৩০ টাকা পিস। ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতি ট্রাকে ১৪ থেকে ১৫ মেট্রিক টন পণ্য ঢাকার যাত্রাবাড়ী ও বাবুবাজারে পাঠাতে পরিবহন ব্যয় ২০ থেকে ২৩ হাজার টাকা। 

যশোরে প্রতিটি ফুলকপি ২৮-৩০ টাকা, শিম (সবুজ) ৩০ টাকা কেজি, বেগুন মানভেদে ৪৫-৫০, বাঁধাকপির পিস ১০-১৪ টাকা ও লাউ ৪৫-৫০ টাকা। আবার ময়মনসিংহে এক কেজি টমেটো ২৫ টাকা, বাঁধাকপি ২০ টাকা, ফুলকপি ২৫ টাকা, শিম ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। 

নরসিংদী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আজিজুর রহমান বলেন, আমরা বাজার থেকে ৭০-৮০ টাকায় যে লাউ কিনি, কৃষক তা ৩৫ টাকায় বিক্রি করেন। হাতবদলের ফলে ফড়িয়া বা পাইকাররা বেশি লাভ করে ফেলছে। গত বছর যে লাউ বিক্রি হতো ২০ টাকায় এ বছর তা ৩০-৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ বছর উৎপাদন ব্যয়ও বেড়েছে। তিনি জানান, নির্দিষ্ট কিছু কৃষককে নিয়ে লিঙ্কেজ মার্কেট তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে। সেখানে কৃষকরা পণ্য নিয়ে আসবেন, মূল পাইকাররা এখান থেকেই সেই পণ্য কিনে নিয়ে যাবে। তাতে কৃষক ও ক্রেতার মাঝখানে দামের যে বিরাট পার্থক্য দেখা যায় তা অনেক কমে আসবে। 

রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা যায়, আলু বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৫০ টাকা কেজি দরে। একটু বড় সাইজের আলুর কেজি ৬০ টাকা। ফুলকপির পিস ৩০ থেকে ৭০ টাকা পর্যন্ত। এসব কপিতে তিন ধরনের সাইজ ধরা হয়। বাঁধাকপি ৩০, ৪০, ৫০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। শিমের দাম মানভেদে ৪০ থেকে শুরু করে ১২০ টাকা পর্যন্ত। বেগুন ৫০ থেকে ৮০ টাকা কেজি। টমেটো ৪৫-৫০ টাকা। লাউ প্রতি পিস ৬০ থেকে শুরু করে ১৪০ টাকা পর্যন্ত। আর শাকের মধ্যে পালংশাকের আঁটি ২০ টাকা, লাউশাক ৪০ টাকা, মুলাশাক ১৫ ও ধনেপাতা ১৫-২০ টাকায় বিক্রি হয়। 

ময়মনসিংহ ও গোপালগঞ্জ থেকে টমেটো এনে কারওয়ান বাজারে পাইকারি বিক্রি করেন মো. নবী হোসেন। তিনি বলেন, এই দুই এলাকার টমেটো সবচেয়ে ভালো। এসব স্থান থেকে যে টমেটো ২৫ টাকা কেজিতে কেনা হয়, তা ঢাকায় ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি করা যায়। 

কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের পরিচালক (যুগ্ম সচিব) ওমর মো. ইমরুল মহসিন প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, বাজারে অভিযান পরিচালনার জন্য আমাদের নিজস্ব কোনো জনশক্তি নেই। জেলা প্রশাসন বা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাছ থেকে আবেদন করে ফোর্স নিতে হয়। কৃষক যাতে ন্যায্য দাম পায় সেজন্য তাদের ফসল রোপণ, উত্তোলন ও বাজারজাতকরণের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। পণ্যের মান নির্ণায়ন করতেও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। কোনো পণ্যের উৎপাদন ব্যয় কত, পাইকারি ও খুচরা মূল্য কত হবে সে ব্যাপারে প্রতিদিন তথ্য দেওয়া হয়।

তিনি আরও বলেন, মুক্তবাজার অর্থনীতির এই যুগে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। গত বছর সরকার কয়েকটি পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছিল কিন্তু কোনো কাজে আসেনি। আসলে বাজার চলে মূলত চাহিদা ও জোগানের ওপর ভিত্তি করে। আমরা বাজারব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ দেখভালে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছি। 

কৃষক যাতে ফসল সংরক্ষণ করে চাহিদা অনুযায়ী বিক্রি করতে পারে সেজন্য ‘কৃষি বিপণন অধিদপ্তর জোরদারকরণ প্রকল্প’ নামে একটি কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটি ২০১৯ সালের জুলাই থেকে শুরু হয়েছে। এটি চলবে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত। প্রকল্পের আওতায় এখন পর্যন্ত নরসিংদী, কুমিল্লা, ভোলাসহ ৩৫টি জেলার ৬৬ উপজেলায় ৩২৫টি জিরো কুলিং চেম্বার স্থাপন করা হয়েছে। ৩ হাজার কৃষককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের উপ প্রকল্প পরিচালক, তৌহিদ মো. রাশেদ খান প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, কৃষকরা যাতে নিজেরাই টমেটো, বেগুন, শিম, শসা, ফুলকপি, বাঁধাকপিসহ বিভিন্ন ফসল সংরক্ষণ করতে পারেন সেজন্য জিরো কুলিং চেম্বার তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে। এ চেম্বারে সবজি প্রকারভেদে ১২০-১৫০ কেজি পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়। এগুলো ৪-৫ দিন, এমনকি কোনো কোনো ক্ষেত্রে ১২ দিন পর্যন্ত একই মান থাকে। এসব চেম্বারে পণ্য সংরক্ষণ করে কৃষকরা চাহিদা অনুযায়ী বিক্রি করতে পারে। তাতে করে বাজারব্যবস্থায় একটি প্রভাব সৃষ্টি করা সম্ভব।

প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেন প্রতিদিনের বাংলাদেশের রংপুর, বগুড়া, যশোর, দিনাজপুর প্রতিবেদক। 


শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা