× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

বেনাপোল বন্দরে ৭০ থান কাপড়ের চালান আটকা

বেনাপোল (যশোর) প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৮ জানুয়ারি ২০২৪ ২২:০৩ পিএম

আপডেট : ১৮ জানুয়ারি ২০২৪ ২২:১৫ পিএম

 ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

বেনাপোল বন্দরে ভারত থেকে আমদানি করা ৭০টি সিনথেটিক ফেব্রিকসেরে (থান কাপড়) চালান আটকা পড়ে আছে গত ২৮ দিন ধরে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের বিসিটিতে সর্বোচ্চ ডিউটি ও মূল্য নির্ধারন করা থাকলেও কাস্টমস কর্তৃপক্ষ মনগড়া মূল্য বৃদ্ধি করতে চাইছেন। বেনাপোল কাস্টমস হাউসের কম্পিউটার ডেটাসিটে সমজাতীয় পণ্যের সমমূল্য রয়েছে কয়েক শত। শুল্কায়নে মূল্য বৃদ্ধি করায় আমদানিকারকরা বন্দরে আটকে থাকা পণ্যের চালানগুলো খালাশ নিতে চাইছে না। ফলে সরকারের প্রায় ৫০ কোটি টাকার রাজস্ব হাতছাড়া হয়ে যাবে। অথচ এজাতীয় পণ্য বৈধ পথে না এসেছে, তবে চোরাইপথে আসছে অহরহ। 

ঢাকার থান কাপড় আমদানিকারক আলাউদ্দিন জানান, চট্রগ্রাম, আইসিটি,সোনামসজিদ ও পাংগাও বন্দরে একই জাতীয়পণ্য রাজস্ব বোর্ডের নির্ধারিত মূল্যেই পণ্য শুল্কায়ন ও খালাশ হচ্ছে প্রতিনিয়ত। অথচ বেনাপোলে মূল্য বাড়ানোর জন্য চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে আমদানি কারকদের। পণ্য চালানগুলো রাজস্ব বোর্ডের স্লাব অনুযায়ী কাস্টমস জিনেটিক নাম সিনথিটিক ফেব্রিকস হলেও কাস্টমস কর্তৃপক্ষ সিনথেটিক ফেব্রিকসের থান কাপড়গুলো তাদের মনগড়া শ্রেণী বিন্যাস করে মূল্য বৃদ্ধি করতে চায়। যা বাংলাদেশের কোন কাস্টমস হাউসে নেই। শুল্কায়নে মূল্য বৃদ্ধি করলে আমদানিকারকরা মোটা অংকের আর্থিক ক্ষতিগ্রস্থ হবে। গত ৫-৬ বছর আগেও এ জাতীয় পণ্য সারা বাংলাদেশের কাস্টমস হাউসের সাথে মিল রেখে বেনাপোল কাস্টমস হাউসে একই শ্রেণী বিন্যাশ ও একই মূল্যে পন্য খালাশ দেয়া হচ্ছে।অপর থানকাপড় আমদানিকারক মো. স্বপন জানান, থান কাপড়ের সিনথেটিক ফেব্রিকস ইতিপূর্বে চোরাইপথে আমদানি হয়ে আসতো। বর্তমানে আমদানিকারকরা বৈধপথে যথাযথ শূল্ক পরিশোধ করে খালাশ নিতে চাইলেও কাস্টমসের মনগড়া মূল্য বৃদ্ধির কারণে ব্যবসায় ক্ষতি হচ্ছে। থান কাপড়ের ২০ মেট্রিক টন পণ্য আমদানি হলে, পণ্যচালান পরীক্ষনের সময় জোর করে ২০ কেজি মাল বেশী উল্লেখ করে অতিরিক্ত রাজস্ব আদায় করা হচ্ছে। 

আমদানিকারক আরও বলছেন, সিনথেটিক থানকাপড় আমদানির পর তাতে কোন ডিমারকেশন না থাকলেও কাস্টমস কর্তৃপক্ষ জোর করে এটিকে ওড়না ফেব্রিকস বলে শ্রেণী বিন্যাশ করে মূল্য বাড়াতে চান। যা সম্পূর্ন বিধি সম্মত নয়। সিনথেটিক ফেব্রিকসের কাস্টমস এইচ এস কোড-৫৪০৭.৭২.০০ যা মিনিমাম ভ্যালু ৩ ডলার ও ওড়নার এইচএসকোড ৫৪০৭.৭২.০০। উিউটির কোন তারতম্য নেই। কাস্টমস কর্তপক্ষ থান কাপড়কে ওড়না ফেব্রিকস বলে মূল্য ৪ ডলার করতে চাইছেন, যা বাংলাদেশের কোন কাস্টমস হাউসে নেই। ইদানিং বেনাপোল বন্দর দিয়ে এ জাতীয় পণ্য আমদানি হলেই জোর করে শ্রেণী বিন্যাশ ও  শুল্কায়নে মূল্য বৃদ্ধি করছে বলে অভিযোগ আমদানিকারকদের। ফলে বেনাপোল কাস্টমস হাউসে এখনও পর্যন্ত ২৮০ কোটি টাকার রাজস্ব ঘাটতি দেখা দিয়েছে। 

বেনাপোল কাস্টম হাউসের কমিশনার আবদুল হাকিম জানান, আটকে থাকা পণ্যের বিষয়টি আমরা রাজস্ব বোর্ডকে জানিয়েছি। আমরা এ্যাসেসমেন্ট কমিটির মাধ্যমে বিসয়টি সমাধানের চেষ্টা করছি। গোপন ইনফরমেশনের ভিওিতে আমরা থানকাপড়ের ১২টি চালান আটকে ছিলাম। গোয়েন্দাসহ আমাদের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে পন্য চালানগুলো ভারতীয় ট্রাক থেকে বন্দরের শেডে আনলোড করা হয়। পরে শতভাগ কায়িক পরীক্ষা কার্যক্রম সম্পন্ন করে রাজস্ব ফাকির কোন অনিয়ম পাওয়া যায়নি। বর্তমানে বেনাপোল বন্দরে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করা হয়েছে। অনিয়ম করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। তা সত্বেও মিথ্যা ইনফরমেশন দিয়ে আমাদের কর্মকর্তাদের এ ধরনের হয়রানি করা হচ্ছে প্রতিনিয়ত।


শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা