মুদ্রানীতি ঘোষণা আজ
প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৭ জানুয়ারি ২০২৪ ১১:৩৮ এএম
আপডেট : ১৭ জানুয়ারি ২০২৪ ১১:৪০ এএম
ডানদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক ভবন। প্রবা ফটো
মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে নীতি সুদহার বাড়িয়ে নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের (জানুয়ারি-জুন) জন্য আজ বুধবার এ মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হবে। এতে নীতি সুদহারসহ ব্যাংকঋণের সব রকম সুদ আরও বাড়িয়ে সংকোচনমুখী ধারা অব্যাহত রাখা হবে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণই হবে এবারের মুদ্রানীতির অন্যতম লক্ষ্য। এজন্য চলমান সব ধরনের নীতি অব্যাহত থাকবে। মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের যেসব সংকোচনমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, সেগুলো অব্যাহত থাকবে। এরই মধ্যে মুদ্রানীতির খসড়া তৈরি হলেও নবনিযুক্ত অর্থমন্ত্রীর পরামর্শ গ্রহণের পর তা চূড়ান্ত করা হবে। এবারও নীতি সুদের হার আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে, যাতে সুদহার বেড়ে মূল্যস্ফীতি কমে আসে। নতুন মুদ্রানীতি কমিটিতে গভর্নরসহ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি রয়েছেন অর্থনীতিবিদ সাদিক আহমেদ, বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) মহাপরিচালক বিনায়ক সেন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান মাসুদা ইয়াসমীন।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এখন বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্যতম প্রধান কাজ। গত ডিসেম্বরে মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশে ও আগামী জুনের মধ্যে তা ৬ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশ ব্যাংকের। গত নভেম্বরের শেষে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৪৯ শতাংশ হয়। মূল্যস্ফীতি কমাতে ঋণের সুদহার কিছুটা বাজারভিত্তিক করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পাশাপাশি নীতি সুদের হারও বাড়িয়েছে। এতে ঋণের সুদের হার ৯ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ১১ দশমিক ৮৯ শতাংশ।
এদিকে ডলার সংকটের কারণে বাংলাদেশ ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। এখন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি অনুযায়ী রিজার্ভ ২০ দশমিক ৩৮ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৩৮ কোটি ডলার। প্রকৃত বা নিট রিজার্ভ বর্তমানে ১৬ বিলিয়ন ডলারের কম।
অন্যদিকে তদারকিতে দুর্বলতা ও নিয়ন্ত্রণহীনতার কারণে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ বেড়ে দেড় লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। এক ডজন আর্থিক প্রতিষ্ঠান গ্রাহকের টাকা ফেরত দিতে পারছে না। আর্থিক খাতে খেলাপি ঋণ ২১ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে ৩০ শতাংশে উঠেছে। পাশাপাশি শরিয়াহভিত্তিক ৫ ব্যাংক চাহিদামতো বাংলাদেশ ব্যাংকে টাকা জমা রাখতে পারছে না, তাদের চলতি হিসাবেও ঘাটতি রয়েছে।