কূটনৈতিক প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৭ জানুয়ারি ২০২৪ ১০:০১ এএম
আপডেট : ১৭ জানুয়ারি ২০২৪ ১০:৪১ এএম
কাতারের শ্রম মন্ত্রণালয়ের অ্যাসিস্ট্যান্ট আন্ডার-সেক্রেটারির সঙ্গে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত। প্রবা ফটো
বাংলাদেশ থেকে দক্ষ ও প্রযুক্তিজ্ঞানসম্পন্ন শ্রমিক কাতারে পাঠানোর পরামর্শ দিয়ে দেশটির শ্রম মন্ত্রণালয়ের আন্ডার-সেক্রেটারি শেখা নাজওয়া বিনতে আবদুর রহমান আল থানি বলেন, আগামীতে আর অদক্ষ শ্রমিক নেবে না কাতার।
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) শ্রমবাজারসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. নজরুল ইসলামের সঙ্গে বৈঠকে এসব কথা বলেন কাতারের শ্রম মন্ত্রণালয়ের অ্যাসিস্ট্যান্ট আন্ডার-সেক্রেটারি শেখা নাজওয়া বিনতে আবদুর রহমান আল থানি।
বাংলাদেশ দূতাবাস জানিয়েছে, বৈঠকে কাতারে বাংলাদেশের শ্রমবাজার ও বাংলাদেশি শ্রমিকদের দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়। এ সময় শ্রমবাজার ও বাংলাদেশি কর্মী সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ইস্যু, আসন্ন সপ্তম জয়েন্ট কমিটি মিটিং ও দ্বিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারক নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত কাতারের আমিরের সম্ভাব্য পরবর্তী বাংলাদেশ সফরে একটি শ্রমসংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক সম্পাদনের প্রস্তাব দিলে অ্যাসিস্ট্যান্ট আন্ডার-সেক্রেটারি এ বিষয়ে একমত পোষণ করেন।
দূতাবাস আরও জানিয়েছে, বৈঠকে কাতারে বসবাসরত বাংলাদেশিদের বেতনভাতা ও সার্ভিস বেনিফিট সংশ্লিষ্ট সমস্যার বিষয় তুলে ধরা হলে শেখা নাজওয়া আল থানি এ বিষয়ে যেকোনো অভিযোগ তাৎক্ষণিক লেবার মিনিস্ট্রিকে অবহিত করার জন্য অনুরোধ করেন। কোনো শ্রমিক তার বেতন না পেলে দেরি না করে এক মাসের ভেতরেই অভিযোগ দায়ের বা দূতাবাসকে অবগত করার পরামর্শ দেন।
শেখা নাজওয়া আল থানি বলেন, তিন বা চার মাস কোনো কোম্পানি বেতন না দিলে পরবর্তী সময়ে তা আদায় করতে জটিলতা সৃষ্টি হয়। এ ছাড়া দুই থেকে তিন মাসের অধিক বেতন না পেলে অন্য কোথাও কাজের সন্ধান করার পরামর্শও দেন তিনি।
কাতারের বিভিন্ন সেক্টরে দক্ষ ও পেশাদার জনশক্তি নিয়োগ প্রসঙ্গে কাতারের আন্ডার-সেক্রেটারি আরও বলেন, কাতার শ্রমবাজার ডিজিটাইজেশনের দিকে এগোচ্ছে। ভবিষ্যতে কাতার আর তেমন কোনো অদক্ষ শ্রমিক আনবে না। এজন্য দক্ষ ও প্রযুক্তিজ্ঞানসম্পন্ন শ্রমিক দেশটিতে পাঠানোর পরামর্শও দেন তিনি।
শ্রম মন্ত্রণালয়ে মামলা চলাকালীন থাকা সত্ত্বেও অনেক বাংলাদেশি নাগরিককে দেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে শেখা নাজওয়া বলেন, ইতোমধ্যে কাতারের শ্রম ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে অনলাইন লিঙ্ক করা হয়েছে; যাতে কোনো শ্রম অভিযোগের নিষ্পত্তি ছাড়া কাউকে ডিপোর্ট (দেশে ফেরত পাঠানো) করা না হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রমকল্যাণ উইংয়ের কাউন্সেলর মোহাম্মদ মাশহুদুল কবীর ও তন্ময় ইসলাম এবং কাতারের শ্রম মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।