টাঙ্গাইল প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৬ জানুয়ারি ২০২৪ ১৮:১৪ পিএম
আপডেট : ১৬ জানুয়ারি ২০২৪ ২১:০৩ পিএম
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলায় এ বছর সুপারির উৎপাদন ভালো হয়েছে। আপৎকালে হাট-বাজারে সুপারি বিক্রি করে সংসারের চাহিদা মিটছে অনেকের। সুপারির চাহিদাও বেড়েছে। হাট-বাজারে সুপারির ভালো দাম ও লাভজনক হওয়ায় অনেকেই এখন বাড়ির আঙিনা ও পরিত্যক্ত জায়গায় সুপারির চারা রোপণ করছেন।
সরেজমিনে উপজেলার গোবিন্দাসী, নিকরাইল, শিয়ালকোলসহ বিভিন্ন হাট ঘুরে দেখা গেছে, বিক্রেতারা হাটে সুপারির পসরা নিয়ে বসেছেন। দূর-দূরান্তের সুপারি ব্যবসায়ীরা এসব সুপারি কিনে থাকেন। এবার প্রতি পিস সুপারি এক থেকে দুই টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছেন চাষিরা। ব্যবসায়ীরাও লাভের আশায় সুপারি কিনে মজুদ করছেন।
কয়েড়া গ্রামের সুপারি বিক্রেতা শাহীনুর রহমান বলেন, বাড়ির আশপাশে লাগানো গাছ থেকে প্রতিবছর ৪-৫ হাজার টাকার সুপারি বিক্রি করি। এবার গতবারের চেয়ে দাম ভাল পাচ্ছি। যে সময়ে হাতে কোনো টাকা-পয়সা থাকে না তখন সুপারি বিক্রি করে সংসারের চাহিদা মেটানো যায়।
কালাম মণ্ডল বলেন, সারা বছরই কমবেশি সুপারি বিক্রি করা হয়। সুপারিগাছের পরিচর্যা করতে হয় না। অন্যান্য বছরের চেয়ে এবার সুপারি ভাল দামে বিক্রি করতে পারছি। গত বছরের তুলনায় এ বছর বেশি সুপারি এসেছে। অনেক লাভবান হব। আগামী বছর আরও বেশি জায়গায় সুপারির চারা রোপণ করব।
ভূঞাপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরিফুর রহমান প্রতিদেনের বাংলাদেশকে বলেন, সুপারি চাষের জন্য অনুকূল আবহাওয়া সৃষ্টি হওয়ায় এ উপজেলায় সুপারির ফলন ভালো হয়েছে, যা দেখে এলাকার মানুষ সুপারি চাষে উৎসাহিত হচ্ছে। সুপারিগাছের মালিকরা প্রতিবছরই সুপারি বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন। হাট-বাজার সুপারির অনেক চাহিদা রয়েছে।