× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

সাফল্য

চিতই বেচে আয় লাখ টাকা

রিফাত আবির, বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)

প্রকাশ : ১৬ জানুয়ারি ২০২৪ ১০:৪৫ এএম

আপডেট : ১৬ জানুয়ারি ২০২৪ ১৮:২১ পিএম

বাঞ্ছারামপুর উপজেলার বাহেরচর গ্রামের মাজেদা বেগমের চিতই পিঠার দোকান। প্রবা ফটো

বাঞ্ছারামপুর উপজেলার বাহেরচর গ্রামের মাজেদা বেগমের চিতই পিঠার দোকান। প্রবা ফটো

চিতই পিঠা খেতে তিনি বানান শত রকমের ভর্তা। তার স্বাদ নিতে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ছুটে আসে হাজারো মানুষ। সেই পিঠা দৈনিক ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেন তিনি, যা থেকে মাসে তার প্রায় লাখ টাকা লাভ হয়। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার বাহেরচর গ্রামের মাজেদা বেগম। বয়স ৫০ ছুঁইছুঁই।

মাজেদা প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ৯ বছর ধরে স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে চিতই পিঠা বানিয়ে সংসার চালাচ্ছেন। প্রতিদিন আটটি চুলায় হাজারেরও বেশি চিতই পিঠা তৈরি করেন। প্রতিটি চিতই বিক্রি হয় ১০ টাকায়। সঙ্গে ডিম ও মশলাসহ স্পেশাল ডিম পিঠা বিক্রি হয় ৩০ টাকায়। পিঠার সঙ্গেই ১০০ পদের ভর্তা ফ্রি দেওয়া হয়। যার যতবার খুশি ভর্তা নিতে পারেন। ১০০ পদের ভর্তা বানানোর জন্য ১২-১৩ রকমের শুঁটকি, বিভিন্ন রকমের মাছ, কয়েক রকমের ডাল, বাদাম, ধনেপাতা, মরিচ, মৌসুমি সবজি ব্যবহার করেন তিনি। তার পিঠার দোকানে প্রায়ই ৫০-১০০ জন মানুষের জটলা লেগে থাকে। পিঠা বিক্রি করে মাসে প্রায় লাখ টাকা লাভ হয় বলে জানান মাজেদা।

আড়াইহাজার থেকে পিঠা খেতে আসা নজরুল ইসলাম বলেন, আমাদের এলাকায় চিতই পিঠা পাওয়া গেলেও ১০০ পদের ভর্তা পাওয়া যায় না। তাই আমরা নানারকমের ভর্তার স্বাদ নিতেই এখানে আসছি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মাজেদা আপার পিঠা বানানো দেখে বন্ধুবান্ধবসহ এসেছি।

নরসিংদী থেকে পিঠা খেতে আসা ইমরান হোসেন বলেন, আমরা পাঁচটি মোটরসাইকেল নিয়ে কয়েকজন বন্ধু এখানে পিঠা খেতে এসেছি। বাঞ্ছারামপুরের ফেসবুক বন্ধুর পোস্টের মাধ্যমে ৯০ থেকে ১০০ পদের ভর্তা দিয়ে চিতই পিঠা খাওয়ার বিষয়টি জানতে পারি। চিতই পিঠা দিয়ে টাটকা ভর্তার স্বাদ বেশ ভালোই লেগেছে।

মাজেদা বলেন, পিঠার ব্যবসা শুরুর আগে অভাবের সংসারে পাঁচ মেয়ে ও দিনমজুর স্বামীকে নিয়ে কোনোরকম দিন কাটত। ধীরে ধীরে তিনি তার পিঠা জনপ্রিয় করে তুললে অভাবের সংসারে আসে সচ্ছলতা। তিনি বলেন, আগে পরিবারে অভাব-অনটন ছিল। এখনকার অবস্থা অনেক ভালো। তিন বছর ধরে তার পিঠার সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে সারা দেশে। তবে নয় বছর যাবৎ পিঠা বিক্রি করছি। আমি প্রথমে পাঁচ হাজার টাকা পুঁজি নিয়ে পিঠা বিক্রি শুরু করলেও এখন আমি বেশ ভালো আছি। নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ, হোমনা, দাউদকান্দিসহ বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ পিঠা খেতে আসে। শুক্রবারে ভিড় থাকে বেশি। শুক্রবারে দ্বিগুণ পিঠা বিক্রি হয়।

মাজেদার স্বামী মো. রফিকুল ইসলাম মিয়া বলেন, আমার পাঁচ মেয়ে। পিঠা বানানোর ব্যবসা করে দুই মেয়ের বিয়ে দিয়েছি। তিন মেয়ে মাদ্রাসায় পড়ে। আমাদের সংসার ভালোই চলছে। আমরা বেশ আনন্দে আছি। অনেক এলাকার মানুষ আমার এখানে পিঠা খেতে আসে। মানুষ আনন্দ পায়। আমরাও বেশ সুখে আছি। 

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা