বেতাগী (বরগুনা) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৫ জানুয়ারি ২০২৪ ২১:০৯ পিএম
আপডেট : ১৫ জানুয়ারি ২০২৪ ২১:১৬ পিএম
বরগুনার বেতাগীতে দামের ঊর্ধ্বগতিতে এবারে রেকর্ড গড়েছে দেশীয় জাতের মরিচ চারা। মরিচের ঝাঁজ ছড়িয়ে পড়েছে এখন চারায়। বেসামাল দাম দেখা গেছে বিভিন্ন বাজারগুলোতে। দেশের কৃষিসমৃদ্ধ এ উপকূলীয় জনপদে দেশীয় জাতের মরিচের চারার দাম দুই সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়ে দ্বিগুণেরও বেশি হয়ে গেছে। বর্তমানে মরিচের চারার দামে অতিষ্ঠ ক্রেতারা।
দাম বেড়ে প্রতি কাওন (১২৮০টি) মরিচ চারা বতর্মানে বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা দরে। বাজারভেদে তা কোথাও কমবেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। অথচ মৌসুমের শুরুতে ও আগে কাওন প্রতি মরিচের চারা বিক্রি হয়েছে ১২০ থেকে ১৫০ টাকায়।
উপজেলার বেতাগী বন্দরের চারার পাইকারি ও খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সকাল থেকে বেতাগী বাজারে মরিচ চারার ঝাঁজ ছিল কম। শুরুতে চারার দাম ছিল ৩০০ টাকা করে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চারার দাম বাড়তে থাকে।
গত শনিবার ছিল বেতাগী পৌর শহরের বাজারের দিন। বেলা ১১টায় চারার দাম বেড়ে ৪০০ টাকায় ঠেকে। অথচ গত বছরের এই দিনে চাষিরা পাইকারি বাজারে এ মরিচ চারা বিক্রি করেছেন প্রতি কাওন ৮০ থেকে ১০০ টাকা দরে। আর খুচরা ১১০ থেকে ১২০ টাকায়।
একাধিক চারা ক্রেতা অভিযোগ করেন, এখন মরিচ আবাদের গুরুত্বপূর্ণ সময়। তাই মরিচ চারার পাইকাররা চারার দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। আর অজুহাত হিসেবে অসময়ের বন্যা ও বৃষ্টি এবং নদী-খালে পানি বৃদ্ধিতে এ এলাকায় চারা আবাদের পরিমাণ কম বলছে। অথচ মরিচ চারার আবাদও ভালো হয়েছে।
বিক্রেতারা বলেন, স্থানীয়ভাবে মরিচের চারা উৎপাদন কম। এ কারণে বাজারে মরিচের চারা সরবরাহও কম হওয়ায় দাম বেড়ে গেছে। তবে চাষিরা দাবি করেন, মরিচ চারা উৎপাদনের পরিমাণ যতটা কম বলা হচ্ছে আসলে ততটা নয়।
মরিচ চাষি আতাহার হোসেন বলেন, আমি বেতাগী বাজারে এসেছিলাম চারা কিনতে। এক কাওন মরিচ চারার দাম চাচ্ছে ৪০০ টাকা। অথচ গত বছরে একই ধরনের মরিচের চারা কিনেছি ১০০ টাকায়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তানজিলা আহম্মেদ বলেন, বাজারে মরিচের দাম চড়া এবং কৃষি বিভাগের উদ্বুদ্ধকরণের ফলে এখানকার চাষিরা দিন দিন মরিচ আবাদে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। বাজারে মরিচ চারার চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় হঠাৎ করে দাম বাড়লেও তা সাময়িক। এখন চাষিদের নাগালের বাইরে থাকলেও একপর্যায়ে দাম নিয়ন্ত্রণে আসবে।